কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও কোনও পদক্ষেপ করা নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে শীঘ্রই এই নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমতলার যানজট নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নেতা, মন্ত্রী– সবাই তিতিবিরক্ত। এত বছরেও এখানে যানজট কমানোর কোনও উপায় মেলেনি। বাইপাস রাস্তা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। তবে সেটা চালু হতে আরও অনেকটা সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় দিনের পর দিন এই চারমাথা মোড় মানুষের কাছে বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে বেআইনি পার্কিং আরও বেড়েছে আমতলায়। একেই সেখানে কোনও ফুটপাত নেই, তার উপর যেভাবে রাস্তার একধার দিয়ে বাইক পার্কিং করে রাখা হচ্ছে, তাতে গাড়ি আরও গতি হারাচ্ছে। মানুষকে রাস্তায় নেমে হাঁটতে হচ্ছে। সমন্বয় অডিটোরিয়ামের সামনে একটি অটো স্ট্যান্ড বহু বছর ধরে রয়েছে। সেটিকে সরানো নিয়ে কথাবার্তা শুরু হলেও এখনও কিছু করা যায়নি। তার জন্যও রাস্তা কিছুটা দখল হয়ে রয়েছে।
এমনিতেই জাতীয় সড়কের উপর টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল পরিবহণ দপ্তর। কিন্তু আমতলাতে টোটো স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে এবং সেখান থেকে টোটো এদিক-ওদিক যাতায়াতও করছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আমতলা থেকে বারুইপুর যাওয়ার রাস্তাটি। ছোট গাড়ির ভিড়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে থাকে গোটা রাস্তাটি। অনেক লরি ও মিনি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে দু’ধারে। তাতে রাস্তা আরও সরু হয়ে গিয়েছে। পরিবহণ রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডলও এই নিয়ে হতাশ।
তিনি বলেন, আমতলা মোড়ে পার্কিং ও হকারের সমস্যা রয়েছে। তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকবার পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার সেই জায়গা জবরদখল হয়ে যায়। আমতলা থেকে অটো স্ট্যান্ড সরানোর জন্য বিকল্প জায়গা দেখা হয়েছে। সেই জায়গাটি প্রস্তুত হয়ে গেলেই স্ট্যান্ড তুলে সেখানে পাঠানো হবে। তাহলে রাস্তা আরও কিছুটা চওড়া হবে। নিজস্ব চিত্র