কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
রবীন্দ্র সরণি, কুমোরটুলি স্ট্রিট, বনমালি সরকার স্ট্রিট সহ পটুয়াপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে সোমবার দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন শিল্পীর ঘরে চলছে দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ। কেউ কাঠামো বাধছেন। কারও ঢাউস আকারের কাঠামো তৈরি শেষ। এদিন খড়ের কাঠামোতে মাটি লেপা শুরু করলেন তিনি। কেউ প্রতিমা নিয়ে যাচ্ছেন গোডাউনে। সেখানে দুর্গাকে সাজসজ্জা পরানো হবে। সেখান থেকেই ডেলিভারি নেবে পুজো কমিটি। একমাস আগেও পটুয়াপাড়ায় দেখা গিয়েছিল প্রতিমা তৈরি শুরু হয়েছে। কোনও কোনও শিল্পীর ঘর আবার ছিল ফাঁকা। একমাস পর সে চিত্র আমূল বদলে গিয়েছে। এখন জোরকদমে চলছে ঠাকুর তৈরি। অধিকাংশ শিল্পী বায়না পেয়ে গিয়েছেন বা পাওয়ার আশায় খড় বাধছেন বা মাটি লেপা শুরু করেছেন।
শিল্পী মীনাক্ষী রুদ্র পাল এদিন বললেন, ‘কিছু প্রতিমার বায়না অনেক আগেই হয়ে গিয়েছিল। এখনও বায়না হচ্ছে। সেগুলির শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। রং, কাপড় ও সাজগোছের কাজ কিছু বাকি। এখনও অনেকে সংস্কার মেনে রথের দিনই প্রতিমার বায়না করেন। সে কাজগুলিতেও হাত দেওয়া হয়েছে।’ শিল্পী সুকুমার পাল বলেন, ‘ইতিমধ্যে আটটি প্রতিমার বরাত পেয়ে গিয়েছি। পাঁচটি সর্বজনীন। তিনটি একচালার বাড়ির প্রতিমা।’ শিল্পী প্রশান্ত পাল বললেন, ‘এখন যেহেতু কিছুটা সময় হাতে আছে, তাই বায়না নেওয়া চলছে। ব্যস্ততা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে আমাদের।’ শিল্পী চায়না পালের ঘরে জোরকদমে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। শোলার কাজ করছিলেন শিল্পী শম্ভুনাথ মালাকার। তিনি বলেন, ‘একটু একটু করে ব্যস্ততা বাড়ছে। কয়েকটি বাড়ি শোলার বিশেষ অলঙ্কার তৈরির বরাত দিয়েছে। প্রথা মেনে কেউ কেউ রথ বা জন্মাষ্টমীর দিন তা নিয়ে যাবেন। আবার কারও বাড়ি গিয়েও প্রতিমার অঙ্গে শোলার সাজ পরিয়ে আসতে হবে।’
এদিন শিল্পী মিন্টু পালের স্টুডিওতে একটি ফাইবারের প্রতিমায় সীসামুক্ত রঙের প্রলেপ দেওয়ার কাজ চলছিল। সে কাজে অংশ নেন পটুড়াপাড়ার বেশ কয়েকজন শিল্পী। তাঁদের বক্তব্য, ‘স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সীসামুক্ত রঙের ব্যবহার জরুরি।’ কুমোরটুলি নিয়ে সমীক্ষার কাজ করছেন সগুনা মুখোপাধ্যায় ও জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। তাঁরা বলেন, ‘রঙের বিষয়ে সচেতন না হলে সমস্যায় পড়তে হবে কুমোরটুলির ঘিঞ্জি এলাকায় থাকা শিল্পীদের। সকলের সচেতন হওয়াটা জরুরি।’