কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বিয়েবাড়ি গিয়েছিলেন বিকাশ সামন্ত, তাঁর স্ত্রী রেখা এবং ছোট পুত্র দেবকান্ত। বাড়ি ফিরে এসে তাঁরা জানতে পারেন, মুড়ি কারখানার ৫০ হাজার টাকা ক্যাশবাক্স থেকে উধাও। বাড়ির পাঁচিলের পাশে পায়ের ছাপ দেখে সামন্ত পরিবারের সন্দেহ হয়, টাকা চুরি গিয়েছে এবং তা করেছে বিশ্বজিৎ। পুলিসের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, এরপর বিকাশ এবং তাঁর ছেলে দেবকান্ত ওই পাড়ারই বাসিন্দা বিশ্বজিৎকে ঘুম থেকে তুলে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর শুরু করেন। মৃত যুবকের মা রুমা মান্নার অভিযোগ, ‘ওত রাতে ছেলেকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে দেখে, আমিও পিছনে পিছনে যাই। বিশ্বজিৎকে বেধড়ক মারধর শুরু করে ওরা। ছেলে চুরি করেনি বলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার কাকুতি-মিনতি করেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বরং অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তাড়িয়ে দেওয়া হয় আমাকে। পরে খবর পাই ছেলে মারা গিয়েছে।’
পুলিস জানিয়েছে, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বিশ্বজিৎকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিসকে বিশ্বজিতের খুড়তুতো দিদি রেখা জানিয়েছেন, ‘মারধরের পর এখানে যখন ভাই পড়েছিল, তখন কোনও জ্ঞান ছিল না। পরে শুনলাম মারা গিয়েছে। এ খবরে খুব কষ্ট হচ্ছে। খোঁজাখুঁজি করে পুলিস বাড়ি থেকেই মুড়ি বিক্রির সেই টাকাটা পেয়েছে।’