সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন হেলিকপ্টারে প্রথমে খড়দহ ও পরে আগরপাড়ার সভামঞ্চে আসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সভামঞ্চের পাশে হেলিপ্যাডও তৈরি ছিল। কিন্তু দুপুর থেকে ঝড়বৃষ্টির জন্য সমস্ত পরিকল্পনা বাতিল হয়। তিনি কালীঘাটের বাড়ি থেকে গাড়িতে প্রথমে খড়দহ ও পরে পানিহাটির সভায় আসেন। খড়দহের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাড়ি থেকে বেরনোর সময় সে কী বৃষ্টি! কোথাও কোথাও এক হাঁটু জল জমে গিয়েছে। বাজ পড়ছে। মাথায় ছাতা দিয়ে বেরলাম। ২৪ তারিখ সাগর সহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় অনেক সভা রয়েছে। জানি না, কী হবে। তবে রোদ, বৃষ্টি তৃণমূলকে আটকাতে পারে না।’ খড়দহে সভামঞ্চে ওঠার জন্য কাঠের পাটাতন পাততে হয়। তার উপর কার্পেট বিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একই চিত্র ছিল পানিহাটিতেও। সভাস্থলে যাওয়ার বিভিন্ন রাস্তায় গোড়ালিডোবা জল। হ্যাঙ্গার ছাড়া বাকি মাঠ জল থৈ থৈ। তারমধ্যেও দলে দলে মানুষ হেঁটে এসে সভাস্থল ভরিয়ে দিয়েছেন।
জুতো হাতে নিয়ে মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন আসিফা বিবি। তিনি বলেন, ‘দিদি আসবে শুনে দৌড়ে এসেছি। উনিই তো আমাদের ত্রাতা। প্রত্যেক মাসে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকছে। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে বিনামূল্যে নার্সিংহোমে মেয়ের চিকিৎসা করিয়েছি। জলকাদা আর কী এমন সমস্যা! বন্যা হলেও ওঁকে দেখতে আসতাম।’ এই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল শেখ রমজান, সুদীপ্ত ঘোষ সহ বহু মানুষের গলায়। এদিন সভার ভিড় ও মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা দেখে তৃণমূল নেতারাও আপ্লুত। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বৃষ্টি মানে তৃণমূলের আশীর্বাদ। বৃষ্টি হোক বা কাঠফাটা রোদ, তৃণমূল কর্মীদের কোনও কিছু দমাতে পারে না। কারণ, আমাদের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই আমাদের লড়াই করতে শিখিয়েছেন।’