কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
কলকাতা ও হাওড়া ছাড়া রাজ্যের বাদবাকি জেলায় পুজো পরবর্তী করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কলকাতা লাগোয়া দুই ২৪ পরগনার পরিস্থিতি সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল। আহামরি কিছু বাড়েনি, আবার কমেওনি। বরং কিছুটা ভালোর দিকেই। এখন পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির অবস্থাও পুজোর সময়ের পরিস্থিতির তুলনায় যথেষ্ট ভালো। এইসব জায়গায় পজিটিভিটি’র হার পুজো ও তার আগের সময়ের তুলনায় কমেছে। বুধবার এমনই তথ্য জানা গেল স্বাস্থ্যভবন সূত্রে। তিন ছুঁইছুঁই দূরের কথা, রাজ্যের পজিটিভিটি রেট এদিন ছিল ২.২৫। তবে ওই সূত্র জানিয়েছে, আগামী এক থেকে দেড় সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এখনও পর্যন্ত যা অবস্থা, তাতে ওই সময়ের মধ্যে করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ার কথা। যদি তা না হয়, বুঝতে হবে ফের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। বুধবারের সরকারি হিসেব বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১৫। এর মধ্যে কলকাতাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ২৭২ জন। মারা গিয়েছেন চারজন। জলপাইগুড়িতেও মারা গিয়েছেন চারজন। তিনজন মারা গিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনায়। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় পজিটিভিটি’র হার ছিল ৪.৩৪। কলকাতা লাগোয়া হলেও উত্তর ২৪ পরগনায় এই হার চারের ধারেকাছে যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানকার পজিটিভিটি হার দাঁড়িয়েছে ৩.৩২। অন্যদিকে হুগলি, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ সহ দূরের জেলায় পজিটিভিটি’র হার কিছুটা স্বস্তিতে রেখেছে সরকারকে। আক্রান্তের সংখ্যা কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি বাদ দিলে রাজ্যের অন্যত্র খুব একটা বাড়েনি। বরং কিছু কিছু জেলায় কমছে।
এদিকে, শহরের বিভিন্ন বাজারে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করানোর পুর-উদ্যোগ প্রসঙ্গে এদিন মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এতে মানুষ সচেতন হবেন। মাস্ক পরায় গাফিলতি না থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’