সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
অভিযুক্তদের অন্যতম আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরার অভিমত, ১৭ মে হাইকোর্ট এই প্রসঙ্গে কোনও নির্দেশ দিলে তার দ্বারা অভিযুক্তরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, একথা বিচারপতিদের জানানো সিবিআইয়ের উচিত ছিল। বিচারপতি সৌমেন সেনের পাল্টা প্রশ্ন, যদি অভিযুক্তরা এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি করেন, যার ফলে তাঁরা লাভবান হন, তাহলে কি পরে বলা যায় যে, ‘আমাদের শোনা হয়নি’? কারণ, এঁরা মোটেই সাধারণ মানুষ নন। তাঁরা শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
জবাবে লুথরা জানান, সিবিআই জামিন বাতিলের আবেদন করতে পারত। কিন্তু, যা তারা করেছে, তা যদি অনুমোদিত হয়, তাহলে এমন অবস্থা দেখা দিতে পারে যে, কোনও মন্ত্রী অভিযুক্ত হলে তাঁকে মামলায় যুক্ত না করেই রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে তাঁর বিরুদ্ধে আদেশ পেতে পারবে। অথচ, সুপ্রিম কোর্ট অর্ণব গোস্বামী মামলায় বলে দিয়েছে, ব্যক্তি স্বাধীনতা অলঙ্ঘনীয়, যা কোনওভাবেই অস্বীকার করা যায় না।
অভিযুক্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে আইনজীবী সৌরভ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, ১৭ মে সিবিআই আদালতে শুনানি চলাকালীন সিবিআই যে হাইকোর্টে গিয়েছে, তা জানানো হয়নি। এমনকী হাইকোর্ট কোনও নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের কার্যত ধরে রাখা হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে ২০১৮ সাল থেকে কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই বলেও জানানো হয়। সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।