কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
সিপিএমের বঙ্গ নেতৃত্ব রাজ্য পার্টির স্বার্থে ইয়েচুরিকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চাইছে বেশ কিছু দিন ধরেই। কং হাইকমান্ডের সর্বশেষ অবস্থানের খবর জেনে তারা বাড়তি তৎপর হয়েছে। কিন্তু দলের সাধারণ সম্পাদক পদের পাশাপাশি সীতারাম কীভাবে রাজ্যসভার সদস্যের দায়িত্ব পালন করবেন, সে নিয়ে সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বের ভিতরেই প্রশ্ন রয়েছে। গঠনতন্ত্রে লিখিতভাবে তেমন কোনও কড়াকড়ি না থাকলেও প্রথা মেনে একই ব্যক্তিকে দুটি পদে থাকার সুযোগ দেয় না দল। এই নিয়ম মেনে ইয়েচুরির রাজ্যসভায় যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর বিরোধী লবির নেতারা আগেও একবার বেঁকে বসেছেন। তবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সংসদে দলের করুণ হাল বিবেচনা করে এবার ইয়েচুরির জন্য এই অলিখিত নিষেধাজ্ঞা বাধা হয়ে যাতে না দাঁড়ায়, সেজন্য আলিমুদ্দিন কোমর বেঁধে নামছে। এবিষয়ে প্রায় বছরখানেক ধরে সূর্যকান্ত মিশ্র’র বিরোধী দলনেতা এবং রাজ্য সম্পাদকের দুই দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার কথাও উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে তারা। আজ, বুধবার রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এব্যাপারে প্রস্তাব গ্রহণ করে তা দিল্লিতে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে বঙ্গ নেতৃত্ব। আগামী ১৪-১৫ মার্চ পলিটব্যুরোর বৈঠকে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, রাজ্যসভার ভোটের দামামা বেজে ওঠার মধ্যে এদিনই কলকাতা পুরভোটে আসন বাঁটোয়ারা নিয়ে সিপিএম এবং কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব প্রাথমিক আলোচনা সারে। প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে ওয়ার্ড নম্বর উল্লেখ করে গোটা ৪৫ আসনে লড়ার অভিপ্রায় জানানো হয়। তার মধ্যে গত পুরভোটে তাদের জেতা পাঁচটি এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা ২৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা তাদের মনের মতো ৩০-৩২টি আসন পেলে সংখ্যা নিয়ে কোনও জেদাজেদির জায়গায় যাবে না বলেও বৈঠকে ইঙ্গিত দিয়েছেন জেলা কংগ্রেসের নেতারা। সিপিএমর কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার বলেন, আমরা আগামী ২৭ তারিখ জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকে এনিয়ে বিশদে আলোচনা করব। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রন্ট ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন নিয়ে জোট বৈঠক হবে।