কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ম্যানেজারের নাম কুণাল ঘোষ ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের নাম অরিজিৎ প্রামাণিক। তারা ২০১৭ সাল নাগাদ উত্তর দমদমের বিরাটি এলাকার একটি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এবং সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে সেই ম্যানেজার নদীয়া জেলায় ওই ব্যাঙ্কেরই অন্য শাখায় কর্মরত। বিরাটির ওই রাষ্ট্রায়ত্ত শাখার ব্যাঙ্কের বর্তমান ম্যানেজার নথিপত্রে কিছু ভুল-ভ্রান্তি দেখতে পেয়ে গত আগস্ট মাসে এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, ব্যাঙ্ক থেকে বারাসত কদম্বগাছির ছ’জনকে একটি কারখানার জন্য ১.৫৪ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। যাতে কাগজপত্র নিয়ে কিছু সংশয় প্রকাশ করেন বর্তমান ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। এরপরেই পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কদম্বগাছিতে ওইরকম কোনও কারখানাই নেই। এমনকী কারখানার জন্য যে ট্রেড লাইসেন্স দেখানো হয়েছে, তা পঞ্চায়েত দেয়নি বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। এরপরেই পুলিস যে সমস্ত ব্যক্তিদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ঋণ দেওয়া হয়, তাঁদের খুঁজে বার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, মার্কেটিং নেটওয়ার্কের কাজে যুক্ত হয়ে এক লক্ষ টাকা রোজগারের সুযোগ রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। সেই মতো তাঁরা বিরাটির ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বাইরে গিয়ে অভিজিৎ পাল নামে এক অভিযুক্তকে সমস্ত নথি দিয়ে এসেছিলেন। পরে তাঁদের অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকাও জমা পড়েছিল। সেই সময় চেক কেটে তাঁদের অ্যাকাউন্টের অধিকাংশ টাকাই তুলে নেওয়া হয়। প্রত্যেককে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকার কথা জিজ্ঞাসা করলে, কোনও সঠিক উত্তর মেলে না। এরপরে তাঁরা আর বিশেষ খোঁজও করেনি।
পুলিস জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের কাছ থেকেই অভিজিৎ পালের সম্পর্কে জানতে পারে। পাশাপাশি অভিজিৎ পালের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া আব্দুল হাকিমের সম্পর্কেও পুলিস জানতে পারে। এরপরেই দু’জনকে কদম্বগাছি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিসি তদন্তে জানা যায়, ১.৫৪ কোটি নয়, ব্যাঙ্কে ৫০টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে অভিযুক্তরা প্রায় ৩৩ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরপরেই পুলিস নোটিস পাঠিয়ে ব্যাঙ্কের তৎকালীন ম্যানেজার এবং সহকারী ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়। সেই জিজ্ঞাসাবাদের পরই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার ধৃতদের আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাওয়া হবে বলে বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানান।