কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যানজট নিয়ে সবচেয়ে যিনি সোচ্চার ছিলেন, সেই বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী বৈঠকে গরহাজির ছিলেন। চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, ওঁনাকে ডাকাই হয়নি। কারণ, উনি থাকলে এ নিয়ে সরব হতেন। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুরু থেকে যানজটে লাগাম টানার বিরুদ্ধে এক প্রভাবশালী কাউন্সিলার বাগড়া দিচ্ছিলেন। সেই কাউন্সিলারের অঙ্গুলি হেলনে এদিন বৈঠক ডেকে তাতে সিলমোহর দেওয়া হল।
বারুইপুর শহরে সব মিলিয়ে ২৬০০ অটো চলে। এর বাইরে বিভিন্ন জায়গা থেকেও অটো আসে। এছাড়া অসংখ্য টোটো চলে। এর কারণে সবচেয়ে বেশি যানজট হয় পদ্মপুকুর থেকে রেলগেট এবং ওই জায়গা থেকে হাসপাতাল হয়ে রবীন্দ্রভবন। অটো ও টোটোর দাপাদাপিতে নাগরিকরা রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে পারে না। অনেকদিন ধরে এ নিয়ে পুর বাসিন্দারা অভিযোগ করে আসছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে বারুইপুর পুর চেয়ারম্যান সরব হন। তার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকমাস আগে বারুইপুর মহকুমা শাসকের অফিসে বৈঠক ডাকা হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, বৈধ ও অবৈধ অটোদের আলাদা করতে হবে। টোটো শহরের ভিতর দিয়ে চলবে না। পাশাপাশি লাইসেন্স নেই এমন অটোদের শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এছাড়াও বৈধ অটো চিহ্নিত করে স্টিকার দেওয়া হবে। সেইমতো যান বিভাগ ও ট্রাফিক যৌথভাবে কাজ করে। তা কার্যকর করার জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির অজুহাত দেখিয়ে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ওই বিষয় নিয়ে মহকুমা শাসকের ঘরে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ট্রাফিক বিভাগ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সকাল ৬ টা থেকে ২টো পর্যন্ত বৈধ অটোদের পদ্মপুকুর থেকে রাসমণি মাঠ পর্যন্ত চলবে। অবৈধ অটো দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চলবে। হাজির কাউন্সিলার থেকে বিধায়ক তাতে সহমত পোষণ করেননি। এরমধ্যে আইএনটিটিইউসির শহরের সভাপতি বিভাস সর্দার বলেন, জুলপিয়া, ক্যানিং, গোচরণ থেকে বাইরের অটো কেন বারুইপুরে ঢুকবে। এদের বন্ধ করে দেওয়া হোক। পাশাপাশি তাঁর প্রস্তাব ছিল টোটো বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। ভিতরের গলি দিয়ে চলুক। ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, তা হলে বারুইপুরের অটো সোনারপুর, গড়িয়া যাবে কেন? ওই এলাকা থেকেও এমন প্রশ্ন উঠতে পারে। এটা করা যাবে না। বিমানবাবু অবশ্য মুড়ি মুড়কির মতো অফার লেটার দিলেও পারমিটের কাগজ না দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।