দেশ

মোদি জমানায় চীনা পণ্যের আমদানি দ্বিগুণ, প্রশ্নের মুখে আত্মনির্ভরতার জয়ঢাক!

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চীনা পণ্যের বাজার রুখতে দেশীয় পণ্য উৎপাদনের উপর জোর দিয়েছে মোদি সরকার। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্প ইতিমধ্যেই চীনা পণ্যের বাজারকে কোণঠাসা করেছে। দাবি করছে কেন্দ্র। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি যে অনেকটাই কঠিন, তা মনে করাল ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ক্রিসিল। তাদের দাবি, মোদি আমলের গোড়ায় এদেশ থেকে যে পরিমাণ পণ্য চীনে রপ্তানি হচ্ছিল, পরিস্থিতি দশবছরে খুব একটা এগয়নি। অথচ ওই দশবছরে ভারতে চীনা পণ্যের আমদানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আমেরিকার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারত যতটা সফলতা পেয়েছে, তার একেবারে উল্টো ছবি চীনা বাণিজ্যে! বলছে ক্রেডিট রেটিং সংস্থাটি। 
নরেন্দ্র মোদি প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন ২০১৪ সালের মে মাসে। ঠিক তার আগের অর্থবর্ষে (২০১৩-১৪) চীনে মোট পণ্য রপ্তানির অঙ্ক ছিল ১,৪৮০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই অঙ্ক পৌঁছেছে ১,৬৭০ কোটি ডলারে। অর্থাৎ দশবছরে বৃদ্ধির হার নামমাত্র। অথচ এর উল্টো ছবি আমদানির ক্ষেত্রে। বলছে ক্রিসিল। তাদের হিসেব, যেখানে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে চীন থেকে পণ্য আমদানির অঙ্ক ছিল ৫,১০০ কোটি ডলার, গত অর্থবর্ষে তা ১০,১৭০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ বৃদ্ধির হার প্রায় দ্বিগুণ। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, ভারত কোনোভাবেই চীনা পণ্যের বাজার এখানে রুখতে পারেনি। 
ক্রেডিট রেটিং সংস্থাটি বলছে, অন্যদিকে, আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারত রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে। ক্রিসিলের হিসেব, দশবছর আগে যেখানে আমেরিকায় পণ্য রপ্তানির অঙ্ক ছিল ৩,৯১০ কোটি ডলার, তা বেড়ে এখন ৭,৭৫০ কোটিতে পৌঁছেছে। অন্যদিকে আমদানি ২,২৫০ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ৪,২২০ কোটি ডলার। মোট কথা, এদেশে মার্কিন মুলুক থেকে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি হয়েছে, তার চেয়ে বেশি পণ্য গিয়েছে সেদেশে। সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে ভারতই বেশি লাভবান হয়েছে। 
14h 14m ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৮৩ টাকা৮৫.৫৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.২২ টাকা১০৮.৯৬ টাকা
ইউরো৮৭.১৫ টাকা৯০.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা