দেশ

ঝাড়খণ্ডে দুই বাঙালি প্রার্থীর ভোটযুদ্ধে ইস্যু বাংলার বন্যা!

প্রীতেশ বসু, নিরসা (ঝাড়খণ্ড): প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে ক’দিন পরেই বিধানসভা ভোট। শাসক-বিরোধী সব পক্ষের প্রচার তুঙ্গে। এর মধ্যেই নজর কাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের সীমানাবর্তী কেন্দ্র নিরসার নির্বাচনী লড়াই। একাধিক কারণে এখানকার ভোটযুদ্ধ এবার উল্লেখযোগ্য। প্রথমত, এখানে মূল লড়াই হতে চলেছে দুই বাঙালি প্রার্থীর মধ্যে। প্রচার থেকে যাবতীয় নির্বাচনী কাজকর্মও চলছে বাংলায়। রাজ্যের ৮১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একমাত্র এখানেই দুই বাঙালি প্রার্থী লড়ছেন। দ্বিতীয়ত, পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়া জেলার সীমানা লাগোয়া নিরসা বিধানসভায় এবার ভোটের ইস্যু হয়ে উঠেছে দক্ষিণবঙ্গের সাম্প্রতিক বন্যা। স্থানীয় উন্নয়নের দাবিদাওয়ার পাশাপাশি ডিভিসির মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে বেশি পরিমাণে জল ছাড়া এবং তার ফলে দক্ষিণবঙ্গে ভয়াবহ বন্যা দুই বিবদমান প্রার্থীর প্রচারে উঠে আসছে। প্রসঙ্গত, যে দু’টি বাঁধ থেকে অল্প সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে জল ছাড়লে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, সেই মাইথন ও পাঞ্চেত নিরসা বিধানসভার মধ্যেই অবস্থিত।
প্রতিপক্ষ দুই বাঙালির মধ্যে একজন ‘মহাগটবন্ধন’ তথা ইন্ডিয়া জোটের  সিপিআই(এমএল) লিবারেশন প্রার্থী অরূপ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির টিকিটে লড়ছেন বিদায়ী বিধায়ক অপর্ণা সেনগুপ্ত। প্রচারে দু’জনেরই টার্গেট এই কেন্দ্রের প্রায় ৭৫ শতাংশ বাঙালি ভোটার। প্রচারপর্বের আগাগোড়া বাঙালি ছোঁয়া। বিজয়া থেকে ভাইফোঁটা—শুভেচ্ছা বিনিময়ের মোড়কে জনসংযোগ ঝালিয়ে নিতে ভুল করছেন না কেউ। বড় জনসভার বদলে বাড়ি বাড়ি প্রচারে জোর দিচ্ছেন দুই প্রার্থী। নির্ভেজাল বাংলায় চলছে প্রচার। 
উত্তরে মালদহ এবং দক্ষিণে ঝাড়গ্রাম—পশ্চিমবঙ্গের মোট ছ’টি জেলার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের সীমানা রয়েছে। সীমানাবর্তী মোট ১৮টি বিধানসভার মধ্যে চারটিতে ভোট হবে ১৩ নভেম্বর। বাকি ১৪টিতে ভোট হবে ২০ নভেম্বর। এদিনই ধানবাদ জেলার নিরসা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। পানীয় জল, কর্মসংস্থান, সেতু, ইত্যাদি ইস্যুর পাশাপাশি প্রচারে ঘুরেফিরে আসছে ডিভিসি ও বাংলায় বন্যার প্রসঙ্গ। ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বাম প্রার্থী অরূপ চট্টোপাধ্যায় ডিভিসির জলাধারগুলির নাব্যতা কমে যাওয়া নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। কিছুদিন আগে একই দাবি করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পক্ষান্তরে বিজেপি প্রার্থী বাংলায় বন্যার পিছনে ডিভিসির কোনও ‘দোষ’ দেখতেই নারাজ। তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘সব রাজ্যের প্রতিনিধিকে জানিয়ে জল ছাড়া হয়। এনিয়ে অযথা রাজনীতি হচ্ছে।’ দুই প্রার্থীকে কেন বলতে হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের বন্যা বা ডিভিসির কথা? আসলে এখানকার অনেক বাঙালি ভোটারের বহু আত্মীয়স্বজন এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় বিজেপি প্রার্থী যেভাবে ডিভিসির পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে নিরসার বহু বাঙালি তাঁর পক্ষ ত্যাগ করতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ২০১৯ সালে ২৫ হাজার ভোট জয়ী অপর্ণাদেবী অবশ্য এবার আরও বেশি ব্যবধানে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। ২০০০ সালে এই কেন্দ্রের বিধায়ক হয়েছিলেন মার্ক্সিস্ট কোঅর্ডিনেশন কমিটির (এমসিসি) গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়। ২০০৫ থেকে প্রতিটি বিধানসভায় এখানে ভোটযুদ্ধে মুখোমুখি হচ্ছেন অপর্ণাদেবী ও অরূপবাবু। ২০০৫ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন অপর্ণাদেবী। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে এমসিসির বিধায়ক ছিলেন অরূপবাবু। এবার তিনিই সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।
2d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৭ টাকা৮৫.৩১ টাকা
পাউন্ড১০৬.৬৭ টাকা১১০.৪৩ টাকা
ইউরো৮৮.২৪ টাকা৯১.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা