নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: নাবালিকা প্রেমিকাকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার ভীমপুর থানার অন্তর্গত নারায়ণপুর এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনায় ভীমপুর থানার পুলিস প্রেমিক ফারুক আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সে জানায় যে নাবালিকার মৃতদেহ কোথায় পোঁতা হয়েছে। সেইমতো আজ, রবিবার দুপুর বেলাতে নিখোঁজ নাবালিকার মৃতদেহ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উদ্ধার করা হয়। এদিনই ফারুক আহমেদকে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও খুনের কারণ ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। কি করণে নাবালিকা প্রেমিকাকে খুন করে ফারুক মাটিতে পুঁতে দিল? সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইছে তদন্তকারী অফিসাররা। ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওই নাবালিকা নিখোঁজ ছিল। তারপর পরিবারের লোকজন তার খোঁজ শুরু করে। গত শুক্রবার রাতে ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে ভীমপুর থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করা হয়। সন্দেহবশত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফারুককে প্রথমে আটক করে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে ফারুক পুলিসকে জানায় যে, ওই নাবালিকাকে খুন করে মৃতদেহ নারায়ণপুর এলাকায় একটি খালের ধারে সে পুঁতে দিয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত নাবালিকার বাড়ি ভীমপুর থানার আদিপোতা এলাকায়। নবমী শ্রেণিতে পড়ত সে। তার পার্শ্ববর্তী গ্রাম নারায়ণপুরের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ (১৮)। পুনেতে সে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে। মাস ছয় আগে ফারুক গ্রামে ফিরেছিল। আদিপোতা এলাকায় তার মামারবাড়ি। সেই সূত্রেই নদী পেরিয়ে আদিপোতাতে যেত সে। সেখানেই ওই ছাত্রীর সঙ্গে ফারুকের পরিচয় হয়। তারপর তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় বলে পুলিসের অনুমান। যদিও ওই ছাত্রীর পরিবারের দাবি, ফারুক তাদের মেয়েকে উত্তক্ত করত। তাই ছাত্রী ফারুককে পছন্দ করত না। পরিবারের দাবি, আগামী সপ্তাহে ওই ছাত্রীর বিয়ে ছিল। যা ফারুক মেনে নিতে পারেনি। সেই কারণেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ফারুক ও তার বন্ধুরা বাড়ি থেকে ওই নাবালিকাকে তুলে এনে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেয়, বলে অভিযোগ। তবে ওই ছাত্রী নিজেই ফারুকের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। কারণ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক এমনটাই দাবি করছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।