দক্ষিণবঙ্গ

শিউলিদের নিয়ে ওয়ার্কশপের পরিকল্পনা করছে ব্লক প্রশাসন 

সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর: খেজুরের রস সংগ্রহ ঘিরে গড়ে ওঠা গ্রামীণ অর্থনীতিকে বিপর্যয় থেকে রক্ষায় এগিয়ে এল কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক প্রশাসন। শিউলিদের রস সংগ্রহের প্রশিক্ষণ থেকে মার্কেটিংয়ের ব্যবস্থা করতে তারা উদ‍্যোগী হয়েছে। প্রসঙ্গত নভেম্বরের শেষদিকেও যথেষ্ট খেজুরের রস সংগ্রহ না হওয়ায় শিউলিরা সমস্যায় পড়েছেন। শীতকালে খেজুর গুড় না হলে রসনা অতৃপ্ত থেকে যায় বাঙালির। তবে ভালো খেজুর গুড় এখন কোথায়? খেজুর গুড়ের হাঁড়িতে সরু শিক ঢুকিয়ে গন্ধ নিতে গিয়ে খাদ্য রসিক বাঙালি এখন  দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। মেলে না আগের মতো সুবাস। কমছে রসের মান ও পরিমাণও। কিন্ত বর্তমানে ভালোমন্দ সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু জমিয়ে শীত না পড়ায় খেজুর রসের অপ্রতুলতা নিয়ে। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় নভেম্বর মাস  প্রায় শেষ হতে চললেও এখনও মিলছে না খেজুরের রস। উদ্বেগে শিউলিরা। শুধু শিউলিরা নয়, এই রসের উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠা গ্রামীণ অর্থনীতি ব্যাপক ভাবে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এই রসে হওয়া গুড় জেলা ছাড়িয়ে রেলে, বাসে, ছোট গাড়িতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়। শীত মরশুমে মিষ্টান্ন শিল্পে খেজুর গুড়ের চল সর্বত্র। অর্থাৎ এই গোটা ব্যবস্থাটার উপর রয়েছে কয়েক হাজার মানুষের রুটিরুজি। কৃষ্ণগঞ্জের বিডিও সৌগতকুমার সাহা বলেন, আমরা এ নিয়ে কিছুদিন ধরে ভাবনাচিন্তা করেছি। তাতে ঠিক হয়েছে, শিউলিদের নিয়ে একটা ওয়ার্কশপ করা হবে। যাতে তাঁরা এই পরিস্থিতিতে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে পারেন। সৌগতবাবু আরও  বলেন, খেজুর গুড় বিক্রি করে যাতে তাঁরা ভালো দাম পান, তার জন্য মার্কেটিংয়ের বিষয়েও আমরা ভাবছি। জানা গিয়েছে, কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মাজদিয়ায় বিখ্যাত খেজুর গুড়ের হাট রয়েছে। গোটা ব্লকে শিউলি থেকে গুড় ব্যবসায়ীর সংখ্যা মিলিয়ে কয়েক হাজার। খেজুর গুড়ের মরশুমে পাঁচশোর বেশি শিউলি দুটো পয়সার আশায় ভাজনঘাট থেকে মাজদিয়া বাস স্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তার ধারে সাইকেলে গুড় নিয়ে দাঁড়ান। কিন্ত এ বছর আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এখনও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েনি। তাতে ভালো রসের জন্য শিউলিদের অপেক্ষা কর‍তে হচ্ছে। ১ কেজি খাঁটি খেজুর গুড়ের দাম ২৮০ টাকা পড়ে যায়। কিন্তু খেজুর গুড় বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরেও পাওয়া যাচ্ছে। এই দামে খাঁটি খেজুর গুড় কীভাবে দেওয়া সম্ভব? এ প্রশ্ন গুড় ব্যবসায়ীদের। তাঁদের সাফ কথা, গুড়ে চিনি মেশানো হচ্ছে। তার জন্য গুড়ের মানও কমতে শুরু করছে। গুড়ে লাল রং আনার জন্য চিনি পুড়িয়েও ব্যবহার করা হচ্ছে। গেদে মাঝেরপাড়ার গুড় ব্যবসায়ী বিপ্লব মণ্ডল বলেন, এখনও ভালো ঠান্ডার দরকার আছে। তবেই ভালো খেজুর রস পাওয়া যাবে। ঠান্ডার জন্য ব্যবসাও মার খাচ্ছে। আমাদের ৮০টা খেজুর গাছ আছে। বর্তমানে গাছ ঝুড়ানোর কাজ চলছে। খালবোয়ালিয়ার শিউলি অশোক বিশ্বাস বলেন, খেজুর গাছ এখন কেটে ফেলা হচ্ছে। পরবর্তী প্রজন্মও আর এই কাজে আসতে চাইছে না। ফলে একটা সমস্যা হচ্ছে। তবে সব থেকে বড় সমস্যা ভালো ঠান্ডা না পড়া। তাতে খেজুর গুড়ে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষের সমস্যা হচ্ছে।
2h 2m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৬৭ টাকা৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড১০৪.৫৫ টাকা১০৮.২৭ টাকা
ইউরো৮৬.৮৯ টাকা৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
23rd     November,   2024
দিন পঞ্জিকা