যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এবছর সাত বছরে পা দিল এই উদ্যোগ। ছোটদের নাটকে উৎসাহ যোগাতে তারা পৌঁছে গিয়েছিলেন স্কুলগুলিতে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বোঝালেন উৎসাহের সারমর্ম। আয়োজন করলেন বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে নাট্য কর্মশালা। তাদের অভিনয়ে মঞ্চ হয়েছে রামধনুর রঙে রাঙা।
এইভাবে চলতে চলতে সাত বছরে পা। প্রতি বছরের মতো আরও নতুন নতুন ছাত্রছাত্রীদের দক্ষতাকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে আয়োজন করা হয় চার দিনের নাট্য উৎসব। এবছরও এই নাট্য উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল হাওড়ায়। ফণীন্দ্রনাথ কিন্ডারগার্টেন হোম বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের মঞ্চে অভিনীত হয় নাটকগুলি। চারদিনে মোট ১১ টি নাটক মঞ্চস্থ হয়। তার মধ্যে একটি হিন্দি নাটকও ছিল। হাওড়া সংঘ আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিবেদন ছিল ‘প্রথম চরণধ্বনি’, সেন্ট ভিনসেন্ট ডে স্কুলের হিন্দি নাটক ‘রক্ষক-দ্য স্যাভিয়র’, সালকিয়া বালিকা বিদ্যালয় ও শিল্পাশ্রমের নাটক ছিল ‘শুদ্ধ মাটির সন্ধানে’, হাওড়া যোগেশচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের মেয়েরা মঞ্চস্থ করেন ‘কাঁদছে মানুষ বন্ধু চেয়ে’, সালকিয়া এ এস হাই স্কুলের নিবেদন ছিল ‘জয় বাবা হনুনাথ’, বি ই কলেজ মডেল স্কুলের উপস্থাপনা ছিল ‘হট্টমালার ওপারে’, হাওড়া জিলা স্কুলের নিবেদন ছিল ‘বিদূষক’, সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউশন মঞ্চস্থ করে ‘মাইলস্টোন’ , বেলুড় হাইস্কুলের ‘ষাঁড় কথা’, হাওড়া অক্ষয় শিক্ষায়তন স্কুলের ‘মেজদা ও অন্যান্য’।
উৎসবের শেষ নিবেদন ছিল শিল্পী সংঘ প্রযোজিত বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে কর্মশালা ভিত্তিক প্রযোজনা ‘হিজিবিজি গপ্পো’।
প্রতিটি নাটকে একটা বার্তা দেওয়া হয় সমাজের প্রতি। তুলে ধরা হয় ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখতে। বাবা মায়ের সন্তানদের প্রতি সহানুভূতিশীল,সংকীর্ণতার বোধগুলিকেও নাড়িয়ে দেওয়া হয় নাটকে। মানুষের অসময়ে তার পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও ছিল নাটকগুলিতে।
অনুষ্ঠানের সূচনা করেন নাট্যকার ও নির্দেশক দেবাশিস মজুমদার। হাজির ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব অমিতাভ দত্ত ও গৌতম দত্ত। চারদিন নাট্যপ্রিয় মানুষের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছিল মঞ্চ প্রাঙ্গন। অভিভাবকদের হাত ধরে নাটক দেখতে এসে ছিল কচিকাঁচারাও।
তাপস কাঁড়ার