Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অর্থনীতি ‘ডেঞ্জার জোন’-এ প্রবেশ করেছে
পি চিদম্বরম

২০১৪-র নির্বাচনে পাল্লা দিতে নেমে নরেন্দ্র মোদি অর্থনীতি বিষয়ে একটি হঠকারী মন্তব্য করে বসেছিলেন। প্রতিক্রিয়ায় আমি বলেছিলাম, ‘‘মোদিজির অর্থনৈতিক জ্ঞানটা একটি ডাক টিকিটের পিছনেই লিখে ফেলা যেতে পারে।’’ আমার মন্তব্যটি নির্দোষ ছিল, কিন্তু আমার বিশ্বাস, ওই মন্তব্যের কারণে মোদিজি আমাকে ক্ষমা করেননি! এটা কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, কিন্তু সময় বলে দিচ্ছে যে সেদিন আমি ঠিকই বলেছিলাম।
মোদি সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ অন্তে তার ত্রুটি-বিচ্যুতির ভিত্তিতে আমরা একটি লম্বা ‘চার্জশিট’ তৈরি করে ফেলতে পারি। আমার মতে, ওই তালিকার শীর্ষে থাকবে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি। অব্যবস্থার কারণগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: (১)ম্যাক্রো-ইকনমিক্স সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর অজ্ঞতা এবং যেটা জানা নেই তা শিখে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অনীহা; (২) সরকারের পলিসি পরিবর্তনে ব্যবসা-বাণিজ্য, লগ্নিকারী এবং উপভোক্তার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সেই বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর অক্ষমতা; এবং (৩) অর্থনীতিবিদদের প্রতি সরকারের অবজ্ঞা এবং আমলাদের উপর মাত্রাতিরিক্ত আস্থা।
একটি অন্যরকম খেলা
ভারতশাসন করা আর একটি রাজ্য সরকার পরিচালনা করা একেবারে অন্যরকম একটি ব্যাপার। একজন মুখ্যমন্ত্রীকে মুদ্রার বিনিময় হার, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি, মানিটারি পলিসি অথবা বিদেশের সঙ্গে বাণিজ্য-সম্পর্কের পরিবর্তন (যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক যুদ্ধ অথবা ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা) নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হতে হয় না। একজন মুখ্যমন্ত্রী দক্ষতার সঙ্গে তাঁর রাজ্যের অর্থনৈতিক দিকগুলি সামলে নিতে পারেন যদি রাজ্যের রাজস্ব আদায়টা ঠিকমতো হয়, খরচের উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ রাখেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অনুদান পেয়ে যান এবং ভালোমতন বেসরকারি লগ্নি আকর্ষণ করতে পারেন। মজবুত গণভিত্তি আছে এইরকম অনেক মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদীক্ষা না-থাকা সত্ত্বেও প্রশংসিত হয়েছেন, রাজ্যের অর্থনীতিটা চাঙ্গা রেখে দেওয়ার কারণে।
ভারতের অর্থনীতি সামলে দেওয়াটা হল একেবারে অন্যরকম একটি খেলা। সফল মুখ্যমন্ত্রীরাও অর্থমন্ত্রী পদে গিয়ে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা’ হয়েছেন। অন্যদিকে, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছাড়াই ড. মনমোহন সিং একজন অতুলনীয় অর্থমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন, কারণ তাঁর ছিল ম্যাক্রো-ইকনমিক্সে পণ্ডিত্য এবং প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে নিরন্তর হৃদ্য যোগাযোগ। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই যে উদারিকরণ অথবা যেসব আর্থিক সংস্কার সম্ভব হয়েছে এ-দেশে, ড. মনমোহন সিং ছাড়া এসব সম্ভব ছিল না।
ভুলের পর ভুল
অর্থনীতির মতো একটা বিরাট জিনিস সামলাবার ভারটা অনভিজ্ঞ এবং স্বৈরাচারীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হলে তার ফল মিলতেও দেরি হয় না। ডিমনিটাইজেশন বা বিমুদ্রাকরণ হল এই ঘটনার একটি ‘ক্লাসিক’ উদাহরণ। সামান্য আন্ডার গ্রাজুয়েট ডিগ্রিধারী কোনও অর্থনীতিবিদও একজন প্রধানমন্ত্রীকে দেশের চালু মুদ্রার ৮৬ শতাংশকেই ‘বেআইনি নোট’ ঘোষণা করে দেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন না, তবু এটাই হয়েছে এই আমলে।
যেহেতু অরুণ জেটলি প্রকাশ্যে কোনোদিন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেননি, তাই সিদ্ধান্তগ্রহণের দায়ের পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীর উপর বর্তায়। কৃতিত্বের সঙ্গেই এই ঘটনার দায়িত্ব মোদিজি স্বীকার করেছেন, কিন্তু তিনি মানেননি যে ডিমনিটাইজেশন অর্থনীতিকে বেলাইন করে দিয়েছে, ছোট ও মাঝারি (এমএসএমই) শিল্প ধ্বংস করেছে, চাকরি খেয়েছে এবং কৃষিক্ষেত্রের সঙ্কটটাকে তীব্রতর করেছে।
বিমুদ্রাকরণের অনুসরণে আরও অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মানুষের অর্থনৈতিক চরিত্রকে গুরুত্ব না-দিয়ে বাজেট রচনা করা হয়েছে; জিএসটি নির্ধারণ করা হয়েছে অত্যন্ত অদক্ষতার সঙ্গে এবং তারপর এটার রূপায়ণ ঘটেছে তড়িঘড়ি; অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) বিষয়টি আনাড়ির মতো সালটানো হয়েছে; রাজস্ব সংগ্রহের অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে সেটা পূরণ করার জন্য যা করা হয়েছে তা তো বেআইনি ব্যাপার এবং স্বৈরশক্তির প্রয়োগ মাত্র; এবং পরিকাঠামোগত অর্থনৈতিক সমস্যায় সমানে আমলাতান্ত্রিক জোড়াতাপ্পির সমাধান সন্ধান করা হয়েছে।
খারিজ রিপোর্ট কার্ড
অর্থমন্ত্রকের অধীন ইকনমিক অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট পাঁচটি অর্থবর্ষ শেষে একটি রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করেছে। সহায়ক হিসেবে, ২০১৬-১৭ সালে যে বিমুদ্রাকরণ করা হল তার পরবর্তী বছরগুলির তথ্য ওই রিপোর্টে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে দেওয়া হল। ওই রিপোর্টের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হেডলাইনগুলি নিম্নরূপ:
(এক) অর্থবর্ষ ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯-এর প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধি নেমে গিয়েছে ৮.২ শতাংশ থেকে ৭.২ শতাংশে, সেখান থেকে ৭.০ শতাংশে। তার মানে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৬.৫ শতাংশে।
(দুই) মোট আর্থিক ঘাটতি (গ্রস ফিনান্সিয়াল ডেফিসিট) ছিল জিডিপির ৩.৫, ৩.৫ এবং ৩.৪ শতাংশ। ২০১৮-১৯ সালের সংখ্যাটি ওইরকম হওয়ার কারণ হিসেবে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে কর আদায়ের হার সংশোধিত হিসেবের (রিভাইজড এস্টিমেট) থেকে ১১ শতাংশ কম হয়েছিল।
(তিন) মূলধনী ব্যয় থমকে ছিল: ২০১৮-১৯ সালের জিডিপির ১.৭ শতাংশ, এটাই ছিল ২০১৫-১৬ সালে।
(চার) জিডিপি ডিফ্লেটর, যেটা কিনা ইনফ্লেশন বা মুদ্রাস্ফীতির দ্যোতক, সেটা ৩.১ শতাংশ থেকে ৪.২ শতাংশে চড়ে গিয়েছিল।
(পাঁচ) কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতির (সিএডি) পরিমাণটা জিডিপির .৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছিল ১.৯ শতাংশ, সেখান থেকে ২.৬ শতাংশ।
(ছয়) বেসরকারি উপভোগ ব্যয় এবং সরকারি উপভোগ ব্যয় দুটিই থমকে গিয়েছিল।
(সাত) স্থায়ী বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৮.২ শতাংশ থেকে ২৮.৯ শতাংশের মধ্যে থমকে ছিল—যেটা ২০১১-১২ অর্থবর্ষে অর্জিত ৩৪.৩ শতাংশের অনেক নীচে।
(আট) কৃষিক্ষেত্রে দুর্দশার ছবিটা প্রতিফলিত হয়েছে জিভিএ (গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড) বৃদ্ধির হারের স্পষ্ট হ্রাসের ভেতর—৬.৩ থেকে ৫.০, তার থেকে ২.৭ শতাংশ।
(নয়) শিল্পক্ষেত্রে জিভিএ বৃদ্ধি নিশ্চল; পরিষেবা ক্ষেত্রে জিভিএ বৃদ্ধির হার নিম্নগামী—৮.৪ থেকে ৮.১, তার থেকে ৭.৪ শতাংশ।
(দশ) ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে পোর্টফোলিয়ো ইনভেস্টমেন্টের নিট ফ্লো ছিল নেতিবাচক।
বিজেপির দম্ভ ঘুচে গিয়েছে। অর্থনীতি নিয়ে আমাদের সবচেয়ে খারাপ আশঙ্কাটাই ফলে গেল! উপরন্তু, কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অফিসের (সিএসও—যেটাকে ইতিমধ্যেই অনেক অর্থনীতিবিদ সন্দেহের চোখে দেখছেন) পক্ষ থেকে যে বৃদ্ধির হার ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে। ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিস (এনএসএসও) ইতিমধ্যেই গত ৪৫ বছরের ভিতরে সবচেয়ে বেশি বেকারত্বের রিপোর্ট দিয়েছে। তারাই ফাঁস করে দিয়েছে, কেন্দ্রীয় কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রকের যে এমসিএ-২১ ডেটা বেস সিএসও ব্যবহার করেছে তাতে বিরাট গলদ ছিল। এটা প্রতিপন্ন হল যে এমসিএ-২১ ডেটা বেসের অন্তর্ভুক্ত ৩৬ শতাংশ কোম্পানি নিষ্ক্রিয় অথবা সেগুলির কোনও হদিশই নেই!
অনেক বছর ভারতীয় অর্থনীতি এতটা দুর্বল হয়নি। সুতরাং, মোদিজি অর্থনীতিকে এড়িয়েই আখ্যান ফাঁদার চেষ্টায় আছেন। পরবর্তী দফার ভোটাদের সামনে এটাই বড় সাবধানবাণী।
13th  May, 2019
পশ্চিমবঙ্গের ভোট বিশ্লেষণ
শুভময় মৈত্র

 এ লেখা যখন আপনারা পড়ছেন, ততক্ষণে বুথফেরত সমীক্ষা আপনাদের হাতে। কিন্তু সমীক্ষা মানেই যে সেটা মিলবে এমনটা নয়। তার কারণ দুটো। এক হল সমস্ত সমীক্ষারই সফল হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। ঘুরিয়ে বললে সম্ভাবনা থাকে ব্যর্থ হওয়ারও।
বিশদ

ভোট ও বুথ-ফেরত সমীক্ষার হাল-হকিকত
অতনু বিশ্বাস

ছ’সপ্তাহ-ব্যাপী লোকসভা নির্বাচন। সাত দফায়। তারও প্রায় পাঁচ সপ্তাহ আগে থেকে প্রচার, ইত্যাদি। আর এখন এক ক্লান্তিকর সময়কালের পরিসমাপ্তিতে অপেক্ষ্যমান জনগণ। কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার মত অনভিপ্রেত ঘটনার অভিঘাতে বিমূঢ়, রাজনৈতিক চাপান-উতোর আর হানাহানিতে দীর্ণ, এবং সুদীর্ঘ ভোটপর্বের শেষে গোটা ভারতবর্ষ এখন তাকিয়ে আছে বৃহস্পতিবারের দিকে।
বিশদ

অবশেষে সমাপ্ত, তিক্ততাসহ
পি চিদম্বরম

বিজেপি প্রচারের গোড়ায় ‘গিয়ার’ বদলে নিয়েছিল। ‘আচ্ছে দিন’-এর কথা ভুলক্রমেও উচ্চারিত হয়নি। ২০১৪ সালের প্রতিশ্রুতিগুলি বিজেপির জন্য এক বিড়ম্বনায় পরিণত হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদি ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’, পুলওয়ামা-বালাকোট এবং জাতীয়তাবাদের ছত্রছায়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ হল স্রেফ একটা ক্রস-বর্ডার অ্যাকশন বা সীমান্ত টপকে হানা—যা দিয়ে পাকিস্তানকে কোনোরকমে নিরস্ত করা যায়নি।
বিশদ

20th  May, 2019
নতুন বন্ধুর খোঁজে কংগ্রেস ও বিজেপি
শুভা দত্ত

বিজেপি যদি ২২০ থেকে ২৩০-এর বেশি আসন না পায়, তখন কী হবে? এনডিএ-র শরিকরা একবাক্যে বলবে, মোদির ভুলভাল সিদ্ধান্তের জন্যই ভোটার বিমুখ হয়েছে, সুতরাং তাঁকে আর প্রধানমন্ত্রী করার দরকার নেই। আরএসএস অবশ্য তাঁকে সরাতে চাইবে না। এই অবস্থায় অমিত শাহরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন যাতে আরও কয়েকটি দলকে তাঁদের সমর্থনে পাওয়া যায়। বিজেপি যদি ১৪০ থেকে ১৬০-এর মধ্যে আসন পায়? তাহলে নিশ্চিতভাবেই মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা জলাঞ্জলি যাবে। যতই নতুন বন্ধু আসুক, দিল্লিতে সরকার গড়া কিছুতেই সম্ভব হবে না। বিজেপিকে বসতে হবে বিরোধী আসনে।
বিশদ

20th  May, 2019
শেষ দফার ভোটে শান্তি বজায় রাখাই
আজ কমিশনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ

শুভা দত্ত

দেখতে দেখতে সাত দফার লম্বা ভোটযুদ্ধ শেষ হয়ে এল। আজ সপ্তম, তথা শেষ দফা। তারপরই শুরু হয়ে যাবে লোকসভা মহাযুদ্ধের চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য কাউন্টডাউন। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৩টির ভোটগ্রহণ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর সমেত বাকি ন’টি আসনের ভাগ্য নির্ধারিত হবে আজ। 
বিশদ

19th  May, 2019
ভোট কেন দেশের
নামে হল না?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে একটি প্লাইউডের কাটআউট। মাঝখানটা জানালার মতো কেটে জায়গা করা। সেলফি জোন বা সেলফি পয়েন্ট। অবশ্য সেটা নামেই। নিজে ছবি তুললে ইমপ্যাক্ট পড়বে না। বরং বিষয়টা এমন, ভোট দিয়ে বেরিয়ে ভোটার সেখানে দাঁড়াবেন... উল্টোদিক থেকে কেউ ছবি তুলবে।
বিশদ

18th  May, 2019
এবার ভোটে যে-কথা কেউ বলেনি
শুভা দত্ত

 ভোটপর্ব শেষ হয়ে এল। সামনের রবিবারেই ভোটগ্রহণ শেষ। প্রচারও শেষ হল। বৈশাখের দহন জ্বালা যত বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনীতির উত্তাপ। মারদাঙ্গা, ভাঙচুর, ব্যক্তিগত আক্রমণ, সবই চলছে। এবার একটা বড় ইস্যু দেশের সুরক্ষা। তার সঙ্গে দুর্নীতি, বেকারত্ব, চাষিদের দুর্দশা এসবও আছে। কিন্তু একটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলেনি। বিষয়টি হল বায়ুদূষণ। বিশদ

17th  May, 2019
বিদ্যাসাগর ও স্বাজাত্যবোধ
সমৃদ্ধ দত্ত

 শুধু রেগে গেলে চলবে কেন? একটু বুঝতেও তো হবে। মূর্তি ভাঙা তো একটা কার্য। প্রতিটি কার্যের পিছনে একটি কারণও থাকে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার মধ্যে অনেক অবদমিত অপ্রাপ্তি ও দীর্ঘকালের ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভের আবেগকে উড়িয়ে দিলে তো হবে না। একটু সহানুভূতির সঙ্গে বিশ্লেষণ করতে হবে।
বিশদ

17th  May, 2019
ভোট গণনার সেকাল
একাল ও নতুন চ্যালেঞ্জ
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচনী রাজসূয় যজ্ঞের চূড়ান্ত পর্বে ভোট গণনা ও ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সমগ্র ভারতবাসী তথা বিশ্ববাসী। বিগত কয়েক মাস ধরে চলা রাজনীতির ঘাত-প্রতিঘাত, চাপানউতোর, দাবি, পাল্টা দাবির সত্যতা উঠে আসবে গণনার মধ্য দিয়ে।
বিশদ

16th  May, 2019
সবার উপরে ভোট সত্য
হারাধন চৌধুরী 

সিকি শতক আগের কথা। কর্মসূত্রে মেদিনীপুর শহরে থাকি। গ্রীষ্মের সকাল। ভোটের দিন। ভোটের খবর নিতে বেরনোর আগে চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দেব। পঞ্চুরচকে চায়ের দোকানে এসেছি। এক ফেরিওয়ালার সঙ্গে দেখা।  
বিশদ

14th  May, 2019
মমতার নেতৃত্ব মানতে কংগ্রেসি অনীহা কি আখেরে মোদিজির সুবিধে করে দিল?
শুভা দত্ত

প্রবল তাপে পুড়ছে রাজ্য। আকশে মেঘের চিহ্নমাত্র নেই। ঘূর্ণিঝড় ফণীর হাত থেকে এ যাত্রায় রেহাই মিললেও কাঠফাটা রোদ আর মাথা ঘোরানো গরমের হাত থেকে রেহাই মিলছে না। বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার মতো রুখু জেলাগুলো ইতিমধ্যেই চল্লিশ ছাড়িয়েছে, মহানগরী কলকাতাও বসে নেই। সেও প্রায় চল্লিশের ঘরে!
বিশদ

12th  May, 2019
তাহলে, হাওয়া
এবার কোন দিকে?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে মোট সাত দফা ভোটগ্রহণের পাঁচটি দফাই সম্পূর্ণ হয়ে গেল। গোটা দেশে। আমাদের রাজ্যেও। বাকি দুটি দফায় মাত্র ১১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। যদিও ওইসব কেন্দ্রের ভোট বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক গুরুত্বের বিচারে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
বিশদ

11th  May, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ২০ মে (পিটিআই): ভোট পরবর্তী এক্সিট পোল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। যদিও গেরুয়া শিবির রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। সপ্তম দফার নির্বাচনের পর এক্সিট পোলে ইঙ্গিত মিলেছে, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরছেন মোদি সরকার। শুধু ফিরছে না। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ছেলের হাতে খুন হলেন মা। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুর থানার করুণাময়ীতে। মৃতার নাম অপু সরকার (৪৪)। ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরে গুণধর ছেলে নিজেই এসে থানায় আত্মসমর্পণ করে। পুলিস জানিয়েছে, ওই ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে চরম বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপের হুঁশিয়ারি, ২৩ মে ভোটের ফল বেরনোর পর শাসকদলের দুষ্কৃতীরা হিংসা ছড়ালে তার ভয়ঙ্কর পরিণামের জন্য তৈরি ...

 কাজল মণ্ডল  ইসলামপুর, সংবাদদাতা: ইসলামপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হতেই জয় নিশ্চিত বলে দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আবদুল করিম চৌধুরী। ভোটগ্রহণ হয়েছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৫: কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর জন্ম
১৯২১: নোবেলজয়ী সোভিয়েত বিজ্ঞানী আন্দ্রে শাখারভের জন্ম
১৯৯১: ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৫ টাকা ৭০.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৮৮ টাকা ৯০.১১ টাকা
ইউরো ৭৬.০৬ টাকা ৭৮.৯৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,০৬৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৪২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০,৮৭৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৬,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৬,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ২১ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, তৃতীয়া ৫১/৪৭ রাত্রি ১/৪১। মূলা ৫৬/২৩ রাত্রি ৩/৩১। সূ উ ৪/৫৮/১২, অ ৬/৮/০, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে ৪/২২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৫ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫০ মধ্যে।
৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ২১ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, তৃতীয়া ৫২/৪৪/৩৭ রাত্রি ২/৩/৪০। মূলানক্ষত্র ৫৮/১১/৫৫ শেষরাত্রি ৪/১৪/৩৫, সূ উ ৪/৫৭/৪৯, অ ৬/১০/৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/২ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৪ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৬/৫১ গতে ৮/১৫/৫৩ মধ্যে, কালবেলা ১/১২/৫৯ গতে ২/৫২/১ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩১/৩ গতে ৮/৫২/১ মধ্যে।
১৫ রমজান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল

মেষ: গোপন প্রেম থাকলে তা প্রকাশিত হবে। বৃষ: যদি ব্যবসা করার ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৩৫: কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর জন্ম১৯২১: নোবেলজয়ী সোভিয়েত বিজ্ঞানী আন্দ্রে শাখারভের ...বিশদ

07:03:20 PM

মাধ্যমিকের প্রথম সৌগতকে সাহায্যের আশ্বাস পার্থর
আজ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পর প্রথম স্থানাধিকারী সৌগত দাসকে ফোন ...বিশদ

04:54:19 PM

১২৮১০ হাওড়া-মুম্বই (সিএসএমটি) মেল আজ রাত ৮টার বদলে রাত ৯:১৫ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়বে 

03:53:16 PM

মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হওয়ায় পূঃ বর্ধমানের গোপালপুরে আত্মঘাতী ছাত্রী  

03:34:10 PM

খড়্গপুরের আইটিআইয়ের কাছে যুবককে গুলি করে খুন

03:31:00 PM