Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতার নেতৃত্ব মানতে কংগ্রেসি অনীহা কি আখেরে মোদিজির সুবিধে করে দিল?
শুভা দত্ত

প্রবল তাপে পুড়ছে রাজ্য। আকশে মেঘের চিহ্নমাত্র নেই। ঘূর্ণিঝড় ফণীর হাত থেকে এ যাত্রায় রেহাই মিললেও কাঠফাটা রোদ আর মাথা ঘোরানো গরমের হাত থেকে রেহাই মিলছে না। বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার মতো রুখু জেলাগুলো ইতিমধ্যেই চল্লিশ ছাড়িয়েছে, মহানগরী কলকাতাও বসে নেই। সেও প্রায় চল্লিশের ঘরে! রাজ্যের আট জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে! ফলে গোটা রাজ্য জুড়েই হাঁসফাঁস জীবন, কাজকর্মের স্বাভাবিক ধারা বজায় রাখতে প্রকৃত অর্থেই মাথার ঘাম পায়ে ঝরছে মানুষের। তবে, এই চড়া গরমের মধ্যে নতুন লোকসভার জন্য লড়াই কিন্তু অব্যাহত এবং সে লড়াই এখন একেবারে তুঙ্গে। সেই লড়াইতে শামিল হতে ভোটপ্রার্থী, ভোটকর্মী থেকে ভোটদাতা সাধারণ মানুষ সকলেই নাজেহাল, ওষ্ঠাগত প্রাণ।
কিন্তু তাতে কী? ভোট বলে কথা, তায় রাজ্যটার নাম পশ্চিমবঙ্গ। রোদ গরমের সাধ্য কি এখানে ভোটের লড়াইতে বাদ সাধে! ঝরুক ঘাম, ঘুরুক মাথা, তেষ্টায় ছাতি ফেটে যাক, রোদের ঝলসানিতে ধাঁধিয়ে যাক চোখ—ভোটের লড়াই চলছে, চলবে। দেখতে দেখতে সাত দফা লড়াইয়ের পাঁচ দফা তো শেষ। আজ ষষ্ঠ দফা। রাজ্যের আরও কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রের ভাগ্য ঠিক হয়ে যাবে আজ। বাকি থাকবে কলকাতা সহ আর কয়েকটি আগামী রবিবারের জন্য—সেদিনই শেষ দফা। আর ঠিক তার তিন দিন পর ২৩ মে জানা যাবে আগামী পাঁচ বছর দিল্লি কার, কে চালাবেন দেশ। দেশের আমজনতা বেছে নিলেন কাকে—বিদায়ী শাসক মোদিজিকে, না কি বিরোধী শিবিরের কাউকে? ভোটের লড়াই যত শেষের দিকে আসছে এই প্রশ্নের চূড়ান্ত উত্তর নিয়ে গণকৌতূহল তত বাড়ছে। এবং সেটাই স্বাভাবিক। সত্যি বলতে কী, এই কৌতূহল যে কেবল দেশ-জনতাকেই মজিয়েছে এমন নয়, দেশ রাজনীতির অন্দর-বাহির থেকে রাজনৈতিক আলোচক, বিশ্লেষক সকলকেই আচ্ছন্ন করেছে। মোদিজি না রাহুল, রাহুল না মমতা—কে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে জল্পনা যথেষ্টই জমে উঠেছে। তার কারণ দেশ জুড়ে এবারের ভোটফল নিয়ে অঙ্কের যত ছড়াছড়িই হোক এখনও নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারছেন না নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শেষ অবধি কটা সিট পাবে। একটা কথা অবশ্য মোটের ওপর সকলেই বলছেন, এবার মোদিজির দল গতবারের চেয়ে বেশ কিছু আসন কম পাবে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশার মতো রাজ্যগুলির সঙ্গে দক্ষিণেও তাঁর দল প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না—সম্ভাবনা নাকি এমনই। এই ঘাটতি মেটাতেই নাকি এবার পূর্ব ও উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তার জন্যই নাকি পশ্চিমবঙ্গে নজিরবিহীন সংখ্যায় সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী! অবশ্য তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ রাজ্যে জনমন কতটা ভিজবে, ভোটবাক্সে তাঁরা পদ্মদলকে কতটা সমর্থন জানাবে—তা নিয়ে সংশয় ফুরোচ্ছে না।
তবে, এক্ষেত্রেও সর্বস্তরেই একটা মত কমন—এবার বঙ্গে বিজেপি বাড়ছে। ২০১৪ সালে পাওয়া মাত্র দুটি আসন এবার চার ছটা বেড়ে গেলে আশ্চর্যের কিছু নেই। জনতা বলছে, বিশেষজ্ঞদের অনেকেও বলছেন এই সম্ভাবনার কথা। তবে, এই চলতি মতও শেষ বিচারে গ্রহণযোগ্য হবে কতটা তা নিয়েও ধন্দ আছে বহুজনার। মোজিদি যেভাবে সভায় সভায় জনতার নয়নের মণি মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে লক্ষ্য করে কড়া কড়া কথা বলছেন, কোলমাফিয়া, সিন্ডিকেট, নারদা-সারদা ইত্যাদি নিয়ে তোপ দাগছেন—তাতে তাঁর সভায় উপস্থিত জনতাই কতটা খুশি হচ্ছেন তা নিয়েও তথ্যভিজ্ঞদের অনেকের সন্দেহ আছে। কেননা, যাঁদের সামনে প্রধানমন্ত্রী এসব বলছেন তাঁরা পদ্মপার্টির সমর্থক হতে পারেন, সভাতেও যেতে পারেন কিন্তু তাঁরাও গত কয়েক বছর ধরে এ রাজ্যের ব্যাপক উন্নয়নের স্বাদ পেয়েছেন, উন্নয়নের সুবাদে জীবনযাত্রায় আধুনিক পৃথিবীর সুযোগ সুবিধার স্পর্শ পেয়েছেন—এবং এই অভাবনীয় উন্নয়নের কারিগর যে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর একক ঐকান্তিক প্রয়াসেই যে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে সিপিএমের ফেলে যাওয়া রুগ্ন মৃতপ্রায় শিল্পহীন বাংলা আজ আলোয় উজ্জীবিত বিশ্ববাংলায় পরিণত হয়েছে, বিশ্বের দরবারে সেরার শিরোপা পাওয়া উন্নয়নের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে, শিল্পে বিনিয়োগে কর্মসংস্থানে শান্তি-সংহতিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে দেশের মধ্যে অগ্রগণ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে—তাও জেনেছেন। এমন পরিস্থিতিতে এহেন মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ক্রমাগত কটু কথার রাজনীতি কতটা তাঁরা গ্রহণ করবেন, কতটা তাতে প্রভাবিত হবেন—তা নিয়ে প্রশ্ন থাকে বইকি।
সত্যি বলতে কী, দেশের সামগ্রিক সম্ভাব্য ভোটফলের সঙ্গে বাংলার তফাৎটা হয়ে যাচ্ছে এখানেই। দিল্লির মসনদে মোদিজি ফিরছেন কি ফিরছেন না তা নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে দ্বিধা সংশয়ের কোনও প্রশ্নই উঠছে না! বরং, মমতার দাবি মতো ৪২-এ ৪২ হয়ে যেতেও পারে—এমন একটা বিশ্বাস বাতাসে ইতস্তত ঘুরছে। সে হোক বা না হোক শেষ লোকসভায় মমতার তৃণমূলের পাওয়া ৩৪ আসনে যে হাত পড়ছে না বরং তাতে নতুন করে দু-একটা যোগ হতে পারে এমনই মত দিচ্ছেন অনেক বিশ্লেষক। তাঁদের মতে, কংগ্রেস, সিপিএমের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতায় ভাটা এবং মা-মাটি-মানুষের প্রতি মমতার ঐকান্তিক দায়বদ্ধতা এবং নজিরবিহীন উন্নয়ন এই ভাবনার প্রেক্ষাপট রচনা করেছে। ক্ষমতায় এসে ইস্তক একনিষ্ঠভাবে মমতা তাঁর দায়বদ্ধতা যেমন অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন, তেমনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রতিশ্রুত উন্নয়নের সফল বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন এবং ঘটিয়ে চলেছেন। ফলে এই রাজ্যের মানুষের কাছে তাঁর ভাবমূর্তি আজ কার্যত অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাঁকে ছোঁবে কে?
শুধু রাজ্যে কেন, দেশের বাদবাকি অংশেও তাঁর এই লড়াকু উন্নয়নকামী গরিব সাধারণের প্রতি দায়বদ্ধ ভাবমূর্তির প্রভাব যথেষ্ট। দেশের রাজনৈতিক শিবিরগুলি সেটা বেশ ভালোই জানে। গোটা ভারতে তাঁর মতো জনপ্রিয় প্রভাবশালী নেত্রী ক’জন আছেন বলুন তো? নরেন্দ্র মোদির মতো জবরদস্ত প্রতিপক্ষকে ভোটযুদ্ধে ধরাশায়ী করতে তাঁর সমকক্ষই বা ক’জন? কিন্তু, এবারের লোকসভা ভোটে তাঁর এই অনন্য ক্ষমতাশক্তিকে পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারল না মোদি-বিরোধী শিবির। ফেডারেল ফ্রন্টই হোক বা ইউনাইটেড ইন্ডিয়া—মমতাকে প্রধান নেত্রী প্রজেক্ট করে কংগ্রেসকে নিয়ে জাতীয় স্তরে একটা জোরদার মোদি-বিরোধী শক্তি গড়ে উঠতেই পারত। সেরকম একটা সূচনাও হয়েছিল। যতদূর মনে পড়ছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও প্রথমটায় এমন একটা ফ্রন্ট তৈরি নিয়ে বিশেষ আশাবাদী ছিলেন। সেই শিবিরের অন্যতম প্রধান নেত্রী যে মমতা সেটাও বোঝা যাচ্ছিল আর সেজন্যই বিরোধী জোটের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবেও তাঁর নামটাই বেশি করে ভেসে উঠছিল। আর তাই দেখে প্রথম বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন উড়তে শুরু করেছিল পশ্চিমবঙ্গের বাতাসে।
কিন্তু জাতীয় স্তরে জোট হবে, তাতে কংগ্রেস থাকবে, অথচ নেতৃত্বের রাশ থাকবে অন্য দলের হাতে—এটা ভারতের রাজনৈতিক জলবায়ু এখনও মনে হয় ঠিক হজম করে উঠতে পারে না! কংগ্রেস জোটে থাকলে যেন ঐতিহাসিক সূত্রেই যাবতীয় রাশ কংগ্রেসের হাতেই দিতে হবে! তাই, জোটের গল্পে প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গ একটু ঘন হওয়ার মুখেই রাহুলজি ঘোষণা করে দিলেন—যা হবে রেজাল্ট দেখেই হবে। ব্যাস! ধাক্কা। ক্যাপ্টেনবিহীন জাহাজের দশায় পড়ল জোট। তবু, মমতার নেতৃত্বে চন্দ্রবাবুরা মোদি-বিরোধী শক্তিগুলিকে এককাট্টা করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন, আজও সে চেষ্টা অব্যাহত। ২১ মে দিল্লিতে মমতাকে মধ্যমণি করে বিরোধীদের বৈঠক তারই প্রমাণ। কিন্তু, এই বৈঠক নিয়ে রাহুল-কংগ্রেস কতটা আন্তরিক তা বুঝতে ২১ অবধি অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ইউপিতে অখিলেশ-মায়াবতী জোট হওয়ায় মোদিজি এবং তাঁর দলের কপালে গাঢ় ভাঁজ দেখেও কেন জোট নিয়ে কংগ্রেসের এখনও এত দোলাচল বোঝা দায়!
প্রশ্ন তো উঠছে, মমতার নেতৃত্ব মানতে কংগ্রেসি অনীহাই কি এর কারণ? এর পর যদি কেউ বলেন, মমতার নেতৃত্ব মানতে কংগ্রেসি অনীহাই আখেরে মোদিজির সুবিধে করে দিল—দোষ দেওয়া যাবে! ভাবুন তো সারা দেশে যদি মোদি-বিরোধী শক্তিগুলো জননেত্রী মমতার নেতৃত্বে মমতার তত্ত্ব মেনে শক্তি ক্ষমতা অনুযায়ী একের বিরুদ্ধে এক লড়তে নামত—মোজিদির বিরুদ্ধে বিরোধীদের লড়াইটা কত পোক্ত হতো! ভুললে চলবে শেষ লোকসভায় অর্থাৎ ২০১৪ সালের ভোটে বিজেপি ২৮২ আসন পেয়ে রেকর্ড করেছিল ঠিকই কিন্তু ভোট পেয়েছিল মাত্র ৩১ শতাংশ! স্বাধীনতা উত্তর ভারতে এত কম ভোট পেয়ে এমন গরিষ্ঠ সরকার গঠিত হয়নি আগে—এটাও তো রেকর্ড!
অথচ, সেবার ছিল উত্তাল মোদি-হাওয়া! তাতেই ৩১ শতাংশ। আর এবার নোটবন্দি ইত্যাদির কারণে হাওয়া কেমন তা আলাদা করে বলার দরকার নেই আশা করি। কিন্তু, মোদিজির বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়ার মানুষটি কই! গোটা দেশে একমাত্র একজন—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, জোটবদ্ধ অভিযানের অভাবে তাঁর লড়াইয়ের ক্ষেত্র তো পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক পরিসরেই সীমাবদ্ধ হয়ে রইল। অন্যদিকে, বালাকোট, দ্বিতীয় সার্জিকাল স্ট্রাইক, অভিনন্দন ভর্তমান উদ্ধার, আধুনিকতম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উদ্বোধন এবং কাশ্মীরে সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলার পর প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি ভারতের তরফে কড়া হুঁশিয়ারি, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য ইত্যাদির পর দেশ জুড়ে গেরুয়া পালে নতুন করে যে বাতাস লাগেনি, জনমনের একাংশে ৫৬ ইঞ্চির প্রতি রাজনৈতিক ভাবাবেগ যে একেবারেই চাগাড় দেয়নি—এমনটাও কি জোর দিয়ে বলা
যাচ্ছে? বলা গেলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক
বিশেষজ্ঞদের একাংশ থেকে শুরু করে এ তাবৎ প্রকাশিত বেশ কয়েকটি জনমত সমীক্ষা টেনেটুনে হলেও মোদিজিকেই পাশ মার্ক দিচ্ছেন কেন, কিছু আসন কম হলেও দ্বিতীয়বারের জন্য মোদিজিকেই দিল্লির মসনদে দেখছেন কীভাবে! লোকসভা ভোটযুদ্ধে মমতার নেতৃত্বে মোদি-বিরোধী দলগুলো এককাট্টা হয়ে নামলে কি এত সহজে এমন সম্ভাবনার কথা ভাবা যেত?
12th  May, 2019
পশ্চিমবঙ্গের ভোট বিশ্লেষণ
শুভময় মৈত্র

 এ লেখা যখন আপনারা পড়ছেন, ততক্ষণে বুথফেরত সমীক্ষা আপনাদের হাতে। কিন্তু সমীক্ষা মানেই যে সেটা মিলবে এমনটা নয়। তার কারণ দুটো। এক হল সমস্ত সমীক্ষারই সফল হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। ঘুরিয়ে বললে সম্ভাবনা থাকে ব্যর্থ হওয়ারও।
বিশদ

ভোট ও বুথ-ফেরত সমীক্ষার হাল-হকিকত
অতনু বিশ্বাস

ছ’সপ্তাহ-ব্যাপী লোকসভা নির্বাচন। সাত দফায়। তারও প্রায় পাঁচ সপ্তাহ আগে থেকে প্রচার, ইত্যাদি। আর এখন এক ক্লান্তিকর সময়কালের পরিসমাপ্তিতে অপেক্ষ্যমান জনগণ। কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার মত অনভিপ্রেত ঘটনার অভিঘাতে বিমূঢ়, রাজনৈতিক চাপান-উতোর আর হানাহানিতে দীর্ণ, এবং সুদীর্ঘ ভোটপর্বের শেষে গোটা ভারতবর্ষ এখন তাকিয়ে আছে বৃহস্পতিবারের দিকে।
বিশদ

অবশেষে সমাপ্ত, তিক্ততাসহ
পি চিদম্বরম

বিজেপি প্রচারের গোড়ায় ‘গিয়ার’ বদলে নিয়েছিল। ‘আচ্ছে দিন’-এর কথা ভুলক্রমেও উচ্চারিত হয়নি। ২০১৪ সালের প্রতিশ্রুতিগুলি বিজেপির জন্য এক বিড়ম্বনায় পরিণত হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদি ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’, পুলওয়ামা-বালাকোট এবং জাতীয়তাবাদের ছত্রছায়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ হল স্রেফ একটা ক্রস-বর্ডার অ্যাকশন বা সীমান্ত টপকে হানা—যা দিয়ে পাকিস্তানকে কোনোরকমে নিরস্ত করা যায়নি।
বিশদ

20th  May, 2019
নতুন বন্ধুর খোঁজে কংগ্রেস ও বিজেপি
শুভা দত্ত

বিজেপি যদি ২২০ থেকে ২৩০-এর বেশি আসন না পায়, তখন কী হবে? এনডিএ-র শরিকরা একবাক্যে বলবে, মোদির ভুলভাল সিদ্ধান্তের জন্যই ভোটার বিমুখ হয়েছে, সুতরাং তাঁকে আর প্রধানমন্ত্রী করার দরকার নেই। আরএসএস অবশ্য তাঁকে সরাতে চাইবে না। এই অবস্থায় অমিত শাহরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন যাতে আরও কয়েকটি দলকে তাঁদের সমর্থনে পাওয়া যায়। বিজেপি যদি ১৪০ থেকে ১৬০-এর মধ্যে আসন পায়? তাহলে নিশ্চিতভাবেই মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা জলাঞ্জলি যাবে। যতই নতুন বন্ধু আসুক, দিল্লিতে সরকার গড়া কিছুতেই সম্ভব হবে না। বিজেপিকে বসতে হবে বিরোধী আসনে।
বিশদ

20th  May, 2019
শেষ দফার ভোটে শান্তি বজায় রাখাই
আজ কমিশনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ

শুভা দত্ত

দেখতে দেখতে সাত দফার লম্বা ভোটযুদ্ধ শেষ হয়ে এল। আজ সপ্তম, তথা শেষ দফা। তারপরই শুরু হয়ে যাবে লোকসভা মহাযুদ্ধের চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য কাউন্টডাউন। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৩টির ভোটগ্রহণ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর সমেত বাকি ন’টি আসনের ভাগ্য নির্ধারিত হবে আজ। 
বিশদ

19th  May, 2019
ভোট কেন দেশের
নামে হল না?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে একটি প্লাইউডের কাটআউট। মাঝখানটা জানালার মতো কেটে জায়গা করা। সেলফি জোন বা সেলফি পয়েন্ট। অবশ্য সেটা নামেই। নিজে ছবি তুললে ইমপ্যাক্ট পড়বে না। বরং বিষয়টা এমন, ভোট দিয়ে বেরিয়ে ভোটার সেখানে দাঁড়াবেন... উল্টোদিক থেকে কেউ ছবি তুলবে।
বিশদ

18th  May, 2019
এবার ভোটে যে-কথা কেউ বলেনি
শুভা দত্ত

 ভোটপর্ব শেষ হয়ে এল। সামনের রবিবারেই ভোটগ্রহণ শেষ। প্রচারও শেষ হল। বৈশাখের দহন জ্বালা যত বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনীতির উত্তাপ। মারদাঙ্গা, ভাঙচুর, ব্যক্তিগত আক্রমণ, সবই চলছে। এবার একটা বড় ইস্যু দেশের সুরক্ষা। তার সঙ্গে দুর্নীতি, বেকারত্ব, চাষিদের দুর্দশা এসবও আছে। কিন্তু একটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলেনি। বিষয়টি হল বায়ুদূষণ। বিশদ

17th  May, 2019
বিদ্যাসাগর ও স্বাজাত্যবোধ
সমৃদ্ধ দত্ত

 শুধু রেগে গেলে চলবে কেন? একটু বুঝতেও তো হবে। মূর্তি ভাঙা তো একটা কার্য। প্রতিটি কার্যের পিছনে একটি কারণও থাকে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার মধ্যে অনেক অবদমিত অপ্রাপ্তি ও দীর্ঘকালের ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভের আবেগকে উড়িয়ে দিলে তো হবে না। একটু সহানুভূতির সঙ্গে বিশ্লেষণ করতে হবে।
বিশদ

17th  May, 2019
ভোট গণনার সেকাল
একাল ও নতুন চ্যালেঞ্জ
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচনী রাজসূয় যজ্ঞের চূড়ান্ত পর্বে ভোট গণনা ও ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সমগ্র ভারতবাসী তথা বিশ্ববাসী। বিগত কয়েক মাস ধরে চলা রাজনীতির ঘাত-প্রতিঘাত, চাপানউতোর, দাবি, পাল্টা দাবির সত্যতা উঠে আসবে গণনার মধ্য দিয়ে।
বিশদ

16th  May, 2019
সবার উপরে ভোট সত্য
হারাধন চৌধুরী 

সিকি শতক আগের কথা। কর্মসূত্রে মেদিনীপুর শহরে থাকি। গ্রীষ্মের সকাল। ভোটের দিন। ভোটের খবর নিতে বেরনোর আগে চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দেব। পঞ্চুরচকে চায়ের দোকানে এসেছি। এক ফেরিওয়ালার সঙ্গে দেখা।  
বিশদ

14th  May, 2019
অর্থনীতি ‘ডেঞ্জার জোন’-এ প্রবেশ করেছে
পি চিদম্বরম

 ২০১৪-র নির্বাচনে পাল্লা দিতে নেমে নরেন্দ্র মোদি অর্থনীতি বিষয়ে একটি হঠকারী মন্তব্য করে বসেছিলেন। প্রতিক্রিয়ায় আমি বলেছিলাম, ‘‘মোদিজির অর্থনৈতিক জ্ঞানটা একটি ডাক টিকিটের পিছনেই লিখে ফেলা যেতে পারে।’’ আমার মন্তব্যটি নির্দোষ ছিল, কিন্তু আমার বিশ্বাস, ওই মন্তব্যের কারণে মোদিজি আমাকে ক্ষমা করেননি!
বিশদ

13th  May, 2019
তাহলে, হাওয়া
এবার কোন দিকে?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে মোট সাত দফা ভোটগ্রহণের পাঁচটি দফাই সম্পূর্ণ হয়ে গেল। গোটা দেশে। আমাদের রাজ্যেও। বাকি দুটি দফায় মাত্র ১১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। যদিও ওইসব কেন্দ্রের ভোট বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক গুরুত্বের বিচারে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
বিশদ

11th  May, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এ রাজ্যে ছোট ও মাঝারি শিল্পের বহর বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। আমেরিকার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের শিল্প ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে যাতে ছোট শিল্পকে আরও বেশি করে ব্যবহার করা যায়, সেই চেষ্টা করবে ওয়াশিংটন ডিসি’র ইন্ডিয়ান আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ...

 সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: ইস্ট ইন্ডিয়ানিনজা স্পোর্টস মিটে অংশ নিয়ে অন্যান্য রাজ্যগুলির খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিযোগিতার আসরে নেমে আলিপুরদুয়ার জেলার১৬ জন প্রতিযোগী সোনার পদক, ১০জন প্রতিযোগী রুপার পদক এবং ৪জন প্রতিযোগী ব্রোঞ্জ পদক জিতে নিয়েছে।  ...

ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে প্রায় ছয় মাস আগে ইউরোপ যাত্রা করেন সিলেটের বিলাল। তিনজনের সঙ্গে নানা দেশ ঘুরে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি যাওয়ার পর আরও ৮০ বাংলাদেশির ...

  বিএনএ, বাঁকুড়া: আজ, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বাঁকুড়ায় মাধ্যমিকের মার্কশিট ও শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু হবে। জেলার তিন মহকুমায় একটি করে স্কুল থেকে তা বিলি করা হবে। ১১টা নাগাদ ছাত্রছাত্রীরা তা বিদ্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে পারবে বলে বাঁকুড়ার জেলা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৫: কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর জন্ম
১৯২১: নোবেলজয়ী সোভিয়েত বিজ্ঞানী আন্দ্রে শাখারভের জন্ম
১৯৯১: ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৫ টাকা ৭০.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৮৮ টাকা ৯০.১১ টাকা
ইউরো ৭৬.০৬ টাকা ৭৮.৯৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,০৬৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৪২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০,৮৭৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৬,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৬,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ২১ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, তৃতীয়া ৫১/৪৭ রাত্রি ১/৪১। মূলা ৫৬/২৩ রাত্রি ৩/৩১। সূ উ ৪/৫৮/১২, অ ৬/৮/০, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে ৪/২২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৫ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫০ মধ্যে।
৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ২১ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, তৃতীয়া ৫২/৪৪/৩৭ রাত্রি ২/৩/৪০। মূলানক্ষত্র ৫৮/১১/৫৫ শেষরাত্রি ৪/১৪/৩৫, সূ উ ৪/৫৭/৪৯, অ ৬/১০/৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/২ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৪ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৬/৫১ গতে ৮/১৫/৫৩ মধ্যে, কালবেলা ১/১২/৫৯ গতে ২/৫২/১ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩১/৩ গতে ৮/৫২/১ মধ্যে।
১৫ রমজান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল

মেষ: গোপন প্রেম থাকলে তা প্রকাশিত হবে। বৃষ: যদি ব্যবসা করার ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৩৫: কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর জন্ম১৯২১: নোবেলজয়ী সোভিয়েত বিজ্ঞানী আন্দ্রে শাখারভের ...বিশদ

07:03:20 PM

মাধ্যমিকের প্রথম সৌগতকে সাহায্যের আশ্বাস পার্থর
আজ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পর প্রথম স্থানাধিকারী সৌগত দাসকে ফোন ...বিশদ

04:54:19 PM

১২৮১০ হাওড়া-মুম্বই (সিএসএমটি) মেল আজ রাত ৮টার বদলে রাত ৯:১৫ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়বে 

03:53:16 PM

মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হওয়ায় পূঃ বর্ধমানের গোপালপুরে আত্মঘাতী ছাত্রী  

03:34:10 PM

খড়্গপুরের আইটিআইয়ের কাছে যুবককে গুলি করে খুন

03:31:00 PM