যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানা এলাকায় কাশীপুর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে এক বছর আগে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র খোলেন চকভৃগুর এক যুবক। গ্রামের বাসিন্দাদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য তিনি প্রচার করেন। এলাকার একাধিক বাসিন্দা সেখানে অ্যাকাউন্ট খোলেন। অভিযোগ, ছয় মাস আগে হঠাৎ পরিষেবা কেন্দ্রটি বন্ধ করে নিখোঁজ হয়ে যান সেই যুবক। বাসিন্দারা মূল ব্যাঙ্কে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে জানতে পারেন তাতে কোনও টাকা জমা হয়নি। পাশাপাশি অনেকে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য টাকা দিলেও তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের কোনও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়নি। বিষয়টি সামনে আসতেই এনিয়ে ১৫টির বেশি অভিযোগ বালুরঘাট থানায় দায়ের হয়েছে। প্রতারিত গ্রাহকদের অভিযোগ, পুলিস ঘটনার তদন্তের নামে শুধু মামলা দায়ের করে দায় সেরেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে টাকা ফেরতের ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করছে না।
বালুরঘাট থানার আইসি জয়ন্ত দত্ত বলেন, পুরো ঘটনা নজরে রয়েছে। একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হবে।
ওই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের বাড়ির মালিক প্রশান্ত দাস বলেন, আমার চার মাসের বাড়িভাড়া ও ইলেকট্রিক বিল না দিয়েই সে পালিয়ে গিয়েছে। এনিয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ঘর তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে। পুলিস খুলতে নিষেধ করেছে। বিপাকে পড়ে গিয়েছি। মাঝেমধ্যে মানুষ এসে এখানে ভিড় জমায়। প্রতারিত এক গৃহবধূ পাওলিনা মুর্মু বলেন আমার ২০ হাজার টাকা জমা না দিয়ে ও পালিয়ে গিয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিস কোনও কাজ করছে না।
প্রতারিত গ্রাহকদের বেশিরভাগই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। তাদের একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলতেন ওই যুবক। অ্যাকাউন্ট করতে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হতো। কয়েকশো বাসিন্দার টাকা নিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়নি। পাশাপাশি কারও ৮০ হাজার টাকা, কারও ২৫ হাজার টাকা, ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন ওই যুবক। খোদ সেই কেন্দ্রের এক মহিলা কর্মীর ২৫ হাজার টাকা জমা না করে তিনি পালিয়ে গিয়েছেন। রাজুয়ার এক অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীর ৫০ হাজার টাকা খোয়া গিয়েছে। এভাবে এলাকার প্রায় কয়েকশো গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। অভিযোগ, গ্রাহকরা টাকা জমা করলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হতো লিংক নেই। লিংক এলেই টাকা জমা হয়ে যাবে। কয়েক মাস আগে এভাবে একাধিক গ্রাহকদের টাকা নিয়ে জমা করতেন না ওই যুবক। হঠাৎ সমস্ত টাকা নিয়ে ঝাঁপ বন্ধ করে তিনি চম্পট দিয়েছেন। গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র না খোলায় বাসিন্দাদের সন্দেহ হলে জানতে পারে তিনি পালিয়ে গিয়েছেন। এমন ঘটনা সামনে আসতেই হতদরিদ্র পরিবারের অনেকের মাথায় হাত পড়েছে। পুলিসের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তারা। যদিও পুলিস কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলেই তাদের অভিযোগ।