যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, গ্রীষ্মকালে প্রতিবছর রক্তের সংকট তৈরি হয়। আমরা স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে জেলার এনজিও ও রাজ্য সরকারি দপ্তরকে জানিয়েছি রক্তদান শিবির করতে। এছাড়াও আমাদের দপ্তরের কর্মীরা হাসপাতালে রক্তদান শিবির করে রক্ত সংগ্রহ করছে। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ অনুসারে আমরা ইতিমধ্যে হাসপাতালে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছি। ভোট পর্ব মিটে গেলে জেলাজুড়ে ব্যাপকভাবে প্রতি মাসে হাসপাতালগুলিতে রক্তদান শিবির করা হবে।
জেলা হাসপাতাল ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে জেলায় বালুরঘাটে ১৫০ ইউনিট ও গঙ্গারামপুরে ৪৫ ইউনিট রক্ত রয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে প্রতিদিন গড়ে বাইরের হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি মিলিয়ে ২০ ইউনিট রক্তের চাহিদা থাকে। বর্তমানে গঙ্গারামপুর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের ঘাটতি রয়েছে। রক্তের সংকট মেটাতে গ্রামে গ্রামে মোবাইল ভ্যান নিয়ে গিয়ে রক্তদাতাদের থেকেও রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল ব্লাড ব্যাঙ্কের ইনচার্জ ইন্দ্রাণী সেন বলেন, আমাদের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের সমস্যা রয়েছে। প্রতিদিন আমাদের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে ২০ ইউনিট রক্ত রোগীদের জন্য লাগে। সেখানে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের রোগীদের জন্য ডোনার কার্ড দেখালে রক্ত দেওয়া হয়। আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এখন রোগীর পরিজনরা ডোনার কার্ড আনলেই রক্ত দিচ্ছি।
ভোট পর্ব মিটে গেলেই স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মতো জেলার প্রতিটি হাসপাতাল রক্তদান শিবির করে রক্ত সংগ্রহ করবে। জেলার এনজিও ও সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের রক্তদান করার আবেদন জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হলেই রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও এগিয়ে এসে রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণ করবেন বলে আশা করছেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।