বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, সাধারণ ধর্মঘটের মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকস্তরের সেমেস্টার পরীক্ষার পাশাপাশি সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেইন) পরীক্ষা রয়েছে। তবে পুলিস প্রশাসনের এমন আশ্বাস সত্ত্বেও, বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছে। ধর্মঘটে ছাত্রছাত্রীদের হয়রানি ঠেকাতে কয়েকটি বেসরকারি স্কুল আবার ছুটিও ঘোষণা করেছে। তবে রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে সরকার ও সরকার পোষিত স্কুলগুলির কাছে এদিন পাঠানো এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ধর্মঘটের এই দু’দিন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের উপস্থিতির তথ্য রিপোর্ট আকারে পাঠাতে হবে।
আর পাঁচটা ধর্মঘটের মতো ৮ এবং ৯ জানুয়ারি ভোর থেকেই শহরের ৩৮৯টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিস পিকেট থাকবে। কোনও অবস্থাতেই জোর করে ধর্মঘট করার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। রাস্তা আটকানো, যানবাহন চলাচলে বাধা, ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটলে, তৎক্ষণাৎ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিস প্রশাসন। সাধারণ ধর্মঘট উপলক্ষে এই দু’দিন বাড়তি পাঁচ হাজার পুলিস রাস্তায় নামছে।
শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা দু’দিনের সাধারণ ধর্মঘট ব্যর্থ করতে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে নবান্ন। কোথাও কোনও বাধা মানা হবে না বলে পরিষ্কারভাবে নবান্ন-র তরফ থেকে জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও পুলিস কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্মঘট ঠেকাতে সোমবার থেকেই সরকারি মহলে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এদিন সরকারি অফিসে হাজিরা ছিল প্রায় ১০০ শতাংশ। শুক্রবার অর্থ দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছিল, ৮ এবং ৯ জানুয়ারি দু’দিনের ধর্মঘটে কোনও কর্মচারী ছুটি নিতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, ৭ জানুয়ারি, সোমবার ও ১০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবারও কোনও কর্মচারী ছুটি নিতে পারবেন না। এই নির্দেশিকার জন্যই সোমবার সরকারি অফিসে উপস্থিতির হার ছিল খুব ভালো।
আজ, মঙ্গলবার ও কাল, বুধবার দপ্তরে আসার জন্য যাতে পরিবহণের কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য অতিরিক্ত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন যে সংখ্যক বাস চলে তার থেকে অতিরিক্ত ৫০০ বাস চালানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। শুধু বাস নয়, রেল, মেট্রো রেলও যাতে নিয়মিত চলে, তার জন্য নবান্নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে খোলা রাখতেও বলা হয়েছে। ধর্মঘট ঠেকাতে প্রশাসনে রীতিমতো সাজ সাজ রব শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
এবারের নির্দেশিকায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবহণের কারণে কোনও কর্মচারী আসতে পারেননি, এই যুক্তি মানা হবে না। শুধু সরকারি বাস নয়, বেসরকারি বাস পরিষেবা যাতে চালু থাকে, তার জন্য বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন পরিবহণ কর্তারা। তাঁদেরও বাস চালানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বন্ধ ঠেকাতে প্রশাসনিক স্তরে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নবান্নে শীর্ষস্থানীয় অফিসাররা এবিষয়ে আলোচনাও করেছেন। নবান্নের নির্দেশ, কোনও বন্ধ করা যাবে না। স্কুল, কলেজ, অফিস, কাছারি বন্ধ করা যাবে না। সব কিছু স্বাভাবিক রাখতে হবে। এদিন নবান্নের চেহারা দেখে অনুমান করা যায়, আজ-কালও সরকারি অফিস স্বাভাবিক থাকবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বন্ধ হয়নি। আজ-কালও হবে না, বলে তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা সৌম্য বিশ্বাস দাবি করেছেন। তবে রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিনহা বন্ধ সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।