বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একলাফে অনেকটা বেড়ে যায়। বেশ কয়েকদিন পরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ফের স্বাভাবিকে চলে এসেছে। টানা প্রায় ১৫ দিন কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কম ছিল। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অন্যত্রও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। শুধুমাত্র কৃষ্ণনগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে ছিল। উত্তরবঙ্গে হিমালয় সংলগ্ন সমতল এলাকায় অবশ্য কনকনে ঠান্ডা রয়েছে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭-৮ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আজ বুধবার থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে আর কনকনে শীত থাকবে না। কলকাতায় আপাতত ১২ ডিগ্রির নীচে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামবে না।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়া দুর্বল হওয়ায় শীতের তীব্রতা কমেছে। কয়েকদিন আগে একটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাশ্মীর সহ উত্তর ভারতের কিছু অংশের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। এর প্রভাবে কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে প্রবল তুষারপাত হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে উত্তর ভারতের সমতল এলাকায়। এই ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়া গতি হারিয়েছে। এরমধ্যেই ফের একটি নতুন ঝঞ্ঝা হানা দিতে চলেছে কাশ্মীরে। ফলে উত্তুরে হাওয়া আরও দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেকারণে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে শীতের প্রকোপ আরও খানিকটা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তুরে হাওয়া দুর্বল হওয়ায় দিনের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। দুপুরে যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়, তা কলকাতায় এদিন ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সাধারণত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কম থাকলে সারা দিনই শীতের ভালো অনুভূতি থাকে। কয়েকদিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে যখন জাঁকিয়ে শীত পড়েছিল, তখন কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩-২৪ ডিগ্রির আশপাশে চলে এসেছিল। এখন যা অবস্থা, তাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় ২৫ ডিগ্রির নীচে আসার সম্ভাবনা কম। তাই দিনের বেলায় শীতের অনুভূতি কমে যাবে। তবে কি শীতের এবার বিদায়ের পালা? আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তা বলার সময় এখনও আসেনি। জোরালো উত্তুরে হাওয়া এলে ফের দিনের বেলায় শীতের আমেজ পাওয়া যাবে। রাত ও সকালের দিকে শীতের আমেজ নিশ্চিতভাবেই বেশ কিছুদিন থাকবে।