বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
মঙ্গলবার থেকে কৃষ্ণনগরের সিএমএস স্কুল ময়দানে শুরু হল নদীয়া জেলা বইমেলা। চলবে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। মোট ১০৩টি স্টল রয়েছে। ৮২টি প্রকাশন সংস্থা বইমেলায় অংশ নিয়েছে। এদিন বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত, অতিরিক্ত জেলাশাসক নিধি মালিক, প্রাক্তন বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ, জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক প্রবোধ মাহাত প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগে সরকারি গ্রন্থাগারগুলিতে সদস্যপদ নিতে হলে টাকা লাগত। এবার থেকে কোনও টাকা লাগবে না। বইপ্রেমীরা বিনামূল্যে সদস্যপদ নিতে পারবেন। তবে বই বাড়িতে নিয়ে যেতে হলে ২০০ থেকে সর্বাধিক ১০০০ টাকা জমা রাখতে হবে। মন্ত্রী বলেন, গ্রন্থাগারগুলিতে নতুন একটি কর্নার চালু করা হয়েছে। ‘নিজের বই নিজে পড়ুন’। এই কর্নারে পাঠকরা বাড়িতে থাকা বই নিয়ে এসে গ্রন্থাগারে পড়তে পারবেন। অনেকের বাড়িতে বই পড়ার পরিবেশ থাকে না। এক্ষেত্রে পাঠকরা সরকারি গ্রন্থাগারগুলি ব্যবহার করতে পারবেন।
সারা রাজ্যে গ্রন্থাগারের সংখ্যা ২৪৮০টি। বইয়ের সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লক্ষ। আর গ্রন্থাগারে পাঠকের সংখ্যা ১ কোটি ৩৩ লক্ষ। বাম আমলে গ্রন্থাগারগুলি বেহাল হয়ে পড়েছিল বলে মন্ত্রীর অভিযোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর গ্রন্থাগারগুলির হাল ফেরে। জনশিক্ষা বিভাগে ৬গুণ টাকা বাজেটে বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। ৩৪ হাজার দুষ্প্রাপ্য বাইকে ডিজিটাইজ করা হয়েছে। ৮৬টি মডেল লাইব্রেরি গড়ে উঠেছে। প্রতিটি মডেল লাইব্রেরির জন্য ৩ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে সরকারি লাইব্রেরিগুলিতে শৌচালয় না থাকার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী। তিনি বলেন, বহু গ্রন্থাগারে শৌচালয় নেই, পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। বই আছে অথচ শৌচালয় নেই? এটা হওয়া উচিত নয়। প্রশাসনিক কর্তাদের বলব প্রতিটি গ্রন্থাগারে শৌচালয় ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে।
নদীয়া জেলায় মোট গ্রন্থাগারের সংখ্যা ২৫৩টি। অথচ গ্রন্থাগারিক রয়েছেন মাত্র ৮৩জন। চলতি মাসেই আরও বেশ কয়েকজন গ্রন্থাগারিক অবসর নেবেন। গ্রন্থাগারিক সংকটের জেরে বেশ কয়েকটি গ্রন্থাগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একজন গ্রন্থাগারিককে দুই বা তিনটি গ্রন্থাগার চালাতে হয়। অবিলম্বে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি তুলেছেন সংশ্লিষ্ট মহল। কর্মী সংকটের কথা অবশ্য এদিন মন্ত্রী উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, গ্রন্থাগারগুলি উন্নতমানের করতে প্রতি বছর টাকা বরাদ্দ করা হয়। ৮০০টি গ্রন্থাগারকে কম্পিউটার দেওয়া হয়েছে। কম্পিউটার চালানোর জন্য প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে গ্রন্থাগারিকদের।