বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
ডিগ্রি কলেজগুলিতে ভর্তির সময় যে দুর্নীতি, দাদাগিরির অভিযোগ ওঠে, তাতে সরকারকে সমস্যায় পড়তে হয়। তা কার্যত মেনে নিয়েই পার্থবাবু বলেন, কলেজে ভর্তির সময় যাতে পড়ুয়াদের কোনওভাবেই সশরীরে হাজির হতে না হয়, তার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সামনের ভর্তি প্রক্রিয়ায় এটা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। ফর্ম তোলা, জমা দেওয়া এবং টাকা জমা দেওয়া সবই যাতে অনলাইনে হয়, তার বন্দোবস্ত করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিকে। শুধুমাত্র ক্লাস শুরুর আগে ভেরিফিকেশনের সময় ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। এতে অভিযোগ অনেকটাই কমবে বলে পার্থবাবুর আশা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগে দেরির সমালোচনা করে পার্থবাবু বলেছেন, এরকম চললে পদগুলির অনুমোদন বাতিল করবে সরকার। নতুন করে পদের অনুমোদন নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর মন্ত্রিসভায় পাশ হয়ে পদের অনুমোদন দিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও এই দেরি মেনে নেওয়া যায় না। যদি কোথাও সংরক্ষণ সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, তাহলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়কেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে তা মিটিয়ে ফেলতে হবে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, সব উপাচার্যই আশ্বাস দিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পি ডে বা প্রস্তুতি দিবসের ছুটিকে পঠনপাঠনে ব্যবহার করত চায় সরকার। সপ্তাহে একদিন ছুটি ছাড়াও শিক্ষকরা আরেকটি দিন ব্যক্তিগত প্রস্তুতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে নাও আসতে পারেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এটা ছুটি হিসেবেই পালন করেন শিক্ষকরা। সিবিসিএস চালুর পর পঠনপাঠনের সময় অনেক কমে গিয়েছে। বিশেষ করে প্রথম সেমেস্টারে ভর্তি, রেজিস্ট্রেশনের জন্য ক্লাস শুরু মাস দু’য়েক পিছিয়ে যায়। তাই বাকি সময়টা যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তার জন্যই পি ডে-কে যাতে পঠনপাঠনে ব্যবহার করা যায়, তার জন্যই শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিন বৈঠকে উপস্থিত সমস্ত উপাচার্যকে। সিবিসিএসে হাজিরা সংক্রান্ত কড়াকড়িও বেড়েছে। পার্থবাবু এদিন বলেন, হাজিরা বাড়াতেই হবে। অনেক সময়েই পড়ুয়ারা অভিযোগ করছে, উপস্থিতির প্রয়োজনীয় হার নিয়ে তাদের মধ্যে সঠিকভাবে প্রচার হয় না। মন্ত্রীর দাবি, অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে এই অভিযোগগুলি সঠিক। তাই, প্রথম থেকেই প্রয়োজনীয় উপস্থিতির হার এবং কোনও পড়ুয়া কতদিন উপস্থিত থাকছেন, তা তাঁকে নিয়মিত জানাতে হবে।