বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
ধর্মঘটীদের মধ্যে এরাজ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় সিপিএমের নেতৃত্বাধীন বাম শিবির। তারা এই দেশজোড়া কর্মসূচিকে এরাজ্যে অন্তত মুখরক্ষার মতো করে সফল করতে মরিয়া। তাই কেবল প্রচারে ভরসা না করে আজ ও কাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্মী-সমর্থকদের পথে থাকার ফতোয়া দিয়েছে নেতৃত্ব। দল এবং দলের কয়েকশো ছোট-বড় শাখা সংগঠনকে এবার মাটি কামড়ে রাস্তায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যাঘাতের নামে পুলিস বা শাসকদলের লোকজনকে ধর্মঘটের ময়দানে ‘বুঝে’ নেওয়ারও ফতোয়া দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনকে ঢাল করে কংগ্রেসও এই ধর্মঘটকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে। আসলে বাম ও কংগ্রেস এই কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলার মানুষকে দেখাতে চাইছে, তারা মোদি সরকারের প্রকৃত বিরোধী। উল্টোদিকে শাসক তৃণমূল কার্যত মোদি তথা বিজেপি সরকারের সাহায্যকারী। তবে ব্রিগেড সমাবেশ ও লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের সংগঠনের হাল কতটা মজবুত হয়েছে, তাও এই দু’দিনে বুঝে নিতে চাইছে বাম নেতৃত্ব।
এদিন অবশ্য আরও একবার বাম-কংগ্রেসের হাতে বল তুলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ধর্মঘটের বিরোধিতা করে তিনি বলেছেন, মানুষ যাতে কাজে যেতে পারে, সেজন্য প্রশাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যে সরকার এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করবে, আমরা তাদের সমর্থন করব। দিন দুই আগে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতার ‘চান্স’ই বেশি রয়েছে বলে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ঝড় উঠেছে। এদিনও সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী ও কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান বলেন, মোদি-মমতার গোপন সমঝোতা নিয়ে প্রতিদিনই ঝোলা থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ছে।