বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
খাদ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, ধান কেনা বাবদ এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাঁদের প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা বকেয়া আছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও মিড ডে মিল প্রকল্পের জন্য প্রায় ৬০০ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে বকেয়া। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য টাকার সংস্থান করতে খাদ্য দপ্তরকে ব্যাঙ্কের কাছ থেকে আরও ঋণ নিতে হতে পারে। এব্যাপারে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর সঙ্গে শীঘ্রই বৈঠক হবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সমবায় দপ্তরের অধীনস্থ বেনফেড, কনফেড-কে ধান কেনার জন্য আরও টাকা দেওয়া হবে। কনফেড কিছুটা পিছিয়ে আছে। তাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
কৃষি সমবায় সমিতিগুলি বেনফেড, কনফেডের মাধ্যমে ধান কেনার কাজ করে। গত মরশুমের ধান কেনার খাতে কমিশনের টাকা এখনও কিছু সমিতি পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁদের প্রাপ্য টাকা মার যাবে না। সরকারের কাছে টাকা আছে। বেনফেড, কনফেডের মাধ্যমে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। তবে কৃষকদের ধানের দাম যে সঙ্গে সঙ্গে চেকের মাধ্যমে মিটিয়ে দিতে হবে, তা সমবায় সমিতিগুলিকে জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সরাসরি অ্যাকাউন্টে ধান বিক্রির টাকা পাঠানোর বদলে কৃষকদের হাতে কেন চেক দেওয়া হচ্ছে, তার ব্যাখ্যাও দেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ধান বিক্রির পর চেক পেলে কৃষকরা খুশি হন। অ্যাকাউন্টে টাকা গেলে যা হতো না। তাছাড়া অনেক কৃষক তাঁদের জনধন অ্যাকাউন্টে ধান বিক্রির টাকা নিতেন। ওই অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকার বেশি রাখা যায় না। ধান বিক্রি বাবদ টাকা আসার পর অ্যাকাউন্ট ওই সীমা ছাড়ালে সমস্যা হচ্ছিল। টাকা ফেরত চলে আসছিল।
খাদ্যমন্ত্রী ও শুভেন্দুবাবু জানিয়েছেন, কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার সময় ইচ্ছামতো পরিমাণ কমানো যাবে না। বেশি আর্দ্রতা, নোংরা প্রভৃতি থাকার কারণ দেখিয়ে ধানের পরিমাণ মর্জিমাফিক যাতে কমানো না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর জন্য ক্রয় কেন্দ্রে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। রাইস মিল মালিকরা যাতে এই প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটাতে না পারেন, তার জন্য কমিটিতে খাদ্য দপ্তর ও বিডিওর প্রতিনিধিরা থাকছেন বলে খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ লক্ষ টন ধান সরকারি উদ্যোগে সংগ্রহ করা হয়েছে।