যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
রবিবার ছিল কলকাতায় ভোটপর্ব। লালবাজার সূত্রে খবর, দু’-একটি জায়গায় ছোটখাট অশান্তি ছাড়া নির্বাচন শেষ হয়েছে শান্তিতেই। সকালের দিকে পোস্তা এলাকার রবীন্দ্র সরণীতে একটি বোমা পড়ার ঘটনা ঘটে। এর বাইরে কড়া হাতে পরিস্থিতি সামলেছেন কলকাতা পুলিসের কর্তারা। খাস শহর কলকাতায় ছাপ্পা ভোট বা বুথ দখলের কোনও অভিযোগ পুলিসের কাছে আসেনি। অল্প কয়েকটি জায়গা থেকে বিরোধী দলের এজেন্টকে বুথের বাইরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেখানে পুলিস সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে যায়নি। বুথের আশপাশে বাইকবাহিনী দেখলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়েছেন কর্তারা। বহিরাগতদের বিরুদ্ধে কড়া ছিলেন তাঁরা। এমনকী ভোটের আগেও শাসকপক্ষের সঙ্গে বিরোধী দলের বড় ধরনের কোনও গোলমাল হয়নি। এককথায় বলতে গেলে ভোটপর্ব নির্বিঘ্নে সামলে ফুল মার্কসই পেয়েছে লালবাজার।
তবে কর্তাদের মাথায় ঘুরছে ভোট পরবর্তী হিংসার কথা। বিশেষত ভোটের ফলাফল বেরনোর পর সবকিছু শান্তিপূর্ণ রাখাই তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কারণেই আগেভাগেই ব্যবস্থা নিয়ে রাখা হচ্ছে। ভোটের আগে বা নির্বাচনের দিন যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছিল, একই রকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে শহরের সমস্ত থানা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, কোনও এলাকায় গোলমালের খবর পেলে সেখানে দ্রুত পৌঁছতে থানাগুলিতে থাকছে মোটরবাইকের টিম। যাতে প্রথমেই পরিস্থিতি সামলে নেওয়া যায়। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জায়গায় টহল দেবে হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস) ও রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডের গাড়ি (আরএফএস), থাকবে কুইক রেসপন্স টিম। তাতে থাকছেন বহু পুলিসকর্মী। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই এইচআরএফএসের সঙ্গে রাখা হচ্ছে আলাদা একটি বাহিনী। গোলমালের খবর প্রথমে এইচআরএফএসের কাছে আসবে। তারা প্রথমে ঘটনাস্থলে যাবে। সঙ্গে সঙ্গেই মুভ করবে ওই বিশেষ বাহিনী। প্রতিটি থানাকে তাদের এলাকায় রাতভর টহলদারি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর ছোটখাট উত্তেজনা বা গোলমালের খবর এলে গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলা হয়েছে। যাতে তা বড় আকার নিতে না পারে। লালবাজারের এক কর্তার বক্তব্য, শহরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য যা যা ব্যবস্থা করা দরকার সবটাই রাখা হচ্ছে। এর সঙ্গে ভোটপর্ব মেটার পর যদি নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তাদেরও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যবহার করা হবে বলে খবর।