যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
রবিবার ভোট মিটতেই সাগরে বিজেপির দুই কর্মী আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাগর বিধানসভার রামকরচক এলাকার ঘটনা। অভিযোগের তির শাসকদলের দিকে।
বিজেপির নেতাদের অভিযোগ, সাগরের রামকরচক অঞ্চলের ৪০ নং বুথে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটপর্ব চলে। ভোট শেষ হওয়ার পর তাঁদের দলের কর্মীরা বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। তাতে তাঁদের দলের দুই কর্মী গুরুতর আহত হন। বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পশ্চিম) জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটুর অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা জিকোর নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীদের ওপর ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ চালায়। এই ঘটনায় বিজেপির দুই সক্রিয় কর্মী চন্দন মণ্ডল ও নান্টু বেরা গুরুতর জখম হন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। গুরুতর আহত ওই দুই কর্মীকে প্রথমে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কাকদ্বীপের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা অবশ্য বিজেপির এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। পারিবারিক কারণেই বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, সাগর থানায় এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী।
হামলার ঘটনা ঘটেছে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের গোসাবার বিপ্রদাসপুরে। রবিবার ভোটের পর বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে ভোটের সময় বুথে এজেন্ট হিসেবে বসতে গেলে বিজেপি কর্মীদের মারধর করে তৃণমূলের লোকজন। অভিযোগ, রবিবার ভোটের পর তিন বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, ভয়ে তাঁরা পরিবারকে নিয়ে বাড়ির ভিতরে লুকিয়ে পড়েন। দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়ে গিয়েছে, ফল বেরলে বাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। যদিও শাসকদলের দাবি, পারিবারিক কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। গোসাবার কুমিরমারিতেও বিজেপির কর্মীদের বেধড়ক মারধর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের দাবি, গ্রাম্য বিবাদে ঘটনাগুলি ঘটছে। রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিস অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখছে।