যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
একই সঙ্গে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুরসভা নির্মাণকারী সংস্থাকে নোটিস পাঠানোর পরই অনেকে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। আদালতের নির্দেশের জন্য পুরসভা এখনই কোনও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তবে পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আদালতে যে সমস্ত মামলা গিয়েছে, সেগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পুরসভার প্যানেলভুক্ত আইনজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হবে। সেগুলি দ্রুত নিষ্পত্তি করে ওই বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে শুরু করবে পুরসভা। এমনকী, যারা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে এখন বেআইনি নির্মাণ ভাঙা আটকাতে চেষ্টা করছে, তাদের জন্য কোনওরকম সহানুভূতি দেখানো হবে না। সেখানে পুরসভা আগে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
হাওড়া পুরসভার কমিশনার তথা প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য বিজিন কৃষ্ণা বলেন, বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে আমরা কোনওরকম আপস করব না। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সংস্থাকে নোটিস দিয়ে শুনানিতে ডেকেছি। কিছু বেআইনি নির্মাণ ভাঙার জন্য আমরা নির্দেশ জারি করেছি। তবে কয়েকজন আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। ওই মামলা যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যায়, আমরা তার জন্য আইনজীবীদের বলেছি। তাছাড়া এখন নির্বাচনের কাজে পুলিস ব্যস্ত থাকায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে যেতে কিছু সমস্যা হচ্ছে। ভোটের কাজ শেষ হলেই বেআইনি নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলা হবে।
বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল আইন অনুযায়ী চার তলা একটি বাড়ির অনুমোদন দিতে গেলে সামনে কমপক্ষে ১৫ ফুটের রাস্তা থাকা দরকার। অন্যান্য বহুতলের ক্ষেত্রেও আইনে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাম আমল থেকে হাওড়া শহরে এই আইন মানা হয় না। ১০ ফুট রাস্তার উপরই ছ’তলার বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। দু’থেকে আড়াই ফুট গলির মধ্যেও তিনতলা বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ফলে কোনও রকম দুর্ঘটনা ঘটলে দমকলের ইঞ্জিন পর্যন্ত সেখানে যেতে পারে না। হাওড়া পুরসভার বোর্ড ভেঙে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার সেখানে ছ’জনের একটি প্রশাসকমণ্ডলী গঠন করে। ওই প্রশাসকমণ্ডলীর প্রথম বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনওরকম বেআইনি নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। কোথাও বেআইনি নির্মাণ হলেই, তা ভেঙে দেওয়া হবে। অথচ হাওড়া শহরের সর্বত্র প্রচুর বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। এই নিয়ে সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন। তাঁদের বক্তব্য, কোনও রকম র্দুঘটনা হলে শুধু ওই বিল্ডিং নয়, আশপাশের বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই নিয়ে পুরসভা এখন থেকে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে ক্রমশ হাওড়া শহর জতুগৃহে পরিণত হচ্ছে।