পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
তবে এবার পেলেও আগামী দিনে পেনশন পাওয়া নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় আছেন অবসরপ্রাপ্তরা। উন্নয়ন সংস্থা যুক্ত সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রাণবন্ধু বাগ জানিয়েছেন, কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারকে তাঁরা অনুরোধ করেছেন, পেনশন দেওয়ার জন্য একটা বিশেষ তহবিল গঠন করা হোক। বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় এই অনুরোধ করা হলেও তা মানা হয়নি। বিশেষ তহবিল থাকলে পেনশন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকত না।
কেএমডিএ, কেআইটি, কেএমডব্লুএসএ—এই তিনটি সংস্থায় মোট কর্মী ও আধিকারিকদের সংখ্যার থেকে অবসরপ্রাপ্ত বেশি। বেতন দেওয়ার তুলনায় পেনশন দিতে এখন বেশি টাকা খরচ হয়। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসে পেনশন দিতে খরচ হয় প্রায় ১২ কোটি টাকা। যেখানে বেতন দিতে খরচ হয় ৫ কোটি টাকা। ডিসেম্বর মাসে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে, পেনশন দেওয়ার জন্য ৫ কোটি টাকা হাতে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আরও টাকার জন্য অর্থ দপ্তরকে জানানো হয়। সরকারি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করতে গেলে ফাইল চালাচালি হয়। এসব করতে গিয়ে সময় লেগে গিয়েছে। ফলে মাসের শেষে সেই মাসের পেনশন মেলেনি। কেএমডিএ-র আধিকারিকরা একসময় ভেবেছিলেন হাতে যে টাকা আছে, তা দিয়ে পেনশনের একটা অংশ দিয়ে দেওয়া হবে। পরে টাকা এলে বাকিটা দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এটা করা হলে অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে আরও বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে, এমন আশঙ্কা করে আংশিক পেনশন দেওয়া হয়নি। পেনশনের পুরো টাকা হাতে আসার পর তা সবাইকে রিলিজ করা হয়েছে।
কেএমডিএ-তে কর্মীদের পিএফ তহবিলের টাকা নিয়ে বাম আমলে নয়ছয়ের ঘটনাও ঘটেছে। সংস্থায় ট্রাস্টি বোর্ড পরিচালিত পিএফ ছিল। অশির দশকে বেশি অর্থ পাওয়ার লোভে পিএফ-এর ৪৩ লক্ষ টাকা একটি ভুঁইফোঁড় শেয়ার ব্রোকার সংস্থায় লগ্নি করা হয়। ওই সংস্থাটি কিছুদিনের মধ্যে উবে যায়। পিএফের ওই টাকা পুরো জলে যায়। এখন থাকলে ওই অর্থ কয়েক কোটি টাকায় পৌঁছত। এই ঘটনার পুলিশি তদন্ত হলেও কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে কর্মী সংগঠনের অভিযোগ।