পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
চাঁচলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা জেলা নেতা মজিবর রহমান বলেন, একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। বিষয়টি মিটে গিয়েছে। কোয়েলদেবী বলেন, ওই বাসকর্মী মদ্যপ ছিল। রাতে যেভাবে একজন মহিলার সঙ্গে সে আচরণ করেছিল তা কোনও ভদ্র মানুষ স্বাভাবিকভাবে মানতে পারবে না। দলের তরফে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এভাবে হেনস্তা সঙ্গে মোবাইল চুরির চেষ্টা মেনে নিতে পারছি না। অভিযুক্ত বাসকর্মী বলেন, আমি মোবাইল চুরি করিনি। গাড়ি রাখার জায়গা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। উনি বাসস্ট্যান্ডের ভেতরে নিজের গাড়ি রেখেছিলেন। পরে ক্ষমাও চেয়েছি। তৃণমূলের চাঁচল বাস ও মিনিবাস শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি জহিরুদ্দিন বলেন, বাসকর্মীদের ক্ষোভ হয়েছিল। যাত্রীদের তেমন সমস্যা হয়নি। বিষয়টি মিটে গিয়েছে। চাঁচলের মহকুমা পুলিস আধিকারিক সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আইন অনুসারে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে শিশুসন্তানকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে এসেছিলেন ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তাঁর স্বামী। চাঁচলে চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধ কিনতে তাঁরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসেন। গাড়িতে স্ত্রীকে রেখে সভাপতির স্বামী ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন। তখনই বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি ঢোকাতে গিয়ে সভাপতির গাড়িতে বাধা পায় ওই ব্যক্তির বাস। এনিয়ে ওই সভাপতির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ওই চালক। সভাপতির অভিযোগ, তাঁকে গায়ে হাত দিয়ে হেনস্তা করে ওই বাসকর্মী। তাঁকে গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য করে মারধরের উদ্যোগও নেয়। এরপরেই ওই মহিলা সভাপতি স্থানীয় থানায় গিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই তাকে পুলিস আটক করে। তারপরেই এদিন সকাল থেকে বাসকর্মীরা দলবদ্ধ হয়ে বাস বন্ধ করে দেয়। সকাল সকাল ওই ঘটনার জেরে নিত্যযাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অন্যত্র থেকে বাস এলেও চাঁচল থেকে বাস নড়েনি। পরে ওই বাসকর্মীকে পুলিস ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।