পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূর নাম আমেনা বিবি। বারাসতের ময়নায় তাঁর বাড়ি। তিনি দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লাস্ট করে তাঁর ‘রাপচারড অ্যাপটোপিক’ হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। বাড়ির লোকজন সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। চিকিৎসকেরা অপারেশন টেবিলে নিয়ে যাওয়ার সময় জানতে পারেন, রোগীর হিমোগ্লোবিন লেভেল মাত্র ৩। রোগীর ব্লাড গ্রুপ-ও নেগেটিভ। কর্মীরা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নিতে গিয়ে জানতে পারেন, ওই মুহূর্তে স্টকে এক বোতলও ও নেগেটিভ রক্ত নেই।
সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ওই গ্রুপের রক্ত কারও আছে কি না। কিন্তু, বাড়ির লোকজন জানিয়ে দেন, ওই গ্রুপের রক্ত কারও নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বারাসত শহরের একটি জায়গায় খোঁজ নেন। কিন্তু, সেখানেও ওই গ্রুপের রক্ত ছিল না। ওই মুহূর্তে কলকাতার সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত নিয়ে আসাও সম্ভব ছিল না। তাই হাসপাতালের সুপার ডাঃ সুব্রত মণ্ডল চিকিৎসকদের বলেন, অটো ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে অপারেশন করতে। তারপরই রোগীকে অপারেশন টেবিলে তোলা হয়। তাঁর তলপেট ওপেন করা চিকিৎসকেরা দেখেন, প্রায় এক লিটার রক্ত পেটে জমা হয়ে রয়েছে। সেখান থেকে ৪০০ এমএল ফ্রেশ রক্ত সংগ্রহ করে ওই রোগীকেই সেই রক্ত দেওয়া হয়। তারপর অপারেশন করে ফ্যালোপিয়ান টিউব বাঁধা হয়। এই ধরনের অপারেশন বিরল। রোগী সুস্থ হওয়ায় চিকিৎসকেরাও খুশি।
বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ সুব্রত মণ্ডল বলেন, দ্রুত অপারেশন না করলে বিপদ ঘটতে পারত। তাই ঝুঁকি নিয়েই আমাদের পরিকাঠামোয় অটো ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে রোগীর রক্ত নিয়ে রোগীকেই দেওয়া হয়। ওই অবস্থায় অপারেশন করি। আমাদের হাসপাতালে এই প্রথম অটো ট্রান্সমিশন হল। আমার কর্মজীবনেও প্রথমবার। অপারেশনের পর রোগী সুস্থ আছেন। পরবর্তী সময়ে আমরা সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে ‘ও নেগেটিভ’ রক্ত নিয়ে এসেছি। ওই রোগীকে আরও দু’বোতল রক্ত দেওয়া হয়েছে। বুধবার আমরা তাঁকে ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠাব।