পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট জিটি রোডে শিবপুরের হাওড়া জুটমিলের কাছে চৌধুরিয়া নামে এক যুবককে তাসের আসর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চপার দিয়ে গলা কেটে খুন করে মুণ্ড নিয়ে ফুটবল খেলেছিল রামুয়া। ওই ঘটনার পর চৌধুরিয়ার পরিবার এতটাই আতঙ্কিত ছিল যে, কেউ আদালতে সাক্ষী দেওয়ার সাহস পায়নি। আর সেই কারণেই খুব সহজেই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছিল রামুয়া। এর পরও মল্লিকফটকে এক ব্যবসায়ীকে দোকানে ঢুকে খুন করেছিল রামুয়া। ওই ব্যবসায়ীর পরিবার এখনও রয়েছেন। কিন্তু, তাঁরাও সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজি হননি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুণ্ডল বাগানে রামুয়ার বাড়ি থাকলেও মূলত শিবপুরের মুখার্জি বাগান, বৈষ্ণবপাড়া বাজার এলাকাতেও তার অবাধ যাতায়াত ছিল। এই এলাকা থেকেই সে তার কারবার চালাত। কিন্তু, সম্প্রতি এই এলাকায় সে ঢুকতে পারত না। তার স্ত্রী নানাভাবে এই এলাকায় প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। তারপরই খড়দহে বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলে যায়। তবে তার দলবল এখনও শিবপুর এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। বেশ কয়েকজন প্রোমোটার ও ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে টাকা তোলা হয়েছে বলে পুলিসের কাছেই খবর আছে। কোন কোন নম্বর থেকে ওই হুমকি ফোন এসেছে, তা পুলিস তদন্ত করে দেখছে। পুলিস প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, রামুয়া গত কয়েক মাস আগে থেকেই তার সাম্রাজ্যের রাশ হারিয়েছিল। সেই কারণে সে বিকল্প ব্যবসা করার দিকেই এগচ্ছিল।