পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
ফুল বাজারে কথা হচ্ছিল হাওড়ার ফুলেশ্বরের গোপাল সাধু এবং ভাঙড়ের অজিত মণ্ডল নামে দুই ফুল ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তাঁরা জানালেন, বিয়ের লগন তো আছেই। তার উপর সামনেই আসছে নেতাজি জয়ন্তী এবং সাধারণতন্ত্র দিবস। সেই সময় রাজ্যজুড়ে নানা ক্লাব, সংগঠন, স্কুল, কলেজ এই অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। সেখানে ফুলের দরকার হয়। স্বাভাবিক কারণেই সেই সময় প্রায় সব ফুলের দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। তাঁদের কথায়, ভালো প্রমাণ সাইজের ২০টি গাঁদার মালা যেখানে সাধারণ সময়ে পাইকারি বাজারে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় পাওয়া যায়, সেখানে এই সমস্ত অনুষ্ঠানের সময় তার দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। কখনও কখনও তা ২০০ টাকাতেও বিকোয়। খুচরো ব্যবসায়ীরা সেই ফুলের মালা এলাকার বাজারে প্রতি পিস ১৫ ২০ টাকাতেও বিক্রি করেন। স্বামীজির জন্মদিনের আগের দিন ফুলের বাজার অনেকটাই চড়া ছিল। সেদিন রজনীগন্ধা, গাঁদার মালা এমনকী কুচো ফুলের দাম ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। বেলঘরিয়া থেকে আসা খুচরো ফুল ব্যবসায়ী তরুণ মালাকার বলেন, গাড়িভাড়া সহ নানা খরচ মিটিয়ে যদি দু’টো পয়সার মুখই না দেখতে পারি, তাহলে এই ব্যবসা করে আমাদের লাভ কী? আমাদেরও তো সংসার পরিজন আছে। প্রতিটি জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে।
ফুল বাজারে প্রতি কিলোগ্রাম বিভিন্ন সাইজের খুচরো গাঁদা বিক্রি হচ্ছিল ২৫, ৩০, ৩৫ টাকাতে। ফুল ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, পুজোপার্বণ বা অন্যান্য অনুষ্ঠান থাকলে প্রতি কেজিতে তা ১০ ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। তখন এলাকায় খুচরো ব্যবসায়ীরা বেলপাতা, তুলসী পাতা, দূর্বা, ফুল মিলিয়ে কম করেও ১০ ১৫ টাকায় বিক্রি করে থাকেন। তমাল সাধুখাঁ নামে এক খুচরো ব্যবসায়ী বলেন, এখন বাজার কিছুটা চড়া থাকায় ১০ টাকার কমে ফুল বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। মুর্শিদাবাদ থেকে আসা বাকু হাজরা ফুল বাজারে চিৎকার করে ১০০ পিস গোলাপ বিক্রি করছিলেন ১৫০ টাকায়। তিনি বলেন, বিয়ের মরশুম অথবা কোনও অনুষ্ঠান থাকলে এই গোলাপই ২০০ থেকে ২২০ টাকাতেও বিক্রি হয়। বাগনানের সুভাষ সামন্ত, হাওড়ার শ্যামপুরের বিভাস বারি, ঠাকুরনগরের কৃষ্ণপদ মণ্ডল প্রমুখ ফুল চাষিদের বক্তব্য, এখন একটি ভালো প্রমাণ সাইজের গোলাপ দিয়ে রজনীগন্ধার মোটা মালা পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ ১০০ টাকায়। আর বিয়ের লগনে বর কনের সেই মালা পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে ১৮০ থেকে ২০০ টাকাতেও। খুচরো ব্যবসায়ীরা সেই মালা বিয়ের মরশুমে ২৫০ থেকে ২৭৫ বা ৩০০ টাকাতেও বিক্রি করেন।