পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
এক সময় সিপিএমের কৃষকসভার সদস্য ছিল রেকর্ড সংখ্যায়। তবে তার মধ্যে অনেকটাই ছিল খাতায়-কলমে। সেই সময় দেড় কোটির উপর সদস্য থাকলেও তাতে বেশ কিছুটা ‘জল’ ছিল। রাজ্যে পালাবদলের ফলে বহু সদস্য সংগঠন ত্যাগ করে সেই সময়। পাশাপাশি কৃষকসভাকে ভেঙে দল এরাজ্যে আলাদা করে খেতমজুর সংগঠন তৈরি করে। ফলে অচিরেই সংগঠনের কলেবর অনেকটাই কমে যায়। গত কয়েক বছর ধরে সদস্য সংখ্যা হ্রাসের হার অব্যাহত থাকলেও এখনও ৫০ লক্ষের উপর সদস্য রয়েছে কৃষকসভা ও খেতমজুর সংগঠন মিলিয়ে।
দলের বিগত সর্বভারতীয় সম্মেলনের পর থেকেই কৃষকসভা এবং খেতমজুর সংগঠন দুটিকে ঝাঁকুনি দেওয়ার পরিকল্পনা নেয় নেতৃত্ব। সংগঠন দুটির নেতৃত্বেও বদল আনা হয়। তারপর থেকেই গ্রামাঞ্চলে প্রচারের পাশাপাশি একাধিক কর্মসূচি হাতে নেয় তারা। ধীরে ধীরে ফলও আসে। সংগঠন ফের খানিকটা চাঙা হয়। বিভিন্ন কর্মসূচিতে সদস্য-সমর্থকদের অংশগ্রহণও বাড়তে থাকে। গত কয়েক মাসে মহারাষ্ট্র সহ দেশের কয়েকটি প্রান্তে কৃষকসভার ব্যানারে চাষি-খেতমজুররা সাফল্যের সঙ্গেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে, যা অক্সিজেন জোগায় বাংলার বামপন্থী কৃষক আন্দোলনকে। শেষ পর্যন্ত তারা আশানুরূপ সাফল্যের মুখ দেখছে বলে দাবি করেছে দল।
সাধারণ ধর্মঘটে কৃষকসভার ভূমিকা বিশ্লেষণ করে সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব। বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া হিসেবে দেখে খুশি নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, দু’দিনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সংগঠনের ব্যানারে মোট ৮৪টি জায়গায় রেল অবরোধ হয়েছে। একইসঙ্গে জাতীয় ও রাজ্য সড়ক মিলিয়ে মোট ৪৫৪টি জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেছে তারা। এছাড়াও বহু জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে সংগঠন। সব মিলিয়ে কৃষকসভার অন্তত দু’লক্ষ সমর্থক পথে নেমেছিল বলে নেতৃত্বের দাবি। কৃষক সংগঠনের এই পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব দেখে আলিমুদ্দিনের নেতারা আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারের জন্য গ্রামে কৃষকসভাকেই প্রচারের দায়িত্ব দিতে চেয়েছেন। সেইসঙ্গে গ্রামাঞ্চলে ভোট-সংগঠনের ক্ষেত্রেও তাদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার বলেন, ধর্মঘটে আমরা যথেষ্ট ভালো সাড়া পেয়েছি। অনেকদিন পর কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের সদস্যরা এত সংখ্যায় পথে নেমেছিলেন। এর আগে সিঙ্গুর পদযাত্রা ও উত্তরকন্যা অভিযানেও তাদের এই উৎসাহ চোখে পড়েছে। আসলে গ্রামবাংলার মানুষ মোদি ও মমতা সরকারের ধোঁকাবাজি ধরে ফেলেছে। কৃষিঋণ মকুব ও ফসলের ন্যায্য দাম নিয়ে তারা যে অথই জলে পড়েছে, তা টের পেয়েছে কৃষকরা। তারই প্রতিফলন ঘটছে আমাদের কর্মসূচিতে।