বৃহস্পতিবার, 17 জুলাই 2025
Logo
  • বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

তাপপ্রবাহের প্রভাবে ঘুম কমছে রাতে, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমজীবী মানুষ

 তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়ছে শ্রমজীবী মানুষের জীবনে। সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর রাতে বাড়িতে একটু বিশ্রাম নেওয়ারও উপায় নেই এখন।

তাপপ্রবাহের প্রভাবে ঘুম কমছে রাতে, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমজীবী মানুষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়ছে শ্রমজীবী মানুষের জীবনে। সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর রাতে বাড়িতে একটু বিশ্রাম নেওয়ারও উপায় নেই এখন। ‘গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজি’র গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১৯৮৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের অর্ধেক ভূমিপৃষ্ঠে দিনের তুলনায় রাতের উষ্ণতা বেড়েছে ০.২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের আয়োজনে একটি কর্মশালায় শ্রমজীবী মানুষরা তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
জুটমিল, আইসিডিএস, নির্মাণ, খেতমজুর শ্রমিকদের বক্তব্যে উঠে আসে সমস্যার কথা। প্রবল গরমে পরিশ্রমের পর রাতে বাড়ি ফিরেও গরমে ঘুম আসে না। ফলত, পরের দিন সকালে শরীর খারাপে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। যার ফলে কমছে উপার্জন কমছে, কমছে কর্মক্ষমতা। ‘ল্যানসেট’ পত্রিকার প্রতিবেদন বলছে, ‘২০২৩ সালে ৩১টি দেশে ন্যূনতম ১০০ দিনের বেশি স্বাস্থ্যহানিকর তাপের অভিজ্ঞতা হয়েছে।’ 
কর্মশালায় সন্দেশখালির নির্মাণ শ্রমিক কার্তিক সরদার বলছিলেন, ‘আমাদের মে মাসের তীব্র গরমে কাজ করতে হয়। দু’-তিনদিন কাজ করে আর কেউ টানতে পারে না।’ জুটমিল শ্রমিক হায়দার আলির কথায়, ‘কারখানার ভিতরে শীতের দিনেও গরমের অনুভূতি হয়। বাড়ি ফিরে গরমের জন্য রাতে ঘুমোতে পারি না। সকালে উঠেই রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছি।’ এক বিক্রয় প্রতিনিধির কথায়, ‘সারাদিন খোলা আকাশের নীচেই কাজ করতে হয়। এই রোদে পুড়ে কাজ করতে গিয়ে জীবন ওষ্ঠাগত।’ 
বিজ্ঞান মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবী মানুষদের কাছে আমরা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শুনলাম। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করা যায়, সেই চেষ্টা থাকবে।’ 
শ্রমিকদের কাজের ঘণ্টা সংশোধন ও তাপপ্রবাহকালে শ্রমিকদের বিশ্রামের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নির্দেশিকার দাবি করা হয়েছে।

রাশিফল