ইজরায়েলের রুশভাষীদের জন্যই যুদ্ধে জড়ায়নি মস্কো, জানিয়ে দিলেন পুতিন
ক্রমশই জটিল হচ্ছে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি। ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে সংঘাত চলছেই। সম্প্রতি ইরানে হামলা চালিয়েছে আমেরিকাও। কিন্তু এখনও যুদ্ধ থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে ইরানের ‘বন্ধু’ রাশিয়া।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুন ২৪, ২০২৫
মস্কো: ক্রমশই জটিল হচ্ছে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি। ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে সংঘাত চলছেই। সম্প্রতি ইরানে হামলা চালিয়েছে আমেরিকাও। কিন্তু এখনও যুদ্ধ থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে ইরানের ‘বন্ধু’ রাশিয়া। কেন এখনও তেহরানের পক্ষে দাঁড়িয়ে পাল্টা জবাব দেয়নি মস্কো? সোমবার এনিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেন্ট পিটসবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের মঞ্চে পুতিন জানান, পূর্বতন সোভিয়েত রাশিয়া বা বর্তমান রাশিয়ান ফেডারেশনের ২০ লক্ষ মানুষ এখন ইজরায়েলে বসবাস করেন। তাঁরা রুশ ভাষায় কথা বলেন। ইজরায়েল এখন কার্যত রাশিয়ান ভাষায় কথা বলা একটি দেশ। এসব বিবেচনা করেই সরাসরি সংঘাতে জড়াচ্ছে না রাশিয়া। তবে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন পুতিন।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইসলামিক ও আরব দেশগুলির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে রাশিয়া।’ নিজের সমালোচকদেরও এদিন কড়া জবাব দেন পুতিন। বলেন, ‘যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা না নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তারা আদতে উস্কানিদাতা।’ সোমবার ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সঙ্গে দেখা করেন পুতিন। রবিবার রাতেই মস্কো পৌঁছেছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী। সূত্রের খবর, আয়াতোল্লা খামেনেইয়ের একটি চিঠি পুতিনের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, ইরানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় পুতিন জানান, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলার পিছনে কোনও উস্কানি ছিল না।
এটার কোনও ভিত্তি বা নায্যতা নেই। আমরা ইরানের মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি।
এখনই যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়লেও তেহরানকে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে ক্রেমলিন। আগেই ইরানকে সমর্থনের কথা খোলাখুলি জানিয়েছিল মস্কো। রুশ মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, আমরা আমাদের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছি। কীভাবে ইরানকে সাহায্য করা হবে, তা নির্ভর করছে তারা কী চাইছে, তার উপর। আমরা মধ্যস্থতার চেষ্টা করছি। পেসকভ আরও জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সাম্প্রতিক আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে ইরান প্রসঙ্গ।
প্রসঙ্গত, মস্কো ও তেহরানের মধ্যে একটি স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের চুক্তি রয়েছে। তবে এই চুক্তির মধ্যে কেউ আক্রান্ত হলে সামরিক সাহায্যের উল্লেখ নেই। তবে চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে, মস্কো বা তেহরান কেউ আক্রমণকারী প্রতিপক্ষের পক্ষ নেবে না। উত্তেজনা প্রশমনের জন্য পদক্ষেপ করবে।
related_post
অমৃত কথা
-
‘বিবেকচূড়ামণি’
- post_by বর্তমান
- জুলাই 19, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025