বৃহস্পতিবার, 17 জুলাই 2025
Logo
  • বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

বাড়ি নির্মাণ না করে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ফেরালেন ২৫ জন

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে প্রথম কিস্তির টাকা পেলেও হাত গুটিয়ে বসেছিলেন তাঁরা। বারে বারে বাড়ি তৈরির জন্য চাপ দেওয়া হলেও সে কথা কানে তোলেননি।

বাড়ি নির্মাণ না করে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ফেরালেন ২৫ জন

নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে প্রথম কিস্তির টাকা পেলেও হাত গুটিয়ে বসেছিলেন তাঁরা। বারে বারে বাড়ি তৈরির জন্য চাপ দেওয়া হলেও সে কথা কানে তোলেননি। অবশেষে বাড়ি না বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন অন্তত ২৫ জন। তাঁরা প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছেন জেলা প্রশাসনকে। জানা গিয়েছে, আরও কয়েকজন টাকা ফেরতের কথা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। উপভোক্তাদের দাবি, তাঁদের পক্ষে বাড়ি তৈরি করার সামর্থ্য নেই, ফলে বাড়ি করবেন না। তাই  তাঁরা টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
গত ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানো শুরু হয়েছিল। এপ্রিলের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়। এই সময়কালে অনেকেই বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করে ফেলেছেন। কেউ কেউ আবার লিনটেন অবধি ইঁট গেঁথে ফেলেছেন। কিন্তু কয়েকজন উপভোক্তা রয়েছেন, যাঁরা বাড়ি তৈরি করা তো দূরঅস্ত, ইমারতি সামগ্রী পর্যন্ত কেনেননি। এমন ব্যক্তিদের কখনও চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে, কখনও আবার বিডিও অফিসে ডেকে বুঝিয়ে কাজ শুরু করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এমনকী, শেষ বেলায় পুলিস পাঠিয়ে তাঁদের উপর চাপ পর্যন্ত সৃষ্টি করেছে প্রশাসন। কিন্তু কোনওভাবেই ওই মানুষদের অবস্থান থেকে টলানো যায়নি।
এদিকে, পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে বারে বারে জেলাগুলিকে বলা হয়েছিল, এই টাকা যাতে উপভোক্তরা বাড়ি তৈরির কাজেই খরচ করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। যাতে টাকা নয়ছয় না হয়। এত কিছুর পরেও শেষ পর্যন্ত ২৫ জন জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা বাড়ি করতে চান না। সুন্দরবনের বেশ কয়েকটি ব্লকের ওই ২৫ জন উপভোক্তা টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। তবে এই সংখ্যা আরও কিছুটা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগে যখন বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়েছিল, তখন অনেকেই তা অন্য খাতে খরচ করে ফেলেছিলেন। ফলে তাঁরা আর বাড়ি তৈরি করতে পারেননি। এবার এখনও পর্যন্ত এই খাতে অর্থের অপব্যবহার হয়নি বলেই অভিমত আধিকারিকদের।

রাশিফল