পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
থ্রিলার- কমেডি ঘরানার ছবিতে প্রথম কাজ করছেন?
হ্যাঁ, প্রথমবার। মৈনাক ভৌমিকের ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’ থ্রিলার কমেডি ঘরানার ছবি। এই ধরনের বিষয় নিয়ে বাংলায় খুব একটা কাজ হয়নি। আর আমি তো করিইনি।
কমেডিও তো করেননি?
না। এটা যদিও সিচুয়েশনাল কমেডি। জোর করে হাসানো নয়। আমার চরিত্রের নাম কাবেরী। মেয়েটি স্কুলে পড়াত। কোনও একটা কারণে ওর চাকরি চলে যায়। কাবেরীর স্বামী সত্য একজন সাংবাদিক। মধ্যবিত্ত দম্পতি কীভাবে ক্রাইমের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে গল্প।
এই ছবি থেকে দর্শকের প্রাপ্তি কী হবে?
দেখুন, দর্শক এখন নানা ধরনের ছবি দেখতে অভ্যস্ত। বিনোমূলক গল্প তাঁরা পছন্দ করেন। যত্ন নিয়ে তৈরি ছবি কিন্তু দর্শকের ভালো লাগে। থ্রিলার, কমেডি, পুরোপুরি কর্মাশিয়াল— যে ঘরানারই ছবি হোক, দর্শক কিছু নিয়ে সিনেমাহল থেকে ফিরতে চান। এই ছবিতে তেমন উপাদান প্রচুর রয়েছে।
ইদানীং ওটিটির মতো কনটেন্ট কি বড়পর্দায় দর্শক দেখতে চান?
আমার তা মনে হয় না। বাংলার দর্শকের বাংলা এবং হিন্দি ছবি থেকে চাহিদা আলাদা। ‘জওয়ান’ আড়াই ঘণ্টা বসে বাংলার দর্শক দেখে নেবেন। কিন্তু বাংলা ছবি থেকে তাঁরা অনেক বেশি ইমোশনাল কানেক্ট আশা করেন।
নতুন আর কী কাজ আসছে?
‘হইচই’-এ একটা সিরিজ আসছে ‘বিষহরি’। এটাও ক্রাইম থ্রিলার। কিন্তু একটা প্যারানর্মাল এলিমেন্ট আছে। লখীন্দর মনসার গল্পের উপর নির্ভর করে তৈরি এর চিত্রনাট্য। আমার চরিত্রের নাম রাজনন্দিনী। মেয়েটি কেস সলভ করে। ও নিজেও জানত না কেস সলভ করতে পারবে। ঠিক গোয়েন্দা নয়। এর মধ্যে ম্যাজিক, প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিটি রয়েছে। এধরনের কাজও আগে করিনি।
টেলিভিশনে কবে ফিরবেন?
টেলিভিশনে ফেরার পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই। আগে যে ধরনের কাজ করেছি, তেমন ভালো কাজ এলে ভাবব (হাসি)।
ভালো গল্পের অভাব নাকি সময়টা বড় ফ্যাক্টর?
দু’টোই সত্যি। টেলিভিশনে দিনে ১৪ ঘণ্টা শ্যুটিং করে আর অন্য কিছু করা কঠিন। তাছাড়া ‘গাঁটছড়া’র পর সেরকম স্ট্রাইকিং গল্পও আসেনি।
টেলিভিশনে কি নতুন ধরনের গল্প প্রয়োজন?
আসলে টেলিভিশনের রিটার্নের একটা বিষয় থাকে। এক্ষেত্রে প্রযোজক, লেখকদের দোষ দিতে পারব না। আমি সব সময়ই খুব ভালো অফার পেয়েছি। আবার ‘মেয়েবেলা’, ‘কাদম্বিনী’ এমন নানা প্রজেক্ট নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট হয়েছে। কিন্তু রিটার্ন না দেওয়ায় সেগুলো বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ফলে দর্শককেও নতুন গল্প অ্যাকসেপ্ট করতে হবে। তখন প্রযোজকরাও নতুন ধাঁচের গল্প বলার সাহস পাবেন।
ইন্ডাস্ট্রিতে ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে ইদানীং খুব চর্চা হচ্ছে। আপনি কি এমন কোনও ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন?
বহুদিন ধরে সব জায়গাতেই থ্রেট কালচার রয়েছে। এখন মানুষ সচেতন। তাই এটা নিয়ে এত কথা হচ্ছে। সামান্য হলেও আমি ফেস করেছি। আমার সঙ্গে অন্যায় হলে সেটা নিয়ে মুখ খুলি। কিন্তু সকলে সেটা পারেন না। ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন আসার পর এই ঘটনা ঘটেছে। তখন হয়তো খুব ঘনিষ্ঠ সিনিয়র অভিনেতাকে জানিয়েছি। তিনি তাঁর মতো করে সাজেশন দিয়েছেন। অনেকে সহ অভিনেতার সঙ্গেও শেয়ার করতে পারেন না। আবার আমি যখন মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত, তখনও এমন ঘটেছে। ফলে এটা নিয়ে কথাবার্তা হওয়াটা খুব পজিটিভ বিষয় বলে মনে করি।