পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
‘গুরুজি’ মাধব সদাশিব গোলওয়ালকর স্মৃতি বিজ্ঞান সম্মান সমারোহ নামে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে থাকে হাওড়ার একটি সংগঠন। ২০১৬ সাল থেকেই তা আয়োজিত হয়ে আসে। তবে, আইআইইএসটি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরে এখানেই তা আয়োজন করা হয়। তাতে অধিকর্তাদের উপস্থিতি আগেও লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তাদের একটি বিশেষ ভাবাদর্শে পরিচালিত সংগঠনে সশরীরে উপস্থিতিতে অনেকেরই আপত্তি রয়েছে। যদিও, আরএসএসের পশ্চিমবঙ্গ প্রচারপ্রমুখ (মুখপাত্র) বিপ্লব রায় এটিকে কোনও ধর্মীয় ভাবাদর্শ পরিচালিত সংগঠন মানতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, এই সংস্থাটি সামাজিক অবদানের ভিত্তিতে শিক্ষাবিদ বা বিজ্ঞানীদের পুরস্কৃত করে থাকে। তারাই বাছাই করে নেয় পুরস্কারপ্রাপকদের। এবছর বীরেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে আর এক কৃষিবিজ্ঞানী রাসবিহারী ভড়ও পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি গ্রামের প্রান্তিক মানুষ, কৃষকদের উন্নতিকল্পে কাজ করেছেন। আমি নিজে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। এতে বিতর্কের কিছু নেই। আর আইআইইএসটির প্রেক্ষাগৃহে অন্যান্য অনুষ্ঠানও হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজ্যপালও আমন্ত্রিত ছিলেন। তবে তাঁরা আসতে পারেননি।
যদিও, বিষয়টিকে এতটা সহজভাবে দেখতে রাজি নন অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি নস্কর। তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে ভারতীয় জ্ঞানধারা নামে যে বিজ্ঞান-বিরোধী ধারণা আমদানি করা হয়েছে, এই অনুষ্ঠান তারই অনুসারী। আরএসএস প্রধান হিসেবে গোলওয়ালকর ভারতে হিন্দুধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদের অন্যতম উদগাতা ছিলেন। এটা ধর্মনিরপেক্ষ ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি ভারতের অহিন্দু জনগণকে হিন্দু সংস্কৃতি গ্রহণের কথা বলেছিলেন। না-হলে তাঁদের ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক’ হিসেবে গণ্য করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বন্ধের পক্ষপাতী ছিলেন। একটি কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন একজন ব্যক্তির স্মরণে অনুষ্ঠান করা হবে কেন?
তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সহসভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এটা অন্যত্র হলেই ভালো হতো। তাছাড়া এই অনুষ্ঠানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষকর্তাদের উপস্থিতিও কাঙ্ক্ষিত নয়।