Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ সালটা ১৯৯৫। বক্তা বালাসাহেব থ্যাকারে। ছেলে উদ্ধব এবং ভাইপো রাজ থ্যাকারেকে উদ্দেশ করেই যে তিনি এই কথা বলেছিলেন, তাতে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু এই মন্তব্যের মধ্যে নজর করার মতো একটা অংশ আছে—সেনাপতি। শিবসেনা যে শুধু রাজার দল নয়, সেনাপতিরাও তাতে সমান গুরুত্ব পেয়ে থাকেন, সেটা বালাসাহেব স্পষ্ট করেছিলেন। কেমন সেই সেনাপতি? নামটা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে একনাথ সিন্ধে হতেই পারে। গরিব ঘর থেকে উঠে আসা একজন সাধারণ মানুষ। পরিবারের সঙ্কটে পড়াশোনা ছেড়ে অটোরিকশ চালানো শুরু করেছিলেন। এমন একটা প্রেক্ষাপটে প্রবেশ তাঁর রাজনীতিতে। আর এখন? ‘আসল শিবসেনা’ তাঁরই। উদ্ধব থ্যাকারের নয়। কেন এমন হল? কীভাবে? গত লোকসভা ভোটেও তো সমীকরণ তাঁর পক্ষে ছিল না! এমনকী বিজেপিরও নয়। ৪৮টা আসনের মধ্যে মাত্র ১৭টা দখল করতে পেরেছিল এনডিএ। আর বিপুল সম্ভাবনা জাগিয়ে ৩০টি কেন্দ্রে জয় পেয়েছিল ইন্ডিয়া। রাজনীতির কারবারিরা ভেবেছিলেন, বালাসাহেব আবেগ ছেলে উদ্ধবের পক্ষে গিয়েছে। বিজেপির ‘অপারেশন লোটাস’ রাজনীতিকে ছুড়ে ফেলেছে মানুষ। তাহলে বিধানসভা ভোটে উল্টো ফল কেন? এই কয়েক মাসে কী ফারাক হয়েছে মহারাষ্ট্রে? তলিয়ে দেখলে একটিমাত্র পার্থক্য চোখে পড়বে—নরেন্দ্র মোদি। গত লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদি ছিলেন নির্বাচনী মুখ। বিজেপি বা এনডিএ জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনিই, এটা জানার জন্য আইনস্টাইন হওয়ার দরকার ছিল না। আর বিধানসভা নির্বাচনে? নরেন্দ্র মোদিকে সুকৌশলে সরিয়ে রেখেছিল সঙ্ঘ পরিবার। সামনে ছিলেন কারা? দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, নীতিন গাদকারি, একনাথ সিন্ধে। আর ইস্যু? সম্পূর্ণ স্থানীয়। উগ্র হিন্দুত্ব ছিল, কিন্তু স্থানীয় মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে প্রচারকে পিছনে ঠেলে দিয়ে নয়। ফল হাতেনাতে পেয়েছে বিজেপি। মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’ ধোপে টিকতে পারেনি। সংখ্যাতত্ত্ব তাদের এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে যে, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার আসনে বসার মতো নম্বর কোনও দলের কাছে নেই। কংগ্রেস তো নয়ই, উদ্ধবের শিবিসেনা বা শারদ পাওয়ারের এনসিপিও এই অঙ্কে ফেল করেছে। আর সেইসঙ্গে মোদিবিহীন বিজেপির খড়কুটোর আগুনে হাওয়া লেগেছে জোরদার। নীতিন গাদকারি এমনিতেই মোদি বিরোধী শিবিরের বলে বাজারে তাঁর বদনাম আছে। তিনি প্রচার করলে মোদিপন্থীরা যে খুব উল্লসিত হয়ে থাকেন, এমনটা নয়। কিন্তু তাঁর প্রচারে যদি ফল ইতিবাচক হয়, তাহলে একটা বিষয়ই স্পষ্ট—মোদিপন্থী বলে প্রজাতিটি অবলুপ্ত হতে চলেছে। আরএসএস যে এই সারসত্যটা সবার আগে বুঝেছে, সেটাই বিজেপির সৌভাগ্য। ঠিক যে যে রাজ্যে মোদি ফর্মুলায় গেরুয়া শিবির অঙ্ক কষেছে, সেখানেই কিন্তু ভরাডুবি। এটা ঝাড়খণ্ড এবং সাম্প্রতিক উপ নির্বাচনগুলির ফলেও স্পষ্ট। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সাফল্যের নেপথ্যে যোগী আদিত্যনাথের আগ্রাসন ছিল। কিন্তু হিমন্ত বিশ্বশর্মার হিন্দুত্ববাদী প্রচার ঝাড়খণ্ডে কাজে আসেনি। বরং বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে জেলে পাঠানোর ঔদ্ধত্য। বিরসা মুন্ডার রাজ্যের মানুষ বলেছে, মোদি জেলে পাঠিয়েছেন তাদের ভূমিপুত্রকে। আর তাই মোদির দল বা সৈনিক যে সেখানে হালে পানি পাবে না, সেটাও স্পষ্ট ছিল ভোটের হাওয়ায়। বিজেপি একটা রব তুলে ভোটের অভিমুখ ঘোরানোর চেষ্টা করেছিল ঠিকই, কিন্তু তা খুব একটা কাজে দেয়নি। এমনকী আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক দখলের চেষ্টাও বিফলে গিয়েছে। অথচ নরেন্দ্র মোদি নিজে এই রাজ্যের আদিবাসীদের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় প্রকল্প তদারক করেছিলেন। পাঁচ বছরের প্রজেক্ট নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে হারার পর। এক্ষেত্রেও তাহলে কী ধরে নেওয়া যেতে পারে? হারের ফ্যাক্টর নরেন্দ্র মোদি? 
হাওয়া বদলাচ্ছে। একের পর এক ভোট তার প্রমাণ। ২০২১ সালে বাংলা থেকে মোদি নামক সূর্যের অস্তাচলে যাওয়ার যে সূচনা হয়েছিল, তা এখন পূর্ণ মাত্রায় গোধূলির পথে। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী তিনি হয়েছেন। কিন্তু তাতে গরিমা নেই। বরং জোটের কাছে আত্মসমর্পণ রয়েছে। তিনি নিজেও সেটা জানেন। আর জানে সঙ্ঘ। তাই মোহন ভাগবত আবার অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন। প্রতিটা পদক্ষেপ বুঝে ফেলাটাই এখন তাঁর লক্ষ্য। তাই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে সরে যাননি জে পি নাড্ডা। সরানো হয়নি রাজ্য সভাপতিদেরও। প্রকাশ্যে একের পর এক ভোটের কথা বলা হলেও, অপেক্ষা চলছে সঠিক মুখের। আরএসএস জানে, এই কয়েকটি ভোট থেকেই আসল চিত্রটা সামনে আসবে। তারপর ঠিক হবে, বিজেপির সংগঠনের ব্যাটন যাবে কার হাতে। সংগঠন নিয়ে এখন যে মোদিজিকে খুব একটা মাথা গলাতে দেওয়া হচ্ছে না, এই খবর বিজেপির অন্দরেই ঘুরপাক খাচ্ছে। তা না হলে এমন গুরুত্বপূর্ণ ভোটের সময় তিনি বিদেশ সফরে চলে যেতেন না। বিজেপি সম্পূর্ণভাবে ক্যাডার নির্ভর পার্টি। প্রশাসনের থেকে অনেক বেশি গুরুত্ব তাদের কাছে রাজনীতির। তাহলে মরণ-বাঁচন লড়াইয়ে দলের মুখ নিজেই কীভাবে বিদেশি হাওয়া খেতে যেতে পারেন? হাওয়া বদল কি এখনও বোঝা যাচ্ছে না? প্রশাসন তিনি চালান, অসুবিধা নেই। কারণ, তাঁর একাগ্রতা এবং পরিশ্রম করার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন সঙ্ঘের অন্দরেও নেই। ৫৫ ঘণ্টার বিদেশ সফরে গিয়ে ৪০টা বৈঠক করতে পারেন মোদিজি। এই অমানুষিক ক্ষমতা খুব বেশি রাজনীতিকের নেই। কিন্তু সংগঠন? এখানে সব স্ট্র্যাটেজিই সঙ্ঘের। আগ্রাসনই এই সমীকরণের শেষ কথা। কোথাও সফল হবে। কোথাও হবে না। ঠিক যেমন ‘কাটেঙ্গে ইয়া বাঁটেঙ্গে’ উত্তরপ্রদেশে সুফল এনেছে, ঝাড়খণ্ডে আনেনি। তাতে সঙ্ঘের কিছু আসে  যায় না। তারা জানে, শতবর্ষে পৌঁছে এজেন্ডার পূরণের আগে কিছু নেই। হিন্দুরাষ্ট্র, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, এক দেশ এক ভোট। তিনটি প্রায় অবাস্তব ভাবনাকেই তারা বাস্তব রূপ দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। তার জন্য যদি প্রয়োজন হয়, সরকার এবং সংগঠনকে স্রেফ আলাদা করে দেওয়া হবে। এতে লাভ দু’টি। ১) নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা ধাক্কা খেয়ে থাকলেও খুব একটা প্রভাব ভোটে পড়বে না। কারণ, তাঁকে মুখ হিসেবে খাড়া করে এগলেই সেই সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু তিনি যদি ভোট প্রচারের আলোতেই না থাকেন? মানুষ স্থানীয় নেতা এবং স্থানীয় ইস্যুর উপর ভিত্তি করে ভোট দেবে। মহারাষ্ট্রেও কিন্তু এবার বিজেপি কার্যত আঞ্চলিক পার্টির মতোই লড়েছে। জাতীয় ইস্যু বা নেতাদের সামনে আনা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু খুব বুঝেশুনে। জোটের মুখ হিসেবে থেকে গিয়েছেন একনাথ সিন্ধে ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। জয়ের পর কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেটা দেখে নেওয়া যাবে। আগে তো জয়! ২) বিরোধীদের বেসামাল হবে। কেন? কংগ্রেসের মতো জাতীয় স্তরের বিরোধী দলগুলির যাবতীয় আক্রমণ এবং প্রচারই নরেন্দ্র মোদিকে ঘিরে। গত ১০ বছরে তিনি আধিপত্যের যে মিথ তৈরি করেছেন, তাকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে কংগ্রেসের প্রচার। লোকসভা ভোট ছিল মোদির। তাই সেখানে কংগ্রেস দাঁত ফোটাতে পেরেছে। রাহুল গান্ধীরা ভেবেছেন, বিজেপির জমানা শেষ। মানুষ আবার কংগ্রেসকেই ভরসা করতে শুরু করেছে। বাস্তবে কি তাই? মহারাষ্ট্র বা ঝাড়খণ্ড কিন্তু সে কথা বলল না। এই ভোটপর্ব দেখাল, মানুষ আঞ্চলিক শক্তির উপরই বেশি ভরসা করছে। কংগ্রেসের উপর নয়। আরএসএস সেটা বুঝতে শুরু করেছে। কিন্তু কংগ্রেস নয়। বিধানসভা ভোটে যে গেরুয়া বাহিনীর স্ট্র্যাটেজি বদলে গিয়েছে, সেটা কংগ্রেস বুঝতেই পারেনি। কারণ, ওভার কনফিডেন্স। লোকসভার ফল তাদের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে। তাই কংগ্রেসের আক্রমণ সবটাই ছিল মোদিজির বিরুদ্ধে। কিন্তু আসরে না থাকা একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কথা এবং প্রচারের টাকা খরচ পুরোটাই জলে গিয়েছে। এই ভোটের ফল আরও একবার দেখিয়ে দিয়েছে, সোনিয়া গান্ধী জমানার পরবর্তী কংগ্রেস সাবালক হওয়া তো দূর, এখনও হামাগুড়ি দেওয়ার পর্যায়েই রয়েছে। পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিতে হয়, অবস্থা বুঝে কীভাবে প্ল্যান বি ব্যবহার করতে হয়, সেটাই শেখেনি তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা আগ্রাসী নেত্রী হিসেবে জানি। আর জি কর আন্দোলন কিন্তু একেবারে অচেনা মমতা হয়েই সামলেছেন তিনি। পাশে দাঁড়িয়েছেন আন্দোলনকারীদের। তাঁদের ন্যায্য দাবিকে সমর্থন জুগিয়েছেন। এটাই শাসকের এবং রাজনৈতিক দলের বিকল্প রণনীতি। আন্দোলনের নামে যারা রাজনীতির চাষ শুরু করেছিল, তারা উধাও হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস কিন্তু আটকে আছে সেই মোদি বিরোধিতায়। হাওয়া যে বদলাচ্ছে, সেটা তারা বুঝছে না। বা বোঝার মতো রাজনৈতিক ক্ষমতা তাদের নেই। 
ঝাড়খণ্ডের ফলাফলের ময়নাতদন্তের পর বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলছিলেন, ‘এখানে হারতে হয়েছে দুর্বল ইলেকশন ম্যানেজমেন্টের জন্য। এমন সব লোককে টিকিট দেওয়া হয়েছে, তারা একেবারেই জনপ্রিয় নয়। শুধু পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ফল তো এমন হবেই!’ কার দিকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি? নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা নয় তো? হরিয়ানা ভোটের কথাও কিন্তু তিনি বলছিলেন। সেখানে প্রচারে মোদিজিকে খুব একটা দেখাই যায়নি। স্থানীয় ইস্যু সামনে রেখেই অপ্রত্যাশিত জয় পেয়েছিল বিজেপি। মহারাষ্ট্রের ফলের পর একটা বিষয় নিশ্চিত, ধীরে ধীরে এই ফর্মুলাতেই শিফ্ট করে যাবে তারা। আর কর্তৃত্বের দখল পুরোটাই তুলে নেবে সঙ্ঘ। সংগঠনের রাশ তো বটেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যতদিন আছেন... থাকুন। মেয়াদ না হোক, অবসর পর্যন্ত। 
26th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
একনজরে
আগামী  ২২ জানুয়ারি থেকে সুন্দরবনে শুরু হবে তৃতীয় পাখি উৎসব। চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের কর্তারা। এই বার্ড ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে আবেদন করতে হবে। ...

৪৩তম ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে প্যাভিলিয়ান গড়ে লগ্নিকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)। এনআইএসএম, বিএসই, এনএসই, এমসিএক্স, এনএসডিএল, অ্যামফির মতো বেশ কয়েকটি সংস্থার সহায়তায় তারা যে প্যাভিলিয়নটি তৈরি করেছে, তার নাম ‘ভারত কা শেয়ার ...

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে শুরুটা ভালো করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে তারপরই ছন্দপতন। চার ম্যাচে দু’টি হার। বাকি দুই ম্যাচে জয়ের সুবাদে ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৮ নম্বরে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ...

মঙ্গলবার বিচারক না আসায় মণীশ শুক্লা খুনের মামলায় সাক্ষ্যদান পর্ব শুরু হল না। প্রথম সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল মণীশের বাবা ডাঃ চন্দ্রমণি শুক্লার। বিচারক অনুপস্থিত থাকায় আদালতে এসেও ফিরে যেতে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডাঃ শুক্লা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৮২ - উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিবাহ
 ১৭৯৫- গেরাসিম লেবেদেফের উদ্যোগে কলকাতার মঞ্চে প্রথম অভিনীত হল নাটক
১৮৫২ - কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ধারণার একজন প্রবর্তক  অগাস্টা অ্যাডার মৃত্যু
১৮৭৮- কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচির জন্ম
১৮৮৮ - কবিপুত্র তথা বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কৃষিবিজ্ঞানী,শিক্ষাবিদ ও লেখক রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৯৫ - বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল তাঁর সমস্ত সম্পত্তি উইল করে নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্য তহবিল গঠন করেন।
১৯০৭ - বিশিষ্ট ভারতীয় হিন্দি ভাষার কবি ও লেখক হরিবংশ রাই বচ্চনের জন্ম
১৯১৩- চিত্রশিল্পী চিত্রানিভা চৌধুরির জন্ম
১৯১৪ - ব্রিটেনে প্রথম মহিলা পুলিস নিয়োগ হয়।
১৯৪০- অভিনেতা ও মার্শাল আর্ট শিল্পী ব্রুস লি’র জন্ম
১৯৫২- সুরকার বাপ্পি লাহিড়ির জন্ম
১৯৮৪- অভিনেতা ও গায়ক অসিতবরণের মৃত্যু
১৯৮৬- ভারতীয় ক্রিকেটার সুরেশ রায়নার জন্ম
১৯৯২ - এই দিন থেকে ব্রিটেনের রানী আয়কর দিতে শুরু করেন।
২০০৮- ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী ভি পি সিংয়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৪৩ টাকা ৮৫.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৯ টাকা ১০৭.৯০ টাকা
ইউরো ৮৬.৭৫ টাকা ৯০.১০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১/৫৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৭/২৮ গতে ৮/১১ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/২৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/১৯ গতে ৩/২৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৪৫ গতে ৭/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ৩/২১ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১০/৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২৪ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪২ গতে ৪/২২ মধ্যে। 
১১ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী শেষরাত্রি ৬/২। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৪ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৪ গতে ৪/২৪ মধ্যে।  
২৪ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দ্বিতীয় সর্বনিম্ন শীতলতম রাত, বুধবারে ১০.৪ ডিগ্রির ঠাণ্ডায় দাঁতকপাটি দিল্লিবাসীর

11:44:29 PM

বাংলাদেশের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে সরব আফ্রিকান-আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়িকা ম্যারি মিলবেন

10:34:00 PM

অসমের শ্রীভূমিতে দুটি গাড়ি থেকে ৭৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

09:53:00 PM

আইএসএল: মহামেডানকে ২-১ গোলে হারাল বেঙ্গালুরু

09:39:00 PM

৫৫তম গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভাল (আইএফএফআই): উপস্থিত পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকর

09:30:00 PM

উত্তাল বঙ্গোপসাগর, তামিলনাড়ুতে ট্রাক্টরের সাহায্যে মাছ ধরার নৌকাগুলিকে জল থেকে ডাঙায় তোলা হল

09:26:00 PM