পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
এদিকে, এই ঘটনায় সর্ষের মধ্যে ভূত থাকার সম্ভাবনাই জোরালো হচ্ছে। ব্যাঙ্কের যে ভল্ট ও আলমারি চাবি দিয়ে খুলে টাকা লোপাট করা হয়েছে, সেই চাবি থাকে ব্যাঙ্কেরই দুই দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের কাছে। ওই দু’জনকে সিআইডি এবং মহেশতলা থানার তদন্তকারী টিম জেরা করেছে। শুধু আলমারি বা ভল্ট নয়, ব্যাঙ্কের পিছনের অংশে শাটারের চাবিও তাঁদের কাছে থাকে। ওই শাটারও সোমবার খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই দুই অফিসারের কাছে সেইসব চাবি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। জেরায় দু’জনেই বলেছেন, তাঁরা কিছুই জানেন না। তদন্তকারীরা একথা বিশ্বাস করতে নারাজ। লালবাজারের সূত্র বলছে, প্রাথমিকভাবে ব্যাঙ্কের দুই কর্মী সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। বেশ কিছু তথ্য ও ঘটনার পরম্পরা থেকে তারা নিশ্চিত, ব্যাঙ্কের একাধিক অফিসার ও কর্মী প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে যুক্ত। না হলে ভল্ট ও আলমারির চাবি হুবহু নকল করা যায় না। ওই নকল চাবি দিয়েই দুষ্কৃতীরা আলমারি ও ভল্ট খুলেছে। পুলিসের বক্তব্য, আরও কিছু তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে। সেগুলি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কাউকে পাকড়াও করা যাচ্ছে না। ধরপাকড় শুরু করলেই সতর্ক হয়ে যেতে পারে দুষ্কৃতীরা।
তদন্তে নেমে পুলিস আরও একটি বিষয় নিয়ে খটকায়। তা হল, ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক থেকে সরাতে হলে বড় বস্তায় করে নিয়ে যেতে হবে। বাটা মোড়ের মতো জনবহুল এলাকায় টহলদারি পুলিসের নজর এড়িয়ে টাকার বস্তা নিয়ে যাওয়া মুশকিল। কারণ ওই মোড়ে রাতের দিকে প্রায়ই নাকা চেকিং হয়। তাহলে কোন পথ দিল পালাল দুষ্কৃতীরা? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আরেকটি বিষয় হল, এতবড় অপারেশনের আগে নিশ্চিতভাবেই একাধিকবার ব্যাঙ্কে এসে রেকি করে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা আছে, কোন আলমারি ও ভল্টে টাকা থাকে, কোন দিক দিয়ে পালানোর রাস্তা, পুরো নকশাই ছিল তাদের কাছে। একারণেই এত নিখুঁত অপারেশন করে গা ঢাকা দিতে পেরেছে তারা। এই গ্যাং কলকাতার নাকি ভিন রাজ্যের, তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী টিম।
এদিন সকালে ব্যাঙ্ক খোলার পর গ্রাহকরা দলে দলে চলে আসেন এই শাখায়। গ্রাহকদের একটাই প্রশ্ন, লকার সুরক্ষিত আছে কি না? ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সব গ্রাহককে এব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে।