পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
কলকাতায় ময়নাতদন্তের পর সোমবার রাত ১১টা নাগাদ মৃত শিশুকন্যার দেহ নিয়ে আসা হয় গুড়াপে। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন ছিল এলাকায়। তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি আনতে সোমবারই হুগলি জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ দল (সিট) গঠন করা হয়। যে বাড়ি থেকে শিশুকন্যাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল, প্রতিবেশীর সেই বাড়িটিকে ঘিরে রাখা হয়। বাড়ির সামনে বসানো হয় পুলিস পিকেট। স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্তকে শুধু গ্রেপ্তার করলেই হবে না, দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এই দাবিতে এদিন গুড়াপ থানায় ডেপুটেশন দিয়েছে সিপিইএম ও বিজেপি।
এদিন বিকেল ৩টে নাগাদ ফরেন্সিক দলের তিন সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন। টানা তিন ঘণ্টা ধরে তাঁরা তদন্ত করেন। বেশ কিছু নমুনা তাঁরা সংগ্রহ করেছেন। হুগলি জেলা পুলিসের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সি বলেন, এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ্যে আনা যাবে না। মামলায় এই নথি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবার সন্ধ্যায় পাঁচ বছরের ওই শিশুকন্যা একাই বাড়ির কাছে একটি দোকানে গিয়েছিল। ফেরার সময় প্রতিবেশী অশোক সিং তাকে টাকার লোভ দেখিয়ে ঘরে ডেকে এনে ধর্ষণ ও খুন করে বলে অভিযোগ। মেয়ে ঘরে না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নাগাদ অশোকের বাড়ি থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গুড়াপ থানায় খবর যায়। শিশুটিকে ধনেখালি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে মারধর করে। পরে পুলিস এসে তাকে গ্রেপ্তার করে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। -নিজস্ব চিত্র