পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের বিষয়টি স্পষ্ট হলেও ঘটনার দিনের কার্যকারণ সম্পর্ক তৈরি করা যায়নি। কারণ, শম্ভু তো বটেই গ্রেপ্তার হওয়া দুই মহিলাও তদন্তে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছেন। ঘটনার দিন যখন নিখোঁজ চার বছরের শিশু স্বর্ণাভ সাহাকে সকলে খুঁজছিল তখন ঠাকুরদা ও ঠাকুমা চায়না সাহা গুণিনের কাছে গিয়েছিলেন। শিশুটিকে ততক্ষণে হত্যা করা হয়ে গিয়েছিল। তারপরেও প্রৌঢ় দম্পতির তরফে সকলের চোখে ধুলো দেওয়ার কৌশল ঘিরেও বিস্ময় ছড়িয়ে পড়েছে পুলিস মহলে। এক পুলিস কর্তা বলেন, শম্ভু প্রৌঢ় হলেও ভীষণই শক্ত মানসিকতার মানুষ। তার কোনও অনুতাপ, অনুশোচনার বালাই নেই! মহিলারা সাধারণত নরম মনের মানুষ বলে পরিচিত। কিন্তু নাতি খুন হয়ে যাওয়া, পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার মতো ঘটনাতেও চায়না ও টুম্পার আচরণও বিস্ময়কর। লাগাতার জেরার মুখে ভেঙে পড়েননি তাঁরাও। এদিনের ফরেন্সিক তদন্ত নিয়ে গ্রামীণ পুলিস কর্তারা জানিয়েছেন, সমস্ত দৃষ্টিকোণ থেকেই তদন্ত করা হচ্ছে। একটি নৃশংস ঘটনার কিনারা করার ব্যাপারে আমরা দায়বদ্ধ।
শনিবার সকালে আচমকা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বাদাগাছির চার বছরের শিশু স্বর্ণাভ সাহা। স্থানীয় বাসিন্দা যাদব ও সুপ্রিয়া সাহার একমাত্র সন্তানকে রবিবার ভোররাতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বাড়ির কাছেই মৃতের ঠাকুরদা, ঠাকুমার শৌচাগারে তার দেহ মিলেছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে পারিবারিক শত্রুতার জেরে খুনের সূত্র পায় পুলিস। রবিবার রাতে মৃতের ঠাকুরদা, ঠাকুমা ও জেঠিমাকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। জেরা করে পুলিস জানতে পারে, এমনিতেই বাড়ির ছোটবউমা ও নাতিকে পছন্দ করতেন না শম্ভু। শনিবার সকালে নাতিকে শাস্তি দিতেই তার মুখ চেপে ধরে খুন করেন তিনি। তারপর স্ত্রী ও বড়বউমাকে নিয়ে মৃতদেহ সহ প্রমাণ লোপাটের কাজে নেমেছিলেন। গোটা ঘটনায় মঙ্গলবারও বাদাগাছির বাসিন্দাদের বিস্ময়ের ঘোর কাটেনি। এদিন দিনভর ওই ঘটনা নিয়ে চর্চা হয়েছে। তেমনই দিনভর
এক সন্তানহারা মায়ের কখনও উচ্চকণ্ঠে কখনও ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজ এলাকার মানুষকে শোকাচ্ছন্ন করেছে। -নিজস্ব চিত্র