পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবিত খসড়াকে চুড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং অনুমোদিত হয়। শেষ বক্তা হিসেবে একটি কালজয়ী ভাষণ দিয়েছিলেন সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান বাবসাহেব আম্বেদকর। সেই স্মরণীয় দিনের ৭৫ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার সংসদ ভবনে আয়োজন করা হয়েছিল সংধিধান দিবসের অনুষ্ঠান। প্রধান বক্তা ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ। এছাড়া লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং ভাষণ দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকার।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে সংবিধান প্রণেতাদের জয়ধ্বনি এবং সংবিধানের অধ্যায়গুলির প্রতি বন্দনাবাক্যের পাশাপাশি ছিল মোদি সরকারের বহুল প্রশংসা। জিএসটি থেকে মহিলা সংরক্ষণ আইন। বিগত বছরগুলিতে ভারত সরকারের সাফল্য যে সংবিধান নির্দেশিকা সুশাসনেরই পরিচায়ক যেন সেই বার্তা দিতে অতি তৎপর ছিলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলিতে ভারত সরকার বহু উন্নয়নমূলক কাজ করে ভারতের অনুন্নয়নকে অনেকাংশে কমাতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৮ সালে ন্যাশনাল কমিশন অব ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসকে দেওয়া হয়েছে সাংবিধানিক মর্যাদা। এমনকী ১৮৬১ সালের ফৌজদারি আইন বদলে দিয়ে যেভাবে ন্যায় সংহিতা আইন আনা হয়েছে তারও ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাষ্ট্রপতি। বিগত বছরগুলিতে ভারত সরকার সমাজের সব স্তরের প্রভূত উন্নতি করেছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশেষ করে গরিব মানুষের উপকার হয়েছে সবথেকে বেশি। মোদি সরকারের দেওয়া বিজ্ঞাপনের ধাঁচেই রাষ্ট্রপতি তালিকা উল্লেখ করেই জানান, গরিব রাস্তা পেয়েছে, বাড়ি পেয়েছে, পানীয় জল পেয়েছে, খাদ্য সুরক্ষা পেয়েছে। দেশজুড়ে বিশ্বমানের পরিকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এই সরকারই যে ২০১৫ সাল থেকে এই বিশেষ দিনকে সংবিধান দিবস হিসেবে অভিহিত করেছে সেকথাও জানাতে ভোলেননি দ্রৌপদী মুর্মু।
শুধু তিনি নন, উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকার জোর দিয়েছেন সংবিধানের শিক্ষার উপর। তিনি বলেছেন, ঐক্যের গুরুত্বের কথা। বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে অথবা মণিপুর নিয়ে দেশজুড়ে যে হয়েছে বিতর্ক সেই উদ্বেগের ছায়া ছিল না আজ সংবিধানের দিবসের কোনও ভাষণে। এমনকী অগাধ উন্নতির ফিরিস্তির মধ্যে কোনও চিন্তা প্রকট করা হয়নি বিশ্ব ক্ষুধা সূচকেও ভারতের উপরের সারিতে স্থান থাকা নিয়েও!