Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
প্রাক-নির্বাচন এবং নির্বাচনের পরে, বাজার সূচকগুলি নিম্নগামী হয়েছে। ৫ নভেম্বর সেনসেক্স বন্ধ হয়েছিল ৭৮,৭৮২-তে এবং ভারতীয় মুদ্রায় ডলারের বিনিময় 
হার ছিল ৮৪.১১ টাকা। এই লেখা যখন লিখছি, তার আগের দিন বা বৃহস্পিতবার সেনসেক্স ৭৭,১৫৬-তে বন্ধ হয় এবং সেদিন আমাদের মুদ্রায় ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৪.৫০ টাকা।
ট্রাম্প একজন ‘মার্কেন্টিলিস্ট’ 
আসুন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মূল বিশ্বাসের দিকে তাকাই। আমরা জানি, তিনি একজন ‘মার্কেন্টিলিস্ট’  এবং বিশ্বাস করেন যে শুধুমাত্র উচ্চ হারে শুল্কই আমেরিকাবাসীর স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। উচ্চ হারে শুল্ক চাপাবার হুমকি দিয়েছেন তিনি, বিশেষ করে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর। বাইডেন জমানায় চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ এইকরম: ২০২১ সালে ৩৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে ৩৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২৩ সালে ২৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধনী লোকজনের প্রচুর পরিমাণে চীনা পণ্যদ্রব্য, পোশাক, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র এবং নানাবিধ যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। উচ্চ হারে শুল্ক চাপালে আমেরিকায় খরচ বাড়বে শিল্প এবং উপভোক্তা উভয়েরই। স্বভাবতই বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি এবং ইউএস ফেডও বাড়িয়ে দেবে সুদের হার (পলিসি ইন্টারেস্ট রেট), যা এবছর দু’বার সেখানে কমানো হয়েছে। অন্যদিকে, কর্মসংস্থান বা চাকরির বাজার ঠিক রাখতে চীনকে পণ্য উৎপাদন চালিয়েই যেতে হবে। ফলত, মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির কারণে চীন তার পণ্যগুলি অন্যান্য দেশে ‘ডাম্প’ করতে বাধ্য হবে। ডাম্পিং ঠেকাতে ভারত ইতিমধ্যেই চীনা পণ্যের উপর সর্বোচ্চ সংখ্যক শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে। মার্কিন শুল্কের উচ্চ হারের বদলা হিসেবে যে শুল্ক এরপর আরোপ করা হতে পারে তার পরিণাম বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য খারাপ হওয়ারই আশঙ্কা থাকছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুব কম লোকই রাজকোষ ঘাটতি (ফিসকাল ডেফিসিট) নিয়ে কথা বলে, যেভাবে ভারত এবং অন্যান্য দেশগুলি তাদের রাজকোষ নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমেরিকা অবশ্য তার ঘাটতি মেটাবার ব্যবস্থা সহজেই করে ফেলতে পারে, কারণ চীনসহ অন্যান্য দেশগুলি মার্কিন ট্রেজারি বন্ড কিনে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২১ হাজার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার মধ্যে প্রায় ১১৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ধার দিয়েছে চীন। এখন যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজকোষ ঘাটতি বৃদ্ধি পায় তবে তা মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দেবে। ফলস্বরূপ সুদের হার বাড়ানো হলে মূলধনের সংগ্রহ ধাক্কা খাবে এবং ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলি থেকে পুঁজি চলে যাবে অন্য দেশে। একটি তেজি ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। 
ট্রাম্প একজন ‘প্রোটেকশনিস্ট’
ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁদের শিল্প-কারখানাগুলিকে আমেরিকাতেই ফেরাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মার্কিন শিল্প কলকারখানাগুলিকে সে-দেশের ভিতরেই নির্মাণের জন্য তিনি লোভনীয় ইনসেনটিভ ঘোষণা করতে পারেন। তাতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট বা এফডিআই) কমে যাবে। যদি ব্যবসাগুলি এখনও বিদেশে তাদের কারখানা তৈরি করতে চায় তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রযুক্তি রপ্তানির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারেন। আমেরিকার পণ্যের উপর চড়া শুল্ক আরোপের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর একসময় ক্ষুব্ধ ছিলেন। এমনকী ভারতকে ‘কারেন্সি ম্যানিপুলেটর’ (বাণিজ্যিক ফায়দার স্বার্থে কোনও দেশ ‘অন্যায্য’ মুদ্রনীতি নিয়ে চললে তাকে এই নাম দেওয়া হয়) বলেও অভিযুক্ত করেছিলেন তিনি। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নরেন্দ্র মোদির মধ্যেকার ‘দোস্তি’ ভারতের প্রতি তাঁর মনোভাবকে নরম করবে কি না এবং ব্যাপারটা ভারতের জন্য একট‍ি ব্যতিক্রমী হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েই যায়।  
অন্য গুরুতর সমস্যাটি হল ‘অবৈধ’ অভিবাসন (ইললিগাল ইমিগ্রেশন)। ডোনাল্ড ট্রাম্প তো বেকারত্ব থেকে অপরাধ, মাদকের উৎপাতসহ যাবতীয় খারাপ ব্যাপারের জন্য এটাকেই দায়ী করেছেন। ট্রাম্প সাহেব এমনও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তাঁর তরফে দেশশাসনের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে ১০ লক্ষ পর্যন্ত ‘অবৈধ’ অভিবাসীকে গায়ের জোরে আমেরিকা থেকে খেদাবেন! ‘অল ডিপোর্টেশন অফ ইললিগাল এলিয়েনস’ কর্মসূচির দায়িত্ব দেওয়ার জন্য ট্রাম্প সাহেব একজন ‘হার্ডলাইনার’ বা কট্টরপন্থীকেই বেছে নিয়েছেন, তিনি  হলেন টম হোম্যান।
কতজন ভারতীয়কে বিতাড়িত করা হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে কিছু তো হবেই। সেই ঘটনার বিরূপ প্রভাব পড়বে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উপর। ডোনাল্ড ট্রাম্প এইচ১বি১ ভিসা অর্জনের নিয়মকানুন আরও কড়া করতে পারেন। যদিও মার্কিন মুলুকের শিল্প, বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্র আরও যোগ্য ভারতীয়দের সেদেশে চায়। তারা চায় ওই ভারতীয়রা সেখানে থাকুন এবং আমেরিকার নাগরিকই হয়ে উঠুন। যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প 
এবং মার্কিন নিয়োগকর্তারা নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকেন তবে তাতে একটি ভয়ানক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। 
জলবায়ু নিয়ে সংশয়বাদী ট্রাম্প
ট্রাম্প প্রেসিডেন্সি খনিজ তেল এবং ওষুধ শিল্পকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর এনার্জি সেক্রেটারি হিসেবে ক্রিস রাইটকে মনোনীত করেছেন। রাইট হলেন ‘ফ্র্যাকিং এবং ড্রিলিং’-এর একজন কট্টর সমর্থক। জলবায়ু সংকট বলে কিছু যে আছে, তা তিনি মানেন না। জলবায়ু পরিবর্তনের উপর কনফারেন্স অফ পার্টিজ (সিওপি) আলোচনা হয়তো থেমে যাবে না কিন্তু একট‍ি গুরুতর ধাক্কা তাতে লাগতে পারে। সিওপি’র প্রচেষ্টাকে সমর্থন করাই ভারতের বর্তমান অবস্থান কিন্তু তা একটু ধীরে চায় এবং সেটা হতে পারে। ফার্মাসিউটিক্যাল ফ্রন্ট বা ওষুধ শিল্পের অনুমান, নিয়ন্ত্রণ কমবে এবং ওষুধের দাম বাড়ানো সম্ভব হবে। এই প্রত্যাশা থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগ বেড়েছে। সারা বিশ্বে ওষুধের দাম বাড়বে এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আমাদের যে প্রচেষ্টা, আঘাত আসবে তার উপর।
সর্বশেষ প্রশ্ন: যে দুটি যুদ্ধ রোজ কয়েক ডজন নিরপরাধ মানুষের প্রাণ নিচ্ছে এবং স্কুল ও হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগুলিকে ধ্বংস করছে, সে সম্পর্কে ট্রাম্প সাহেবের মনোভাব কী হবে? ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘যুদ্ধ বন্ধ’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবে তার জন্য তিনি কী করবেন? এখনও পর্যন্ত কিন্তু তা নিয়ে কোনোরকম উচ্চবাচ্য করেননি তিনি। তাঁর অতীত ইতিহাস এবং ঘোষণাপত্তর অবশ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তিনি ইজরায়েলের পাশেই থাকবেন। রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পাদনের জন্য তিনি জেলেনস্কিকে চাপ দিতে পারেন। তাতে তড়িঘড়ি পদক্ষেপের পরিণতিই হবে। যুদ্ধ শেষ হয়ে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি মিলবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। এর  উল্টো দিকে, যুদ্ধের অশান্তি বেড়ে গেলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগান আরও ব্যাহত হবে। সেই পরিস্থিতির প্রভাব উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর পড়বে মারাত্মকভাবে।  
ডোনাল্ড  ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট আগেইন’ নীতি আমাদের এই গ্রহকে আরও ভালো, নিরাপদ কিংবা সমৃদ্ধ করেব না। তাঁর কথামতোই, এটা একেবারের আমেরিকার নিজের স্বার্থে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ 
করে দিয়েছে যে, এই জনপ্রিয় ঘোষণা ট্রাম্প সাহেবের ব্যক্তিস্বার্থের জন্যও। 
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। 
মতামত ব্যক্তিগত
25th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
একনজরে
আগামী  ২২ জানুয়ারি থেকে সুন্দরবনে শুরু হবে তৃতীয় পাখি উৎসব। চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের কর্তারা। এই বার্ড ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে আবেদন করতে হবে। ...

মঙ্গলবার বিচারক না আসায় মণীশ শুক্লা খুনের মামলায় সাক্ষ্যদান পর্ব শুরু হল না। প্রথম সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল মণীশের বাবা ডাঃ চন্দ্রমণি শুক্লার। বিচারক অনুপস্থিত থাকায় আদালতে এসেও ফিরে যেতে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডাঃ শুক্লা। ...

৪৩তম ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে প্যাভিলিয়ান গড়ে লগ্নিকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)। এনআইএসএম, বিএসই, এনএসই, এমসিএক্স, এনএসডিএল, অ্যামফির মতো বেশ কয়েকটি সংস্থার সহায়তায় তারা যে প্যাভিলিয়নটি তৈরি করেছে, তার নাম ‘ভারত কা শেয়ার ...

ট্যাব কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি যাতে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে না হয় তারজন্য আঁটঘাট বাধছে নবান্ন। এই প্রকল্পে উপভোক্তাদের নামের তালিকা প্রশাসন তৈরি করেছে। তা বিডিও, এসডিও এবং ডিএম অফিসে টাঙনো হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৮২ - উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিবাহ
 ১৭৯৫- গেরাসিম লেবেদেফের উদ্যোগে কলকাতার মঞ্চে প্রথম অভিনীত হল নাটক
১৮৫২ - কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ধারণার একজন প্রবর্তক  অগাস্টা অ্যাডার মৃত্যু
১৮৭৮- কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচির জন্ম
১৮৮৮ - কবিপুত্র তথা বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কৃষিবিজ্ঞানী,শিক্ষাবিদ ও লেখক রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৯৫ - বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল তাঁর সমস্ত সম্পত্তি উইল করে নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্য তহবিল গঠন করেন।
১৯০৭ - বিশিষ্ট ভারতীয় হিন্দি ভাষার কবি ও লেখক হরিবংশ রাই বচ্চনের জন্ম
১৯১৩- চিত্রশিল্পী চিত্রানিভা চৌধুরির জন্ম
১৯১৪ - ব্রিটেনে প্রথম মহিলা পুলিস নিয়োগ হয়।
১৯৪০- অভিনেতা ও মার্শাল আর্ট শিল্পী ব্রুস লি’র জন্ম
১৯৫২- সুরকার বাপ্পি লাহিড়ির জন্ম
১৯৮৪- অভিনেতা ও গায়ক অসিতবরণের মৃত্যু
১৯৮৬- ভারতীয় ক্রিকেটার সুরেশ রায়নার জন্ম
১৯৯২ - এই দিন থেকে ব্রিটেনের রানী আয়কর দিতে শুরু করেন।
২০০৮- ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী ভি পি সিংয়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৪৩ টাকা ৮৫.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৯ টাকা ১০৭.৯০ টাকা
ইউরো ৮৬.৭৫ টাকা ৯০.১০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১/৫৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৭/২৮ গতে ৮/১১ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/২৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/১৯ গতে ৩/২৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৪৫ গতে ৭/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ৩/২১ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১০/৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২৪ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪২ গতে ৪/২২ মধ্যে। 
১১ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী শেষরাত্রি ৬/২। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৪ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৪ গতে ৪/২৪ মধ্যে।  
২৪ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দ্বিতীয় সর্বনিম্ন শীতলতম রাত, বুধবারে ১০.৪ ডিগ্রির ঠাণ্ডায় দাঁতকপাটি দিল্লিবাসীর

11:44:29 PM

বাংলাদেশের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে সরব আফ্রিকান-আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়িকা ম্যারি মিলবেন

10:34:00 PM

অসমের শ্রীভূমিতে দুটি গাড়ি থেকে ৭৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

09:53:00 PM

আইএসএল: মহামেডানকে ২-১ গোলে হারাল বেঙ্গালুরু

09:39:00 PM

৫৫তম গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভাল (আইএফএফআই): উপস্থিত পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকর

09:30:00 PM

উত্তাল বঙ্গোপসাগর, তামিলনাড়ুতে ট্রাক্টরের সাহায্যে মাছ ধরার নৌকাগুলিকে জল থেকে ডাঙায় তোলা হল

09:26:00 PM