উচ্চতর বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভের জন্য নামী স্বদেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। অর্থকর্মে উন্নতি ... বিশদ
একটি বিধিসম্মত সতর্কীকরণ দিয়ে শুরু। ছবিটি নাকি রামায়ণ দ্বারা অনুপ্রাণিত। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার খোলস ছাড়িয়ে ছবির অন্দরমহলে উঁকি দিয়ে দেখা যাক। শ্রীলঙ্কায় রাক্ষস জুবের হাফিজ ওরফে ডেঞ্জার লঙ্কার (অর্জুন কাপুর) হাতে অপহৃতা ও বন্দিনী অবনী (করিনা কাপুর খান)। অবধারিতভাবেই তাকে উদ্ধার করতে স্বামী বাজিরাও সিংহমের (অজয় দেবগণ) শ্রীলঙ্কা অভিযান। রামচন্দ্র থাকবেন, আর তাঁর বাহিনী থাকবে না, এটা হতে পারে না। অতএব হেলিকপ্টারে উড়ান জটায়ু সুলভ বীর সূর্যবংশী (অক্ষয় কুমার), জীবনের সর্বক্ষেত্রে রামের অনুসারী লক্ষ্মণ রূপী এসিপি সত্য (টাইগার শ্রফ), এনার্জিতে ভরপুর হনুমান রূপী সিম্বা (রণবীর সিং), অত্যুৎসাহী সুগ্রীব রূপী ডিসিপি শক্তি শেট্টি (দীপিকা পাড়ুকোন), এমনকী ছদ্ম পরিচয়ের স্বর্ণমৃগ রূপিণী মৃগয়া ওরফে ইকরা হাফিজ (সারা আরফিন খান) সকলেই হাজির।
সামান্য কিছু বছর আগেও স্টারডম ও অন্যান্য নিজস্ব কিছু বাণিজ্যিক ফর্মুলার স্রোতে তরতর করে বয়ে যেত বলিউডের বাণিজ্য তরণী। কিন্তু রাজামৌলি নামক দক্ষিণী ঝঞ্ঝার প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই বলিউড ক্রমশ পৌরাণিক পরিমণ্ডল ও গল্পের মধ্যে নন ফিকশন টেলিসোপের অনুপ্রবেশে মন দিয়েছে। এখানেও অবনীকে নন ফিকশন সোপের শ্যুটিংয়ে ছুটে বেড়াতে দেখা যায়। ঝাঁ-চকচকে লোকেশন এবং রণবীর সহ অনেকের ভালো অভিনয় ছবির প্রাপ্তি। চিত্রনাট্যে পরিচালক আরও মনোযোগী হলে ভালো লাগত। দীপিকা ও টাইগার শ্রফের প্রতিভার ব্যবহারও তেমন চোখে পড়েনি। তবে রণবীর-অক্ষয় জুটির রসায়ন ভালো জমেছে। গিরিশ কান্ত ও রাজা হুসেন মেহতার সিনেমাটোগ্রাফি ও বান্টি নেগির সম্পাদনার যুগলবন্দিতে পেশাদারিত্বের ছাপ রয়েছে। রোহিত শেট্টির পরিচালনায় গাড়ি ওড়ানোর বিলাসিতার সঙ্গে সামান্য জীবনবোধ ও শৈল্পিক চেতনার সংযোজন হওয়াটা এখন সময়ের দাবি।