উচ্চতর বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভের জন্য নামী স্বদেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। অর্থকর্মে উন্নতি ... বিশদ
এদিন রায়গঞ্জ মেডিক্যালের মর্গে দম্পতি কুতুবুদ্দিন আলি, পারভিন ও তাঁদের কন্যাসন্তানের ময়নাতদন্ত হয়। পারভিনের কাকা নিজামুদ্দিন ও ভাই সামার আলিদের অভিযোগ, তিনজনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। চার বছর বিয়ে হলেও দাম্পত্য কলহ ছিল না। তাই আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে না। পারভিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। কুতুবুদ্দিনের নামে বেশকিছু সম্পত্তি ছিল। সেসব আত্মসাৎ করতে তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় প্রায় অশান্তি করতেন। সম্পত্তির জন্য বোনকেও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। এর আগে ওরা বিভিন্ন সময় সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা করেছে। পারভিন আগে বেশ কয়েকবার সেকথা বলেছিল তাঁদের। কিন্তু জমিজমার জন্য মেয়ে, জামাই ও তাঁদের সন্তানকে এভাবে খুন করা হবে ভাবতে পারেননি।
সামার বলেন, খবর পেয়ে রবিবার সন্ধ্যায় কেশবপুর গ্রামে ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন কুতুবুদ্দিনের পরিবারের এক সদস্য আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। কীভাবে মৃত্যু হল জানতে চাইলে তিনি লাঠি নিয়ে তেড়ে এসেছিলেন। উল্টে প্রশ্ন করেন, কেন ঘটনাস্থলে এসেছি? কারও চক্রান্তেই তিনজনের এই পরিণতি হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করুক হেমতাবাদ থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত দম্পতির মোবাইল ফোনের সন্ধান চলছে। যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে অন্য কারও জড়িত থাকার যোগসূত্র মেলেনি। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সানা আখতার বলেন, মৃত বধূর পরিবারের খুনের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিস একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছয়নি পুলিস। তদন্তকারীরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন। হেমতাবাদ থানার সামনে বিক্ষোভ। - নিজস্ব চিত্র।