Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু আদতে তা নয়, এই দুই বিচারপতির মধ্যে পদবদলের এই আপাতসাধারণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে একটি আশ্চর্য ইতিহাস, যা ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এক মাইলফলক বলা হলেও অতিশয়োক্তি হবে না। ঠিক যেন সিনেমার চিত্রনাট্য, আর সেই কারণেই বলা হয় লাইফ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন!
একে বলা যেতে পারে ইতিহাসের একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হওয়া, যাকে ইংরেজি পরিভাষায় পোয়েটিক জাস্টিসও বলা যায়। ঘটনার শুরু ১৯৭৬ সালে। আর আশ্চর্য পরিসমাপ্তি ২০২৪ সালে। ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। তারই জেরে রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তারি পর্ব চলছিল দেশজুড়ে। মিসা আইনে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দি বিনাবিচারে জেলে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। জামিন মিলবে না। দেখানো হয় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ। বিতর্ক, বিরোধিতা, প্রতিবাদ চলছিল এবং বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। ঠিক সেখান থেকেই শুরু হল ভারতের বিচারবিভাগের একটি বিস্ময়কর অধ্যায়। তখন জানা যায়নি  অবশ্য একটি আশ্চর্য ঘটনা পরম্পরা ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলবে। কী ঘটেছিল?
সবথেকে বড় যে প্রশ্ন উঠেছিল যে, স্বাধীনতার অধিকার কি সরকার কেড়ে নিতে পারে? মৌলিক অধিকার কি কোনও পরিস্থিতিতেই রাষ্ট্র হরণ করতে পারে? সংবিধানের ২১ নং ধারায় বলা হয়েছে জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার। একই সঙ্গে আবার সংবিধানের জরুরি অবস্থা জারির পরদিনই সংবিধানের ৩৫৯ (১) ধারা জারি করে আরও কিছু অধিকার স্থগিত রাখা হয়েছিল। যেমন ৩২ নং ধারায় বলা হয়েছে নাগরিক ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারে। সাম্যের অধিকার বলা রয়েছে সংবিধানের ১৪ নং ধারায়। সেটিও হরণ করা হল। অর্থাৎ ৩৫৯ (১) ধারা জারি করে এই মৌলিক অধিকারগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। 
স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন বিরোধী নেতাকর্মীরা নিজেদের রাজ্যের হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। বলেছিলেন, সংবিধানের এই ধারাগুলি কখনওই ছিনিয়ে নেওয়া যায় না। এবং মিসা আইনের গ্রেপ্তারির পক্ষে রাষ্ট্র যথাযথ কারণ প্রমাণ করতে না পারলে, সেটি অবৈধ হয়ে যায়। ভারত সরকারকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে সেই সময় একের পর এক হাইকোর্টে এই জেলবন্দি নেতাকর্মীদের পক্ষেই রায় দেওয়া হচ্ছিল। কোনও হাইকোর্ট বলেছে মিসার প্রয়োগ সঠিক নয়। কেউ বলেছে, রাষ্ট্রকে স্পষ্ট করতে হবে এই ধারা জারি করা নিয়ে। 
কিছুটা ব্যাকফুটে গিয়ে ভারত সরকার হাইকোর্টগুলির ওই রায় অথবা অভিমতের বিরুদ্ধে আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। এটাই হল বিখ্যাত এডিএম জব্বলপুর বনাম শিবকান্ত শুক্লা কেস, ১৯৭৬। সেই মামলায় সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টকে বলা হয়, জরুরি অবস্থার অর্থই হল রাষ্ট্রের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। সুতরাং সংবিধানেই রয়েছে রাষ্ট্রের সুরক্ষার জন্য রাষ্ট্র যেকোনও মৌলিক অধিকারকেই স্থগিত রাখতে পারে। সেটাও সার্বিকভাবে নাগরিকদের কল্যাণের লক্ষ্যেই। নচেৎ বৃহৎ এক নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রের অস্তিত্বই বিপন্ন হবে। 
সুপ্রিম কোর্টের উপর ছিল প্রবল চাপ, যাতে সরকারের পক্ষেই যায় তাদের রায়। অর্থাৎ তাবৎ হাইকোর্টের আপত্তি অথবা সংশয় উড়িয়ে দিয়ে যথাযথভাবে জরুরি অবস্থা এবং তার প্রয়োগের পক্ষেই যায় সর্বোচ্চ আদালতের অভিমতও। অন্যম প্রধান বিচার্য ছিল—সংবিধানের ২২৬ ধারা অনুযায়ী রিট পিটিশন অথবা হেবিয়াস কর্পাসের আবেদন করতে নাগরিক পারে, না কি পারে না। 
ঠিক তাই হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন বিচারপতির বেঞ্চ রায় দিয়েছিল সরকারের পক্ষে। তবে চারজন। একজন ওই রায়ের পক্ষে ছিলেন না। তিনি আপত্তির কথা জানিয়ে ভিন্ন অভিমত প্রকাশ করেছিলেন। যাকে আইনি ভাষায় বলা হয়, ‘ডিসেন্ট নোট’। কারা ছিলেন সেই পাঁচ বিচারপতি। ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এ এন রায়, বিচারপতি এম হামিদুল্লাহ, বিচারপতি পি এন ভগবতী, বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হংসরাজ খান্না। 
এই পাঁচজন বিচারপতিকে নিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে হওয়া সেই মামলায় একমাত্র যিনি ভারত সরকারের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং সেই কারণে সর্বসম্মতিক্রমে ওই রায় হতে পারেনি, হয়েছিল পক্ষে ৪ এবং বিপক্ষে ১ রায়, তিনি হলেন বিচারপতি হংসরাজ খান্না। 
আর তার পরিণতি কী হয়েছিল? তাঁরই হওয়ার কথা ছিল সবথেকে সিনিয়র হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি। কিন্তু তিনি ভারত সরকারের রোষানলে পড়েন এবং তাঁর পরিবর্তে প্রধান বিচারপতি করা হয় এম এইচ বেগকে। হংসরাজ খান্না নিজের বোনকে আগেই চিঠি লিখেছিলেন যে, আমি এমন একটি রায় তৈরি করছি যে, হয়তো আর আমাকে প্রধান বিচারপতির পদ দেওয়া হবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি নিজের সিদ্ধান্ত বদলাননি। অর্থাৎ পাঁচজনের মধ্যে তিনিই একমাত্র যিনি ভারত সরকারে পক্ষে সায় দেননি। মিসা এবং ৩৫৯ (১) নং ধারার প্রয়োগ দুটিকেই তিনি ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছিলেন। বাকি চারজন বিচারপতি রায় দিয়ে বলেছিলেন, ১৯৭১ সালের মিসা আইন যথাযথ এবং জরুরি অবস্থার সময় সরকার মনে করলে নাগরিকের অধিকার স্থগিত রাখতেই পারে। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের সংখ্যাগুরু অংশ ১৯৭৬ সালের ওই মামলায় জরুরি অবস্থার সময় নেওয়া সরকারি সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করে রায়  দিয়েছিল। এম এইচ বেগকে প্রধান বিচারপতি করায় হংসরাজ খান্না ইস্তফা দিয়েছিলেন জুডিশিয়ারি থেকে, যা অত্যন্ত স্বাভাবিক। 
১৯৭৭ সালের নির্বাচনে  ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেস পরাস্ত হয়েছিল। সরকারে আসে তাঁর বিরোধী পক্ষ—অনেক দলের জোট জনতা পার্টি। তারা এসেই জরুরি অবস্থার তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল এটা সর্বজনবিদিত। স্বাভাবিক প্রত্যাশায় জনতা পার্টি বেছে বেছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হংসরাজ খান্নাকে দায়িত্ব দিতে চাইল তদন্ত কমিশনের, যা আদতে যাবে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধেই। কিন্তু স্রেফ প্রতিশোধ এবং প্রতিহিংসাবশত তিনি তদন্ত করে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে পারেন, এই অভিযোগ উঠবে ভেবে হংসরাজ খান্না ওই দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি তো পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করতে পারি। মানুষও সেটাই ভাববে। হংসরাজ খান্নাকে অনেক বলেকয়ে শুধুমাত্র আইন কমিশনের প্রধান করতে রাজি করানো গিয়েছিল, যেহেতু ওই পদের সঙ্গে পূর্ববর্তী  সরকারের বিরুদ্ধাচারণের কোনও সম্পর্ক নেই। আইন সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়েই সীমাবদ্ধ থাকবে কমিশন। তাই তিনি রাজি হন। 
১৯৭৬ সালের পর কেটে গিয়েছে ৪১ বছর। ২০১৭ সাল। সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা এল। ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার তথা গোপনীয়তার অধিকার সংক্রান্ত। এই মামলা পাঁচজন বিচারপতির বেঞ্চে এসেছে। তাঁদেরই একজন বিচারপতির নাম ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি এই মামলার রায় লেখেন। আর এই মামলার রায় দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালে স্বাধীনতা, প্রাইভেসি এবং সাম্যের অধিকার সংক্রান্ত যে রায় দেওয়া হয়েছিল সেটা ছিল অনেকাংশেই বিরাট বড় ভুল। কারণ এই প্রতিটি অধিকার সংবিধান দিয়েছে এবং কোনও অবস্থায় এই অধিকারকে খর্ব করা যাবে না, রাষ্ট্র ইচ্ছা করলেও পারবে না। এসব হল জন্মগত অধিকার এবং মানবজীবনের অবিচ্ছিন্ন অংশ। সুতরাং ৪১ বছর পুরনো সেই ভুলের সংশোধন করার সময় এসেছে। 
১৯৭৬ সালে যে রায় দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে কে ছিলেন অন্যতম বিচারপতি যিনি স্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করার পক্ষেই রায় দিয়েছিলেন? বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়। আর ৪১ বছর পর ২০১৭ সালে কে সেই রায়কে ‘ভুল’ আখ্যা দিলেন? ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়—ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ের পুত্র! অর্থাৎ চন্দ্রচূড় নিজের পিতার দেওয়া রায় ও অবস্থানকে ভুল আখ্যা দিয়ে সংবিধানকেই সর্বোচ্চ বলে অভিহিত করলেন ২০১৭ সালে। ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় পরবর্তী সময়ে হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এখনও তিনিই ওই পদে। কিন্তু এখানেই সমাপ্ত হচ্ছে না অধ্যায়। 
১৯৭৬ সালের সেই বেঞ্চে একমাত্র কে আপত্তি করেছিলেন জরুরি অবস্থার? বিচারপতি হংসরাজ খান্না। তিনি অধিকারী হলেও তাঁকেও প্রধান বিচারপতি করা হয়নি। বঞ্চনা করা হয়েছিল। ৪৮ বছর পর, আগামী ১১ নভেম্বর কে হতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি? বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। কে তিনি? বিচারপতি হংসরাজ খান্নার ভাইপো! কার হাত থেকে তিনি পদাধিকার গ্রহণ করতে চলেছেন? ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ইতিহাস কখনও শেষ হয় না। ইতিহাস একটি অবিরত চলন প্রক্রিয়া। হংসরাজ খান্না যা হতে পারেননি, তাঁর প্রিয়তম ভাইপো সেই পদে বসতে চলেছেন। এটাই পোয়েটিক জাস্টিস! ১৯৭৬ সালে যে দু’জনের পিতা ও কাকা ছিলেন একটি যুগান্তকারী মামলার রায় প্রদানে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে, সেই তাঁরাই আগামী ১১ নভেম্বর করমর্দন করবেন ভারতীয় গতেন্ত্রের একটি চমকপ্রদ অধ্যায়ের শেষ পরিচ্ছদের সঙ্গে। 
এই ঘটনাগুলি নতুন নয়—সর্বজনবিদিত হয়তো, হয়তো-বা নয়। কিন্তু সর্ববৃহৎ বার্তাটি হল—বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের অবিরত অস্থিরতা দিয়ে ঘেরা দেশ এই ভারতের সবথেকে বড় শক্তি হল তার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ইতিহাস। অর্থাৎ গণতন্ত্রের সবথেকে বড় তিনটি স্তম্ভ—আইনসভা, বিচারবিভাগ এবং সরকারের কাঠামো ভারতের আত্মায় এমন শক্তিশালীভাবে প্রোথিত যে, ৭৭ বছর ধরে বহু রোদ জল ঝড় তাকে ধ্বংস করতে পারেনি। যে বা যারা সেই চেষ্টা করেছে, তারা ব্যর্থ হয়েছে এবং গণতন্ত্র তাদের শিক্ষাও দিয়েছে নির্মমভাবে! 
01st  November, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
যেখানে ধান্দা নেই সেখানে বিজেপিও নেই
তন্ময় মল্লিক

অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অভয়ার জাস্টিস পাওয়া নিয়ে দ্বিমত আগেও ছিল না, এখনও নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আপাতত কমিটি গঠন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হওয়ার লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ। বিশদ

02nd  November, 2024
শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
টালবাহানা! সেন্সাস কিন্তু ছেলেখেলা নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মাথা নাড়লেন জওহরলাল নেহরু। ‘কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের কাছে কোনও ডেটা নেই। যে ডেভেলপমেন্টই করতে যাই না কেন, সবটাই অন্ধকারে হাতড়ানো।’ তাহলে উপায় কী? সোভিয়েতের ধাঁচে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিশদ

29th  October, 2024
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মীমাংসা, বড়ই আবছা!
পি চিদম্বরম

মানব ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব কী হবে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মাও সে তুং-কে। শোনা যায়, কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে মাও বলেছিলেন, ‘এনিয়ে যা বলব তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।’ এটি আমার একটি প্রিয় উপাখ্যান।  
বিশদ

28th  October, 2024
সিপিএমের জাত গেল, পেটও ভরল না!
হিমাংশু সিংহ

তথাকথিত একটা নাগরিক আন্দোলন বাম দিকে ঘোরাতে না পারার ব্যর্থতা কুরে কুরে খাচ্ছে। তা নিয়েই ‘ফেসবুকের দল’ সিপিএমের অন্দরে এখন হতাশার ঝড়। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে নিয়ে বিশ্বজোড়া বাংলা বিরোধী কুৎসা, আর চক্রান্ত করেই ওরা ভেবেছিল খেলা বুঝি শেষ। বিশদ

27th  October, 2024
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। বিশদ

26th  October, 2024
‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। বিশদ

25th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

24th  October, 2024
একনজরে
জনসমক্ষে দেশে কড়া পোশাকবিধির প্রতিবাদ করলেন ইরানের আরও এক তরুণী। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হাঁটলেন শুধু অন্তর্বাস পরে। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। কিন্তু দু’দিন কেটে গেলেও ...

গত ২৯ অক্টোবর দেশজুড়ে রোজগার মেলার আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা সরকারি চাকরি পাচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যেকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়াই ছিল ওই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য। ...

সোমবার ভোর চারটের সময় বারাসতের একটি পুজো মণ্ডপ দেখতে গিয়ে পুলিসের হেনস্থার অভিযোগ তোলেন এক মহিলা। যদিও বারাসত থানার পুলিস হেনস্থা বা মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছে। ...

বালুরঘাটে ল’কলেজ পাড়ায় নেশার টাকা না পেয়ে খুনের অভিযোগে ধৃতকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিস। পাশাপাশি এক দুষ্কৃতীর বাড়ি থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভের জন্য নামী স্বদেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। অর্থকর্মে উন্নতি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৫৬: পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে মোগল সম্রাট আকবরের বাহিনীর হাতে হেমু পরাস্ত হন
১৭৯৫: বাংলা নাটকের প্রথম বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় ‘ক্যালকাটা গেজেট’ পত্রিকায়
১৮৭০: আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জন্ম
১৮৮৭: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২: বৃটিশ-ভারতীয় বিজ্ঞানী জে বি এস হ্যালডেনের জন্ম
১৮৯৩: রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ ও রথীন্দ্রনাথের স্ত্রী তথা লেখক, কবি, চিত্রশিল্পী ও নৃত্যবিশারদ প্রতিমা ঠাকুরের জন্ম
১৯০২: গহরজানের গান দিয়ে কলকাতায় এশিয়ার প্রথম রেকর্ডিং শুরু হয়
১৯০৫: অভিনেতা ধীরাজ ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯১৫: ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফিরোজ শাহ মেহতার মৃত্যু
১৯১৮: বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক বাণী রায়ের জন্ম
১৯৫৫: বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক করণ থাপারের জন্ম
১৯৭৪: অভিনেতা অহীন্দ্র চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৮: ক্রিকেটার বিরাট কোহলির জন্ম
২০০৬: ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে আল দুজাইল ট্রায়ালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়
২০১১: সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার মৃত্যু
২০১২: যাত্রাসম্রাট শান্তিগোপাল পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৪১ টাকা ১১১.১৯ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৮ টাকা ৯৩.৩৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ৪৬/১৫ রাত্রি ১২/১৭। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৯/৫৫ দিবা ৯/৪৫। সূর্যোদয় ৫/৪৭/৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/২৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩১ মধ্যে পুনঃ ৭/১৬ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১২ মধ্যে পুনঃ ৪/৫৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/১০ গতে ৮/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩০ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৯ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্থী রাত্রি ৯/৩৫। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৮/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৪৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/২৯ গতে ১১/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে ও ৯/১২ গতে ১১/৪১ মধ্যে ও ১/৩৮ গতে ৩/২৪ মধ্যে ও ৫/১০ গতে ৫/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/১১ গতে ৮/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩১ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: কাজকর্ম অপেক্ষাকৃত শুভ। বৃষ: যোগাযোগ রক্ষায় সাফল্যের যোগ। মিথুন: মানসিক অস্থিরতা বাড়াবে। কর্কট: ধর্মকর্মে মন। সিংহ: কর্মস্থলে পদোন্নতির ...বিশদ

10:36:38 AM

আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত, জানালেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু

10:40:36 PM

ছুরির আঘাতে মারাত্মক জখম সবজি বিক্রেতা
  এক সবজি বিক্রেতার উপর ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ...বিশদ

11:06:00 PM

পাঞ্জাবের সাঙরুর জেলায় মাঠেই জ্বালানো হল ফসল, ধোঁয়াচ্ছন্ন এলাকা

10:43:00 PM

গুজরাতে নির্মীয়মান রেল ব্রিজের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় ধ্বংসস্তুপের নীচে আটকে ৩ জন শ্রমিক, চলছে উদ্ধারকাজ

10:14:00 PM

আইপিএল ২০২৫-এর নিলামে অংশগ্রহণ করছেন ১৫৭৪ জন প্লেয়ার

09:56:00 PM