Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। একদলীয় সরকার বদলে গেল জোটে। নিঃসন্দেহে ১৪২ কোটি মানুষের দেশ ভারত এখন হরেক কিসিমের ভোগ্যপণ্য বিক্রির সেরা ঠিকানা। তাই দিল্লিতে ক্ষমতায় কে, তাঁর বৈদেশিক নীতি কতটা উদার, তা দুনিয়ার কাছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ। মোদি ক্ষমতায় ফেরার ছ’মাস পর ১৮০ বছর আগের পাশ করা আইন মেনে নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ধনী ও ক্ষমতাশালী রাষ্ট্র আমেরিকার ভোট। অর্থাৎ, মাত্র ৪৮ ঘণ্টা দূরে। মানতেই হবে, আগামী দিনের জগৎ সংসার দুধেভাতে থাকবে নাকি পদে পদে রক্তাক্ত হবে, অস্ত্র প্রতিযোগিতার ঝনঝনানি থমকে যাওয়া অর্থনীতিকে আরও কতটা বিধ্বস্ত করবে, তার স্পষ্ট আভাস মিলবে আগামী বুধবারই। শুধু আমেরিকাবাসীর আগ্রহই নয়, ওই ভোটের ফলাফলের উপরই নির্ভর করছে বিশ্ব রাজনীতির পরবর্তী চার বছরের গতিপথ। ক্ষমতার ওঠাপড়া। রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইজরায়েল-ইরানের জোড়া যুদ্ধের ভবিষ্যৎ। তেলের দাম। মন্দা মোকাবিলা ও কর্মসংস্থান। নিঃসন্দেহে মার্কিন মুলুকে লড়াই এবার যতটা হাড্ডাহাড্ডি, তার চেয়েও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ বাইরের দুনিয়ার জন্য। সেইসঙ্গে আমেরিকার মতো উন্নত রাষ্ট্র প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট পাবে নাকি দু’শো বিতর্ক মাথায় নিয়ে ট্রাম্পই দ্বিতীয়বার অধিষ্ঠিত হবেন হোয়াইট হাউসে, সেই প্রশ্নেরও নিষ্পত্তির অপেক্ষা। তবে সব ছাপিয়ে মার্কিন মুলুকে মুখে মুখে ঘুরছে একটা কথাই, কান ঘেঁষে এবারও হারলে সহজে দান ছাড়বেন তো রিপাবলিকান নেতা? নাকি চার বছর আগের পুনরাবৃত্তি দেখব আমরা। এই ভোটকে ‘প্রহসন’ বলে আবারও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ রুখে আদালতের দরজায় তাল ঠুকবেন সোচ্চারে? কোথাও কোথাও শুরু হবে ফের গণনা। হারলেই নির্বাচনকে প্রহসন আখ্যা দেওয়া ট্রাম্পের পুরনো অভ্যাস। চাতুরি বলতে রাজি নই। ২০১২ সালের নির্বাচনে ওবামার জয়ের পরও প্রতিপক্ষ প্রার্থী না-হয়েও রিপাবলিক দলের নেতা হিসেবেই ওই নির্বাচনকে ‘আমেরিকার লজ্জা’ আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। এবারও সুইং স্টেটগুলি কিন্তু দোদুল্যমান। উনিশ-বিশ অবস্থা অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, নেভাডা, উইসকনসিন, মিশিগান, ফ্লোরিডা সহ বিভিন্ন প্রদেশে।  
লড়াই যে কতটা তীব্র তার ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। ভারতের অষ্টাদশ সাধারণ নির্বাচনে নথিভুক্ত ৯৬ কোটি ভোটারের মধ্যে ৬৪ কোটি অধিকার প্রয়োগ করেছিলেন ভোটযন্ত্রে। চাঞ্চল্যকরভাবে নিজ অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত ছিলেন ৩২ কোটি ভোটার। তাঁরা সবাই ভোট দিলে ফলাফল অন্যরকমও হতে পারত অনায়াসে। রং বদলে যেতে পারত সাউথ ব্লকের, নয়া সংসদের। বিপরীতে মার্কিন মুলুকে মোট ভোটার সংখ্যা কুড়ি কোটির আশপাশে। ইভিএম নয়, ভোট হচ্ছে ‘প্রাচীন’ কাগজের ব্যালটে। এখনও পর্যন্ত আগাম ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন সাড়ে চার কোটির মতো নাগরিক। শতাংশের হিসেবে প্রায় ২০ শতাংশের আশপাশে। এই অব্দি সব ঠিকই ছিল। ভাবছিলাম, অত বড় সম্পদশালী, সমীহ আদায় করা দেশ, আর্থিক সমৃদ্ধি ও স্বাধীনতা দু’টোই হাতে হাত ধরে চলে আসছে বহুদিন। মানুষ স্বাবলম্বী ও সচেতন। সেখানে ভয় দেখিয়ে, নানা প্রলোভনের ফাঁদে কে আবার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে বাধা দেবে। সব মিলিয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আদর্শ পরিবেশ। কিন্তু গোল বাধল যখন শুনলাম গণতন্ত্রের সেই সুউচ্চ মিনারেও (মন্দির বলতে রাজি নই কিছুতেই) বজ্রআঁটুনিকে ফাঁকি দিয়ে ব্যালট গায়েব হয়ে গিয়েছে! এখানেই শেষ নয়, কয়েকশো পোড়া ব্যালটও উদ্ধার হয়েছে এখানে ওখানে! উধাও ব্যালটের খোঁজে তল্লাশি পর্যন্ত চালাতে হয় পুলিসকে। সবাইকে অবাক করে সেই হারানো ব্যালট উদ্ধার হয় ইন্ডিয়ানা প্রদেশের রিপাবলিকান পার্টির নেতা ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ ল্যারি স্যাভেজের বাড়ির বাইরে রাখা গাড়ি থেকে। গোটা বাড়ি ঘিরে মার্কিন পুলিসের চিরুনি তল্লাশি মোটেই আমেরিকার নিষ্কলুষ গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তির পক্ষে ভালো বিজ্ঞাপন হতে পারে না।
এখানেই না থেমে শেষপর্বের প্রচারে মোদির স্টাইলে কট্টর হিন্দুত্বের কার্ডও খেলতে কসুর করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংখ্যালঘু হিন্দুদের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাঁর এই সওয়াল ভোটে কতটা প্রভাব ফেলে তার দিকেই নজর সবার। মার্কিন মুলুকে মেক্সিকানদের পরই দ্বিতীয় স্থানে ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। সংখ্যায় আধ কোটিরও বেশি। তাই ট্রাম্পের এমন হিন্দু প্রীতি? পৃথিবীজুড়ে হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছে দেখেও জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস কোনও ব্যবস্থা নেননি বলেই রিপাবলিক দলের অভিযোগ। ইউক্রেন-রাশিয়া ও গাজার সঙ্কটে আমেরিকার কর্তৃত্ব বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। দেশ দুর্বল হয়েছে। ক্ষমতায় ফিরলে ফের শক্তিশালী আমেরিকা তৈরি করবেন বলেই দাবি ট্রাম্পের। তাঁর অভিযোগ, হিন্দুদের উপর নারকীয় অত্যাচার নেমে এসেছে বাংলাদেশে।
তবে এটা নিশ্চিত, আমেরিকার ভবিষ্যৎ কাণ্ডারী কে হবেন, তার উপর নির্ভর করছে গাজা সঙ্কট কোনদিকে যাবে। বিশ্ব রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ট্রাম্প জিতলে ইজরায়েলের হাত আরও শক্ত হবে। কারণ নেতানিয়াহুর সঙ্গেও ট্রাম্পের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। সেই সুবাদেই ‌একটি বসতির নাম ‘ট্রাম্প হাইটস’ দিয়েছিল ইজরায়েল। আর বাইডেনের পূর্ণ সমর্থন যতটা ইউক্রেন পেয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে, তাও আগামী দিনে ধাক্কা খাবে। মার্কিন মুলুকে ফের ট্রাম্প সর্বেসর্বা হয়ে এলে রাশিয়ার সঙ্গে শীতল সম্পর্ক আবার কিছুটা গতি পাবে। এ তো গেল বিশ্ব রাজনীতির কথা। কিন্তু কোভিড-পরবর্তী যে মন্দা মার্কিন অর্থনীতিকে গ্রাস করেছে, তা থেকে কি মুক্তি দিতে পারবেন নয়া প্রেসিডেন্ট? সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষত। এই পটভূমিতে দাঁড়িয়েই আর একটা অর্থনৈতিক মন্দার হাতছানি যথেষ্ট ভাবাচ্ছে। মার্কিন মুলুকের নাগরিকদের স্বার্থে বেআইনিভাবে থেকে যাওয়া অনুপ্রবেশকারীদের বহিষ্কারও ট্রাম্পের ভোট জেতার বড় টোপ।  তবে প্রশ্ন তিনি কতটা কঠোর হতে পারবেন?
এই নির্বাচন ভারতের পক্ষে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? চার বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে টেক্সাসে গিয়ে অত্যন্ত দৃষ্টিকটুভাবে কূটনৈতিক পরম্পরা লঙ্ঘন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন তিনি সবে দ্বিতীয়বার ভোটে জিতে এসেছেন। দিল্লিতে একক দলের সরকার। টেক্সাসে ‘হাউডি মোদি’ কিংবা গুজরাতের চোখ ধাঁধানো স্টেডিয়ামে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ ঘিরে অনেক বিতর্ক হয়েছে। এবার তাঁর তৃতীয় টার্ম চলছে। বিজেপির একক দলের সরকার আর নেই, চলছে জোট সরকার—মূলত দু’টি আঞ্চলিক দলের সমর্থনে। তাই মোদিজিরও সমস্যা অনেক—দেশে এবং দেশের বাইরেও। উনিশে টেক্সাসের মাটিতে দাঁড়িয়ে রীতি ভেঙে যাঁকে তিনি আগাম প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন, তিনি চব্বিশে জয়ী হলে ভারত কি উপকৃত হবে? অস্বীকার করার উপায় নেই, এই মুহূর্তে রাশিয়ার চেয়েও আমেরিকার বড় বিপদ চীন। একই কথা প্রযোজ্য নয়াদিল্লির শাসকের জন্যও। চীন ও পাকিস্তানের গা ঘষাঘষি নয়াদিল্লিরও না পসন্দ। তাই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা কমলা হ্যারিসের তুলনায় মোদিজির পছন্দ কি এবারও ট্রাম্পের দিকেই সামান্য ঢলে? তবে ট্রাম্প এতটাই ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ যে তাঁর আচরণে কখনও কোথাও নিশ্চিতভাবে দাঁড়ি টানা যায় না। এবারের টানটান মার্কিন নির্বাচন নিয়েও এই একই কথা বড্ড বেশি করে প্রযোজ্য। কারণ দেশটার নাম আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের একটা সিদ্ধান্তই বিশ্বজুড়ে শান্তির বাতাবরণ তৈরি করতে পারে নিমেষে। তেমনই আবার হলাহলেও ভরে দিতে পারে গোটা দুনিয়াকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দল, তার নীতি সব ছাপিয়ে জয় হয় আধুনিকতার, উন্নয়নের এবং প্রযুক্তির। রাজনীতির তাস নিছকই ফিকে সেখানে। অনেকটা সেমিকোলনের মতো। উল্টোদিকে আমরা দেশটার প্রগতির তারিফ করি, কিন্তু সংকীর্ণ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে পারি না। ১৮৪৫ সালে পাশ হয়েছিল ‘আমেরিকান প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন ডে অ্যাক্ট’। সেখানেই বলা আছে চার বছর অন্তর নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার আমেরিকার ভোট। তারপর কত ক্ষমতাধর এসেছেন, আবার হারিয়ে গিয়েছেন সময়ের পরিবর্তনে। কেউ কিন্তু আইনটাকে বদলে দেননি। আমাদের দেশ হলে কোনও ক্ষমতাধর এতদিনে সংশোধন করে ওই দিনটিকে ডিসেম্বরের শেষ শুক্রবার নির্ধারিত করে দিত! ফারাকটা এইখানেই। কুর্সির দম্ভ কখনও দেশের স্বার্থের চেয়ে বড় হয় না। হতে পারে না।
03rd  November, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
যেখানে ধান্দা নেই সেখানে বিজেপিও নেই
তন্ময় মল্লিক

অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অভয়ার জাস্টিস পাওয়া নিয়ে দ্বিমত আগেও ছিল না, এখনও নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আপাতত কমিটি গঠন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হওয়ার লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ। বিশদ

02nd  November, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

01st  November, 2024
শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
টালবাহানা! সেন্সাস কিন্তু ছেলেখেলা নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মাথা নাড়লেন জওহরলাল নেহরু। ‘কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের কাছে কোনও ডেটা নেই। যে ডেভেলপমেন্টই করতে যাই না কেন, সবটাই অন্ধকারে হাতড়ানো।’ তাহলে উপায় কী? সোভিয়েতের ধাঁচে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিশদ

29th  October, 2024
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মীমাংসা, বড়ই আবছা!
পি চিদম্বরম

মানব ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব কী হবে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মাও সে তুং-কে। শোনা যায়, কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে মাও বলেছিলেন, ‘এনিয়ে যা বলব তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।’ এটি আমার একটি প্রিয় উপাখ্যান।  
বিশদ

28th  October, 2024
সিপিএমের জাত গেল, পেটও ভরল না!
হিমাংশু সিংহ

তথাকথিত একটা নাগরিক আন্দোলন বাম দিকে ঘোরাতে না পারার ব্যর্থতা কুরে কুরে খাচ্ছে। তা নিয়েই ‘ফেসবুকের দল’ সিপিএমের অন্দরে এখন হতাশার ঝড়। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে নিয়ে বিশ্বজোড়া বাংলা বিরোধী কুৎসা, আর চক্রান্ত করেই ওরা ভেবেছিল খেলা বুঝি শেষ। বিশদ

27th  October, 2024
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। বিশদ

26th  October, 2024
‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। বিশদ

25th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

24th  October, 2024
একনজরে
বালুরঘাটে ল’কলেজ পাড়ায় নেশার টাকা না পেয়ে খুনের অভিযোগে ধৃতকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিস। পাশাপাশি এক দুষ্কৃতীর বাড়ি থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা ...

সোমবার ভোর চারটের সময় বারাসতের একটি পুজো মণ্ডপ দেখতে গিয়ে পুলিসের হেনস্থার অভিযোগ তোলেন এক মহিলা। যদিও বারাসত থানার পুলিস হেনস্থা বা মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছে। ...

জনসমক্ষে দেশে কড়া পোশাকবিধির প্রতিবাদ করলেন ইরানের আরও এক তরুণী। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হাঁটলেন শুধু অন্তর্বাস পরে। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। কিন্তু দু’দিন কেটে গেলেও ...

শান্তিনিকেতনে পর্যটক ও নারী সুরক্ষায় আরও একধাপ ইতিবাচক পদক্ষেপ নিল শান্তিনিকেতন থানা। গ্রিন মোবাইল টিম নামের একটি বিশেষ মহিলা সুরক্ষা দল গঠন করল সংশ্লিষ্ট থানা। এর মাধ্যমে ওই মহিলা দল ব্যাটারি চালিত পরিবেশবান্ধব সাইকেলে চড়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি চালাবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভের জন্য নামী স্বদেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। অর্থকর্মে উন্নতি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৫৬: পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে মোগল সম্রাট আকবরের বাহিনীর হাতে হেমু পরাস্ত হন
১৭৯৫: বাংলা নাটকের প্রথম বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় ‘ক্যালকাটা গেজেট’ পত্রিকায়
১৮৭০: আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জন্ম
১৮৮৭: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২: বৃটিশ-ভারতীয় বিজ্ঞানী জে বি এস হ্যালডেনের জন্ম
১৮৯৩: রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ ও রথীন্দ্রনাথের স্ত্রী তথা লেখক, কবি, চিত্রশিল্পী ও নৃত্যবিশারদ প্রতিমা ঠাকুরের জন্ম
১৯০২: গহরজানের গান দিয়ে কলকাতায় এশিয়ার প্রথম রেকর্ডিং শুরু হয়
১৯০৫: অভিনেতা ধীরাজ ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯১৫: ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফিরোজ শাহ মেহতার মৃত্যু
১৯১৮: বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক বাণী রায়ের জন্ম
১৯৫৫: বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক করণ থাপারের জন্ম
১৯৭৪: অভিনেতা অহীন্দ্র চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৮: ক্রিকেটার বিরাট কোহলির জন্ম
২০০৬: ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে আল দুজাইল ট্রায়ালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়
২০১১: সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার মৃত্যু
২০১২: যাত্রাসম্রাট শান্তিগোপাল পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৪১ টাকা ১১১.১৯ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৮ টাকা ৯৩.৩৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ৪৬/১৫ রাত্রি ১২/১৭। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৯/৫৫ দিবা ৯/৪৫। সূর্যোদয় ৫/৪৭/৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/২৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩১ মধ্যে পুনঃ ৭/১৬ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১২ মধ্যে পুনঃ ৪/৫৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/১০ গতে ৮/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩০ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৯ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্থী রাত্রি ৯/৩৫। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৮/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৪৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/২৯ গতে ১১/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে ও ৯/১২ গতে ১১/৪১ মধ্যে ও ১/৩৮ গতে ৩/২৪ মধ্যে ও ৫/১০ গতে ৫/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/১১ গতে ৮/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩১ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: কাজকর্ম অপেক্ষাকৃত শুভ। বৃষ: যোগাযোগ রক্ষায় সাফল্যের যোগ। মিথুন: মানসিক অস্থিরতা বাড়াবে। কর্কট: ধর্মকর্মে মন। সিংহ: কর্মস্থলে পদোন্নতির ...বিশদ

10:36:38 AM

আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত, জানালেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু

10:40:36 PM

ছুরির আঘাতে মারাত্মক জখম সবজি বিক্রেতা
  এক সবজি বিক্রেতার উপর ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ...বিশদ

11:06:00 PM

পাঞ্জাবের সাঙরুর জেলায় মাঠেই জ্বালানো হল ফসল, ধোঁয়াচ্ছন্ন এলাকা

10:43:00 PM

গুজরাতে নির্মীয়মান রেল ব্রিজের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় ধ্বংসস্তুপের নীচে আটকে ৩ জন শ্রমিক, চলছে উদ্ধারকাজ

10:14:00 PM

আইপিএল ২০২৫-এর নিলামে অংশগ্রহণ করছেন ১৫৭৪ জন প্লেয়ার

09:56:00 PM