Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। তবে, সিপিএমের সেই নীতিহীন, সুবিধাবাদী জোটকে রাজ্যবাসীই প্রত্যাখ্যান করে শূন্যে নামিয়ে দিয়েছিল। এবার সিপিআই(এমএল)-এর হাত ধরেছে। তাতেই স্পষ্ট হল, গদিতে বসার ছটফটানি বিন্দুমাত্র কমেনি, উল্টে আরও তীব্র হয়েছে। 
অভয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলায় তৈরি হয়েছিল গণআন্দোলন। তা থেকে বিজেপি যাতে ফায়দা তুলতে না পারে, তারজন্য গোড়া থেকেই সতর্ক ছিল চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা গেরুয়া শিবিরকে ধারেকাছে ঘেঁষতে দেননি। কিন্তু বামেদের প্রতি তাঁদের দুর্বলতাও চাপা থাকেনি। আর জি কর কাণ্ডে সিপিএম বুঝিয়ে দিয়েছে, ভিত্তিহীন বিষয়কে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলায় বিজেপির চেয়েও তারা অনেক এগিয়ে। 
২০২১ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর যে হতাশা বাম শিবিরকে গ্রাস করেছিল আর জি কর কাণ্ড সিপিএমকে তা থেকে কিছুটা বের করে এনেছে। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে প্রশাসনকে ধাক্কা দেওয়ার ক্ষমতা বঙ্গ বিজেপির চেয়ে সিপিএমের যে বেশি, সেটাও প্রমাণ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন হতে চলেছে। 
ফলে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি হল কি না, তা যাচাইয়ের একটা সুযোগ বামেদের সামনে এসেছিল। কিন্তু সিপিএম চ্যালেঞ্জটা নিল না। উল্টে সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করে ফেলল। 
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ভোট কমে ২৩ শতাংশ, আর বামেদের বেড়ে ১৩.২ শতাংশ হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমান জেলায় আবার বামেরা ছিল বিজেপির থেকে অনেকটা এগিয়ে। ভোট বৃদ্ধিতে খুশি সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ শমীক লাহিড়ী দলীয় মুখপত্রে লিখেছিলেন, ‘দম ধরে রাখতে হবে, খেলা ঘুরছে।’ খেলা ঘোরানোর একটাই ফর্মুলা, রামে যাওয়া ভোট বামে ফেরানো। তারজন্য দরকার ছিল বিজেপি বিরোধী আক্রমণ তীব্র করা। কিন্তু সিপিএম সে রাস্তায় না হেঁটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগাতার আক্রমণ করে বিজেপিরই সুবিধে করে দিয়েছে।
বঙ্গ বিজেপি বুঝেছে, সিপিএমের ভোট আরও টানতে না পারলে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়া অসম্ভব। আর রামের ভোট বামে ফিরলে তো সর্বনাশ। তাই আর জি কর ইস্যুতে বামেদের মিছিলে ভিড় বাড়তেই সিপিএমকে আক্রমণ তীব্র করেছে বিজেপি। সিপিএমের হিন্দু ভোটকেই তারা টার্গেট করেছে। 
২০১১ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বামফ্রন্টকে উৎখাত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কংগ্রেসের সঙ্গেই ২০১৬ সালে জোট করেছিল সিপিএম। সেটা বামপন্থায় বিশ্বাসী শিক্ষিত লোকজন মানতে পারেননি। পরবর্তীতে কংগ্রেস এবং সিপিএম যৌথভাবে কর্মসূচি নেওয়ায় জোটের ভিত মজবুত হতে থাকে। উভয় দলের কর্মীদের মধ্যে বোঝাপড়াও তৈরি হয়। ঠিক তখনই ফাটল ধরল বাম-কংগ্রেস জোটে। উপ নির্বাচনে কংগ্রেসকে ছেড়ে নকশালদের হাত ধরল সিপিএম। তাতে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে জন্ম হল এক নতুন সমীকরণের।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শুভঙ্কর সরকারকে প্রদেশ সভাপতি করাতেই কি সিপিএম বুঝে গিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসকে তারা আর পাশে পাবে না! তাই কি তারা ‘ঠেকনা’ পাওয়ার আশায় নৈহাটির আসনটি নকশালদের ছেড়ে দিল? নাকি এর পিছনে আছে অন্য অঙ্ক?
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই সিপিএম নানাভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছে। তারজন্য নীতি বিসর্জন দিয়ে কখনও কংগ্রেসের, কখনও আইএসএফের হাত ধরতে কুণ্ঠা করেনি। তবে, তাতে কোনও লাভ হয়নি। কিন্তু আর জি কর ইস্যুতে এই প্রথম তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছুটা হলেও বেগ দিতে সক্ষম হল। আর সেটা হয়েছে অতিবামেরা তাদের পাশে থাকায়। অতিবামেরা পাশে ছিল বলেই উৎসবের মধ্যেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ও ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ করার আগুনে ফুঁ দেওয়ার বল পেয়েছে। 
ইতিহাস বলছে, সিপিএম যখনই কোণঠাসা হয়েছে, তখনই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য যাকে প্রয়োজন মনে করেছে, তার সঙ্গেই হাত মিলিয়েছে। নীতিনৈতিকতার ধার ধারেনি। ১৯৯৮ সালে ‘গণরোষে’র জেরে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকার দাপুটে সিপিএম নেতারা গ্রামছাড়া হয়েছিলেন। পুলিস অনেক চেষ্টা করেও গ্রামের দখল ফিরিয়ে দিতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ২০০০ সালে মাওবাদী ও পুলিসের যৌথ প্রচেষ্টায় গ্রামের দখল নিয়েছিল সিপিএম। শর্ত ছিল, গড়বেতার সন্ধিপুর অঞ্চলে নকশালদের সংগঠন করতে দেবে সিপিএম। যদিও সেই শর্ত পরে সিপিএম মানেনি। তারজন্য উভয়ের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। পরবর্তীতে জঙ্গলমহল অশান্ত হওয়ার কারণ নাকি সেটাই বলে অনেকে মনে করেন।
এই উপ নির্বাচনের ফলের উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে না। তবে, এই উপ নির্বাচন ছাব্বিশে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের জল্পনা উস্কে দিয়েছে। অনেকেই মনে করছে, সিপিএমের হাত ছেড়ে দেওয়ায় ছাব্বিশে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে আর বাধা রইল না। তবে, এরপরেও 
সিপিএম ফের কংগ্রেসের হাত ধরে ছাব্বিশে শূন্যের গেরো কাটাতে চাইলে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতার অবশিষ্টটুকুও থাকবে না।
তৃণমূল এ রাজ্যের ক্ষমতায় টানা প্রায় ১৩ বছর রয়েছে। কেন্দ্রের ক্ষমতায় বিজেপি রয়েছে প্রায় সাড়ে দশ বছর। ক্ষমতায় থাকলে নানা কারণে শাসক দলের বিরুদ্ধেই অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর কাজ করে। এ রাজ্যে বহু মানুষেরই উভয় দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ রয়েছে। তাঁরা শাসক হিসেবে কোনও দলকেই হয়তো চান না। কিন্তু তাঁদের সামনে বিকল্প নেই। তাঁরা মনে করেন, বামেদের ভোট দেওয়ার অর্থ ভোট নষ্ট করা। তাই বিজেপির উপর যাঁরা বিরক্ত তাঁরা বাধ্য হয়ে তৃণমূলকে ভোট দেন। আবার তৃণমূলের উপর ক্ষুব্ধরা বিজেপিকে ভোট দিতে বাধ্য হন। এই পরিস্থিতিতে সিপিআই(এমএল) কি আস্থার জায়গাটা তৈরি করতে পারবে? পারলে বাংলার রাজনীতির চাকা হয়তো অন্যভাবে ঘুরবে।
সিপিএমের মতো সিপিআই(এমএল)-এর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারে ছুঁতমার্গ নেই। সিপিআই(এমএল)-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য নানা ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন। জাতীয় রাজনীতিতে সিপিএম সবসময় তৃণমূলকে বাইরে রাখার পক্ষে। কিন্তু দীপঙ্করবাবু বারবার বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে আক্রমণের অভিমুখ ঘোরানো হোক ‘বড় বিপদ’ বিজেপির দিকে। কিন্তু সিপিএম সব সময় তাঁর এই লাইনের বিরোধিতা করেছে। 
সীতারাম ইয়েচুরি বলেছিলেন, ‘কেউ যদি বলেন, বিজেপিকে পরাস্ত করতে গেলে তৃণমূল সহ সকলকে নিয়ে চলতে হবে, সেটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’ এ হেন সিপিএম উপ নির্বাচনে আসন সমঝোতা করল সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা তো দূরের কথা, সোজা হয়ে দাঁড়াতে গেলেও তাদের ‘ঠেকনা’ লাগে। কংগ্রেস সরে যাওয়ায় সিপিআই(এমএল)কে ‘ঠেকনা’ বানাতে চাইছে সিপিএম।
তবে, নকশাল শব্দটি বাংলার আম জনতা খুব একটা পছন্দ করে না। কারণ এখনও অনেকে মনে করেন, নকশাল মানেই খুনোখুনি। বিশৃঙ্খলা, হটকারিতা... আরও অনেক কিছু। তবে, তা সবটাই শোনা ও বইয়ে পড়া। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এই প্রজন্মের নেই। ফলে নাক সিঁটকানো থাকলেও সক্রিয় বিরোধিতার জায়গাটা তৈরি হয়নি। উল্টে অতিবামের প্রতি যুবসমাজের একটা আলাদা আকর্ষণ আছে। তার উপর রাজ্যপাট না চালানোয় ক্ষমতায় থাকার ‘কাদা’ তাদের গায়ে নেই। সেটা জনসমর্থন পাওয়ার ক্ষেত্রে সিপিআই(এমএল)-এর একটা বাড়তি সুবিধা।
সিপিএম নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণেই বাংলায় বিজেপি আজ প্রধান বিরোধী দল। তা সত্ত্বেও রাজ্যের বহু শিক্ষিত ও গরিব মানুষ বামপন্থায় বিশ্বাসী। কিন্তু তাঁরা দিশেহারা। নেতৃত্ব প্রদানে যোগ্যতার প্রমাণ দিলে তাঁদের সমর্থন যাবে সেদিকেই। তাতে বদলাতে পারে পরিস্থিতি। ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে সিপিআই(এমএল)। বাংলাতেও কি তারা সেই লক্ষ্যেই এগতে চাইছে? উদ্দেশ্য সেটা হলে বলতেই হবে, মমতা ব঩ন্দ্যোপাধ্যায়কে টাইট দিতে গিয়ে সিপিএম নিজেদের সর্বনাশের রাস্তাটা নিজেরাই তৈরি করে দিল।
26th  October, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
যেখানে ধান্দা নেই সেখানে বিজেপিও নেই
তন্ময় মল্লিক

অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অভয়ার জাস্টিস পাওয়া নিয়ে দ্বিমত আগেও ছিল না, এখনও নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আপাতত কমিটি গঠন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হওয়ার লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ। বিশদ

02nd  November, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

01st  November, 2024
শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
টালবাহানা! সেন্সাস কিন্তু ছেলেখেলা নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মাথা নাড়লেন জওহরলাল নেহরু। ‘কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের কাছে কোনও ডেটা নেই। যে ডেভেলপমেন্টই করতে যাই না কেন, সবটাই অন্ধকারে হাতড়ানো।’ তাহলে উপায় কী? সোভিয়েতের ধাঁচে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিশদ

29th  October, 2024
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মীমাংসা, বড়ই আবছা!
পি চিদম্বরম

মানব ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব কী হবে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মাও সে তুং-কে। শোনা যায়, কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে মাও বলেছিলেন, ‘এনিয়ে যা বলব তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।’ এটি আমার একটি প্রিয় উপাখ্যান।  
বিশদ

28th  October, 2024
সিপিএমের জাত গেল, পেটও ভরল না!
হিমাংশু সিংহ

তথাকথিত একটা নাগরিক আন্দোলন বাম দিকে ঘোরাতে না পারার ব্যর্থতা কুরে কুরে খাচ্ছে। তা নিয়েই ‘ফেসবুকের দল’ সিপিএমের অন্দরে এখন হতাশার ঝড়। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে নিয়ে বিশ্বজোড়া বাংলা বিরোধী কুৎসা, আর চক্রান্ত করেই ওরা ভেবেছিল খেলা বুঝি শেষ। বিশদ

27th  October, 2024
‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। বিশদ

25th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

24th  October, 2024
একনজরে
সোমবার ভোর চারটের সময় বারাসতের একটি পুজো মণ্ডপ দেখতে গিয়ে পুলিসের হেনস্থার অভিযোগ তোলেন এক মহিলা। যদিও বারাসত থানার পুলিস হেনস্থা বা মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছে। ...

জনসমক্ষে দেশে কড়া পোশাকবিধির প্রতিবাদ করলেন ইরানের আরও এক তরুণী। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হাঁটলেন শুধু অন্তর্বাস পরে। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। কিন্তু দু’দিন কেটে গেলেও ...

বালুরঘাটে ল’কলেজ পাড়ায় নেশার টাকা না পেয়ে খুনের অভিযোগে ধৃতকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিস। পাশাপাশি এক দুষ্কৃতীর বাড়ি থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা ...

অনুশীলন শুরুর কথা বিকেল চারটেয়। তবে ইস্ট বেঙ্গল মাঠে অস্কার ব্রুজোঁর ছেলেরা যখন ঢুকলেন ঘড়িতে তখন পাঁচটা। প্রায় এক ঘণ্টা ড্রেসিং-রুমে ফুটবলারদের সঙ্গে মিটিং সেরেছেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভের জন্য নামী স্বদেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। অর্থকর্মে উন্নতি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৫৬: পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে মোগল সম্রাট আকবরের বাহিনীর হাতে হেমু পরাস্ত হন
১৭৯৫: বাংলা নাটকের প্রথম বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় ‘ক্যালকাটা গেজেট’ পত্রিকায়
১৮৭০: আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জন্ম
১৮৮৭: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২: বৃটিশ-ভারতীয় বিজ্ঞানী জে বি এস হ্যালডেনের জন্ম
১৮৯৩: রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ ও রথীন্দ্রনাথের স্ত্রী তথা লেখক, কবি, চিত্রশিল্পী ও নৃত্যবিশারদ প্রতিমা ঠাকুরের জন্ম
১৯০২: গহরজানের গান দিয়ে কলকাতায় এশিয়ার প্রথম রেকর্ডিং শুরু হয়
১৯০৫: অভিনেতা ধীরাজ ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯১৫: ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফিরোজ শাহ মেহতার মৃত্যু
১৯১৮: বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক বাণী রায়ের জন্ম
১৯৫৫: বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক করণ থাপারের জন্ম
১৯৭৪: অভিনেতা অহীন্দ্র চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৮: ক্রিকেটার বিরাট কোহলির জন্ম
২০০৬: ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে আল দুজাইল ট্রায়ালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়
২০১১: সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার মৃত্যু
২০১২: যাত্রাসম্রাট শান্তিগোপাল পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৪১ টাকা ১১১.১৯ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৮ টাকা ৯৩.৩৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ৪৬/১৫ রাত্রি ১২/১৭। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৯/৫৫ দিবা ৯/৪৫। সূর্যোদয় ৫/৪৭/৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/২৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩১ মধ্যে পুনঃ ৭/১৬ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১২ মধ্যে পুনঃ ৪/৫৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/১০ গতে ৮/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩০ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৯ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্থী রাত্রি ৯/৩৫। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৮/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৪৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/২৯ গতে ১১/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে ও ৯/১২ গতে ১১/৪১ মধ্যে ও ১/৩৮ গতে ৩/২৪ মধ্যে ও ৫/১০ গতে ৫/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/১১ গতে ৮/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩১ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: কাজকর্ম অপেক্ষাকৃত শুভ। বৃষ: যোগাযোগ রক্ষায় সাফল্যের যোগ। মিথুন: মানসিক অস্থিরতা বাড়াবে। কর্কট: ধর্মকর্মে মন। সিংহ: কর্মস্থলে পদোন্নতির ...বিশদ

10:36:38 AM

আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত, জানালেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু

10:40:36 PM

ছুরির আঘাতে মারাত্মক জখম সবজি বিক্রেতা
  এক সবজি বিক্রেতার উপর ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ...বিশদ

11:06:00 PM

পাঞ্জাবের সাঙরুর জেলায় মাঠেই জ্বালানো হল ফসল, ধোঁয়াচ্ছন্ন এলাকা

10:43:00 PM

গুজরাতে নির্মীয়মান রেল ব্রিজের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় ধ্বংসস্তুপের নীচে আটকে ৩ জন শ্রমিক, চলছে উদ্ধারকাজ

10:14:00 PM

আইপিএল ২০২৫-এর নিলামে অংশগ্রহণ করছেন ১৫৭৪ জন প্লেয়ার

09:56:00 PM