উচ্চতর বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভের জন্য নামী স্বদেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। অর্থকর্মে উন্নতি ... বিশদ
তৃণমূলের পঞ্চায়েতের সদস্যা চাঁদমিরা বিবি বলেন, যাত্রাপুর, দাসপাড়া ও কালীগাঙ্গি গ্রামের বহু মানুষ একসময় টিউবওয়েলের জল খেয়ে আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে অনেকে মারা গিয়েছেন, অনেকে অসুস্থ রয়েছেন। সেখানকার সমস্যার কথা পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে বারবার জানানো হয়েছে। পিএইচই একটি জলাধার তৈরি করছে। সেই কাজ শেষ হলে এ সমস্যা মিটবে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রামে পরিস্রুত জল সরবরাহের উদ্দেশ্যে প্রায় ১২বছর আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর(পিএইচই) ট্যাপকল বসিয়েছিল। এছাড়া, প্রশাসনের উদ্যোগে গত পাঁচ বছরে দু’টি সজলধারা প্রকল্প তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন ওই সমস্ত ট্যাপকল থেকে জল পড়ে না। দু’টি সজলধারার মধ্যে একটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। অপরটিতে জল পাওয়া গেলেও তা পানের অযোগ্য। ফলে গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবার ও স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের দূর থেকে জল আনতে হয়। বাকিরা জল কিনে পান করেন।
যাত্রাপুরের বাসিন্দা বিপ্লব ঘোষ বলেন, এখানকার বেশিরভাগ টিউবওয়েলের জলেই মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক আছে। গ্রামের দাসপাড়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও প্রত্যেক পরিবারের অনেকে আর্সেনিকের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত। আমার জেঠু, জেঠিমা, কাকা ও এক বোন আর্সেনিকের বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছে। বাবা এখনও অসুস্থ। কিছুদিন আগে বাড়ি বাড়ি ট্যাপকলের সংযোগ দিলেও তাতে জল সরবরাহ হয় না।
গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক স্কুল যাত্রাপুর তারক শিক্ষানিকেতনেও পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। স্কুলের টিউবয়েলের জল পান করা যায় না। স্কুলের কাছে রাস্তার পাশে একটি ট্যাপকল ছিল। সেটা থেকেও জল মিলছে না। মিড-ডে মিল রান্নার জন্য পাশের বাড়ির টিউবওয়েল থেকে জল আনা হয়। ছাত্রছাত্রীরা সবাই বাড়ি থেকে বোতলে জল ভরে আনে।
স্থানীয়া বাসিন্দা রুস্তম মণ্ডল বলেন, পিএইচইর চালু করা বেশিরভাগ ট্যাপকলই এখন খারাপ। দূরের শীতলাতলার ট্যাপকল থেকে জল আনতে হয়। মাঝে মাঝে সেখানেও জল মেলে না। নামেই সজল ধারা। পড়ে না জল। নিজস্ব চিত্র